খুলনায় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে প্রেস কাউন্সিলের কর্মশালা

প্রতিনিধি
খুলনা
আপডেট : ২১ মে ২০২৫, ১৭: ৫০
Thumbnail image

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের অপ-সাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা বুধবার (২১মে) সকালে খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি জানান, দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য শুধু আইন-ই যথেষ্ট নয়। গণমাধ্যমকর্মীদের বিচক্ষণতা এবং নীতি-নৈতিকতাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের দক্ষতা অর্জনের জন্য এ সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। দেশের প্রতি আমাদের সকলেরই দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই প্রত্যেকেরই নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করা উচিত। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রণীত সাংবাদিকদের অনুসরণীয় আচরণবিধি মেনে চলা উচিত।

তাছাড়া প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত সাংবাদিকদের শপথনামা মেনে চলার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। গণমাধ্যমকর্মীদের কাজের স্বার্থে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর থেকে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের বিদ্যমান সুযোগ কাজে লাগানো যেতে পারে।

কর্মশালার দুটি সেশনে ‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি পালনের গুরুত্ব’ এবং ‘অপসাংবাদিকতা পরিহার করে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা চর্চায় প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর প্রয়োগ’ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে গণমাধ্যমকর্মীরা ইতিবাচক সাংবাদিকতার বিকাশে তাদের ভাবনাগুলো তুলে ধরেন।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার। কর্মশালায় রির্সোস পার্সন ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো: আব্দুস সবুর। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. মেহেদী হাসান।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় খুলনার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা অংশ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

গণমাধ্যম নিয়ে আরও পড়ুন

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই মীর নাসিরউদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালউদ্দিনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন

৪ ঘণ্টা আগে

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন

৪ ঘণ্টা আগে

যখন র‌্যাব পরিচালিত টিএফআই সেলে ব্যারিস্টার আরমানকে আটকের বিষয়ে জানতে পেরেছেন, তখন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা

৫ ঘণ্টা আগে

গত এক বছরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে ঝুলে থাকা প্রায় সাড়ে ৯ লাখ এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি করেছে ইসি

৫ ঘণ্টা আগে