পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে ১৪৪ ধারা জারি

প্রতিনিধি
পঞ্চগড়
Thumbnail image
ফাইল ছবি

পঞ্চগড় প্রেসক্লাব ঘিরে সাংবাদিকদের দুই পক্ষের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমন চন্দ্র দাস এই আদেশ জারি করেন।

আদেশে বলা হয়েছে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব ও পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী থেকে জালাসী মোড় পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জনসমাবেশ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাইক বাজানো, সভা ও মিছিল পরিচালনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থা যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, চিকিৎসক, ঔষধ সরবরাহকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর প্রযোজ্য হবে না।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এই আদেশ পড়ে শোনান এবং প্রেসক্লাবের ভবন ও প্রধান ফটকে সিলগালা করে দেয়া হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড় সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়াম, পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লা হিল জামানসহ পুলিশ সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, আগস্ট বিপ্লবের পরে প্রেসক্লাবের বহিরাগত কিছু সাংবাদিক প্রেসক্লাব দখল করে নেয়। সিংহভাগ পেশাদার সাংবাদিকদের নানাভাবে হেয় ও মব সৃষ্টি করে হয়রানি করা হয়। এতে দুইপক্ষের মধ্যে সংকট চরম আকার ধারণ করে। সাংবাদিকদের দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলতে থাকে।

বুধবার রাতে প্রেসক্লাবের নব্য দখলদার পক্ষ প্রেসক্লাবের সামনে মহাসড়কে এবং প্রেসক্লাবের প্রকৃত সদস্য, পেশাদার ও সিনিয়র সাংবাদিকরা বিভিন্ন দাবিতে করতোয়া সেতুর সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় সড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা। পরে প্রশাসনের আশ^াসে অবরোধ তুলে নেন তারা।

বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের দুটি পক্ষই প্রেসক্লাবে অবস্থান কর্মসূচি দেয় এবং অবস্থান নেয়। চলতে থাকে বাক বিতন্ডা। দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌছালে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হন। প্রেসক্লাব এলাকায় মোতায়েন করা হয় বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পঞ্চগড় প্রেসক্লাব ও তার আশপাশের এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই আইন কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

গণমাধ্যম নিয়ে আরও পড়ুন

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই মীর নাসিরউদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালউদ্দিনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন

৪ ঘণ্টা আগে

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন

৪ ঘণ্টা আগে

যখন র‌্যাব পরিচালিত টিএফআই সেলে ব্যারিস্টার আরমানকে আটকের বিষয়ে জানতে পেরেছেন, তখন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা

৪ ঘণ্টা আগে

গত এক বছরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে ঝুলে থাকা প্রায় সাড়ে ৯ লাখ এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি করেছে ইসি

৪ ঘণ্টা আগে