বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
জাতীয়
গণমাধ্যম

ইউটিউবারদের দায় সাংবাদিকদের উপর: রেজওয়ানুল

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ১৪
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ১৪
logo

ইউটিউবারদের দায় সাংবাদিকদের উপর: রেজওয়ানুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ১৪
Photo
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রসারে সাংবাদিক ও ইউটিউবারের মধ্যে ভেদ বোঝা কঠিন হয়ে উঠেছে, মনে করছেন বিজেসি সভাপতি ও মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রাজা।

রেজওয়ানুল হক বলেছেন, এখন ইউটিউবার এবং সাংবাদিক দুটি একাকার হয়ে গেছে। যে কারণে ইউটিউবারদের দায়দায়িত্ব ও তাঁদের অপকর্মের দায় সাংবাদিকদের নিতে হচ্ছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন রেজওয়ানুল হক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপসাংবাদিকতা ঠেকাতে সাংবাদিকদের নিবন্ধন এবং ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক করে দেওয়ার পক্ষে মত জানান রেজওয়ানুল হক, যে সুপারিশ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে রয়েছে।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে উদাসীনতার দিকটি দেখিয়ে রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘আপনারা যদি গণমাধ্যমকে “ফোর্থ স্টেট” মনে করেন, তাহলে ফোর্থ স্টেটের ব্যাপারে যে কমিশনের রিপোর্ট, সেটা কেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিবেচনা করল না?’

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সব সুপারিশে একমত নন জানিয়ে রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘কমিশনের পুরো রিপোর্টকে আমি ভালো বলব না। কিন্তু এর ভালোগুলো তো বাস্তবায়ন করা যেত। গত সরকারেরকে ফ্যাসিস্টে রূপান্তরিত করার জন্য সাংবাদিকদের যে দায় ছিল, সেই দায়ের শাস্তি হিসেবে ২৫০–এর বেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে অনেকে বিনা বিচারে জেলে আছেন। ১৬০ বা ১৬৫ জনের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হলো। সাংবাদিকদের একটি দলের যে অপরাধ ছিল, তা এই শাস্তি দিয়ে দূর হবে না; বরং সিস্টেমটায় পরিবর্তন আনার প্রয়োজন ছিল।’

সাংবাদিকদের রাজনৈতিক বিভাজন নিয়ে রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘বিএনপির আমলের আগপর্যন্ত ইউনিয়ন ছিল অভিন্ন। তারপর আমরা সাংবাদিকেরা বিভক্ত হয়ে গেলাম। শুরু হলো একটি বিএনপি-জামায়াতপন্থী ধারা, একটি আওয়ামীপন্থী ধারা, আরেকটি বামপন্থী ধারা। সেই যে বিভক্তির শুরু হলো, সেই বিভক্তি বাড়তে বাড়তে এখনকার অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। তারপরও কিছুদিন আগপর্যন্ত প্রেসক্লাবে ইউনিয়নের দুটি অফিসই ছিল। ৫ আগস্টের পর একদল বিতাড়িত হয়েছে। সেই ইউনিয়ন অফিসে তালা দেওয়া। আরেক দল ভালোভাবে রয়েছে। ৫ আগস্টের পর আমাদের পরিবর্তনটা তাহলে কী হলো?’

বৈঠকে অংশ নেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য গীতি আরা নাসরীন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সদস্য এ কে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম, সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান মওদুদ হোসেন আলমগীর (পাভেল), জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান মতিউর রহমান আকন্দ, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম রেজওয়ান উল আলম, এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সদস্য কামরুন্নেসা হাসান।

Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রসারে সাংবাদিক ও ইউটিউবারের মধ্যে ভেদ বোঝা কঠিন হয়ে উঠেছে, মনে করছেন বিজেসি সভাপতি ও মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রাজা।

রেজওয়ানুল হক বলেছেন, এখন ইউটিউবার এবং সাংবাদিক দুটি একাকার হয়ে গেছে। যে কারণে ইউটিউবারদের দায়দায়িত্ব ও তাঁদের অপকর্মের দায় সাংবাদিকদের নিতে হচ্ছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন রেজওয়ানুল হক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপসাংবাদিকতা ঠেকাতে সাংবাদিকদের নিবন্ধন এবং ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক করে দেওয়ার পক্ষে মত জানান রেজওয়ানুল হক, যে সুপারিশ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে রয়েছে।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে উদাসীনতার দিকটি দেখিয়ে রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘আপনারা যদি গণমাধ্যমকে “ফোর্থ স্টেট” মনে করেন, তাহলে ফোর্থ স্টেটের ব্যাপারে যে কমিশনের রিপোর্ট, সেটা কেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিবেচনা করল না?’

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সব সুপারিশে একমত নন জানিয়ে রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘কমিশনের পুরো রিপোর্টকে আমি ভালো বলব না। কিন্তু এর ভালোগুলো তো বাস্তবায়ন করা যেত। গত সরকারেরকে ফ্যাসিস্টে রূপান্তরিত করার জন্য সাংবাদিকদের যে দায় ছিল, সেই দায়ের শাস্তি হিসেবে ২৫০–এর বেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে অনেকে বিনা বিচারে জেলে আছেন। ১৬০ বা ১৬৫ জনের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হলো। সাংবাদিকদের একটি দলের যে অপরাধ ছিল, তা এই শাস্তি দিয়ে দূর হবে না; বরং সিস্টেমটায় পরিবর্তন আনার প্রয়োজন ছিল।’

সাংবাদিকদের রাজনৈতিক বিভাজন নিয়ে রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘বিএনপির আমলের আগপর্যন্ত ইউনিয়ন ছিল অভিন্ন। তারপর আমরা সাংবাদিকেরা বিভক্ত হয়ে গেলাম। শুরু হলো একটি বিএনপি-জামায়াতপন্থী ধারা, একটি আওয়ামীপন্থী ধারা, আরেকটি বামপন্থী ধারা। সেই যে বিভক্তির শুরু হলো, সেই বিভক্তি বাড়তে বাড়তে এখনকার অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। তারপরও কিছুদিন আগপর্যন্ত প্রেসক্লাবে ইউনিয়নের দুটি অফিসই ছিল। ৫ আগস্টের পর একদল বিতাড়িত হয়েছে। সেই ইউনিয়ন অফিসে তালা দেওয়া। আরেক দল ভালোভাবে রয়েছে। ৫ আগস্টের পর আমাদের পরিবর্তনটা তাহলে কী হলো?’

বৈঠকে অংশ নেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য গীতি আরা নাসরীন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সদস্য এ কে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম, সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান মওদুদ হোসেন আলমগীর (পাভেল), জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান মতিউর রহমান আকন্দ, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম রেজওয়ান উল আলম, এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সদস্য কামরুন্নেসা হাসান।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

গণমাধ্যম নিয়ে আরও পড়ুন

মেট্রোরেলে চাকরি পাচ্ছেন নিহত আজাদের স্ত্রী

মেট্রোরেলে চাকরি পাচ্ছেন নিহত আজাদের স্ত্রী

আইরিন আক্তার পিয়াকে এখন কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তার অনার্স শেষ হলে পরে অফিসার পদে নেওয়া হবে

২ ঘণ্টা আগে
‘শাপলা কলি’ যুক্ত হলো ইসির প্রতীক তালিকায়

‘শাপলা কলি’ যুক্ত হলো ইসির প্রতীক তালিকায়

১৯৭২ এর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, ‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮’-এর নিম্নরূপ অধিকতর সংশোধন করিল

২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরে জেনারেটর দুর্নীতি: ঝুলে যাচ্ছে মামলার বিচার প্রক্রিয়া

বিমানবন্দরে জেনারেটর দুর্নীতি: ঝুলে যাচ্ছে মামলার বিচার প্রক্রিয়া

কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে একটি জেনারেটর সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। সর্বনিম্ন ৯০ লাখ টাকা দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পান ঢাকা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শাহাবুদ্দিন

৩ ঘণ্টা আগে
৩১ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ইসির সভা বিকেলে

৩১ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ইসির সভা বিকেলে

এই সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে

৫ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেলে চাকরি পাচ্ছেন নিহত আজাদের স্ত্রী

মেট্রোরেলে চাকরি পাচ্ছেন নিহত আজাদের স্ত্রী

আইরিন আক্তার পিয়াকে এখন কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তার অনার্স শেষ হলে পরে অফিসার পদে নেওয়া হবে

২ ঘণ্টা আগে
‘শাপলা কলি’ যুক্ত হলো ইসির প্রতীক তালিকায়

‘শাপলা কলি’ যুক্ত হলো ইসির প্রতীক তালিকায়

১৯৭২ এর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, ‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮’-এর নিম্নরূপ অধিকতর সংশোধন করিল

২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরে জেনারেটর দুর্নীতি: ঝুলে যাচ্ছে মামলার বিচার প্রক্রিয়া

বিমানবন্দরে জেনারেটর দুর্নীতি: ঝুলে যাচ্ছে মামলার বিচার প্রক্রিয়া

কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে একটি জেনারেটর সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। সর্বনিম্ন ৯০ লাখ টাকা দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পান ঢাকা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শাহাবুদ্দিন

৩ ঘণ্টা আগে
৩১ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ইসির সভা বিকেলে

৩১ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ইসির সভা বিকেলে

এই সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে

৫ ঘণ্টা আগে