বিশেষ প্রতিনিধি
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে শিগগিরই দেশে ফেরার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সম্প্রতি তারেক রহমান এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘অতি শিগগিরই দেশের জনগণের সঙ্গে সরাসরি দেখা হবে ।’ তাঁর এই বক্তব্যের পর দেশে ফেরার বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে।
এদিকে গতকাল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান-বাবরদের খালাসের বিরুদ্ধে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর আপিলের রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য হয়েছে। এই রায় খালাস পেলে তারেক রহমানের দেশে ফেরার আর কোনো বাঁধা থাকে না। এটা ছাড়া সব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা চলছে। শিগগিরই তিনি ফিরছেন এমন বার্তা বিএনপির নেতারা দিলেও তার প্রত্যাবর্তনের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনো জানানো হয়নি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলছে, তার দেশে ফেরার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়গুলো তার প্রত্যাবর্তনের সময় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে তারেক রহমানে দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে তার দল বিএনপি । এরই মধ্যে গুলশান-২-এর অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর ডুপ্লেক্স বাড়িতে তার থাকার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই ছায়াঘেরা বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মালিকানাধীন, যা সম্প্রতি তারেক রহমানের নামে নামজারি করা হয়।
এই বাড়িটি এক সময় ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, তবে ছয় মাস আগে কোম্পানিটি তা ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে বাড়িটির অভ্যন্তর ও বাহ্যিক পরিবেশ তারেক রহমানের থাকার উপযোগী করে সাজানো হয়েছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাড়ির সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে এবং এটি এখন পুরোপুরি বসবাসযোগ্য।
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটি গুলশানে তার বর্তমান বাসভবন ‘ফিরোজা’র পাশেই অবস্থিত।
বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী নিশ্চিত করেছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এবং তার তারিখ সুনির্দিষ্ট হলে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। ইতিমধ্যে তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও লন্ডনে ফেরার আগে বাড়িটি ঘুরে দেখে গেছেন।
ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরের বছর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান তিনি। তখন থেকেই লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক রহমান। লন্ডনে থাকাকালে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মা খালেদা জিয়া দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’ তারেক রহমান। এরপর সেখান থেকেই দল পরিচালনা করছেন তিনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে পাঁচ মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়। দায়ের করা হয় প্রায় শতাধিক মামলা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে একে একে সাজাপ্রাপ্ত সব মামলায় খালাস পান তিনি। একই প্রক্রিয়ায় অন্য সব মামলা থেকেও মুক্ত হন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই।
এমন অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতিক্ষায় রয়েছেন। তার ফেরা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট কৌতূহলও আছে। সবার প্রত্যাশা, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে আর কোনো আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই।
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে শিগগিরই দেশে ফেরার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সম্প্রতি তারেক রহমান এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘অতি শিগগিরই দেশের জনগণের সঙ্গে সরাসরি দেখা হবে ।’ তাঁর এই বক্তব্যের পর দেশে ফেরার বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে।
এদিকে গতকাল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান-বাবরদের খালাসের বিরুদ্ধে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর আপিলের রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য হয়েছে। এই রায় খালাস পেলে তারেক রহমানের দেশে ফেরার আর কোনো বাঁধা থাকে না। এটা ছাড়া সব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা চলছে। শিগগিরই তিনি ফিরছেন এমন বার্তা বিএনপির নেতারা দিলেও তার প্রত্যাবর্তনের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনো জানানো হয়নি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলছে, তার দেশে ফেরার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়গুলো তার প্রত্যাবর্তনের সময় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে তারেক রহমানে দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে তার দল বিএনপি । এরই মধ্যে গুলশান-২-এর অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর ডুপ্লেক্স বাড়িতে তার থাকার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই ছায়াঘেরা বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মালিকানাধীন, যা সম্প্রতি তারেক রহমানের নামে নামজারি করা হয়।
এই বাড়িটি এক সময় ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, তবে ছয় মাস আগে কোম্পানিটি তা ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে বাড়িটির অভ্যন্তর ও বাহ্যিক পরিবেশ তারেক রহমানের থাকার উপযোগী করে সাজানো হয়েছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাড়ির সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে এবং এটি এখন পুরোপুরি বসবাসযোগ্য।
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটি গুলশানে তার বর্তমান বাসভবন ‘ফিরোজা’র পাশেই অবস্থিত।
বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী নিশ্চিত করেছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এবং তার তারিখ সুনির্দিষ্ট হলে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। ইতিমধ্যে তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও লন্ডনে ফেরার আগে বাড়িটি ঘুরে দেখে গেছেন।
ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরের বছর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান তিনি। তখন থেকেই লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক রহমান। লন্ডনে থাকাকালে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মা খালেদা জিয়া দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’ তারেক রহমান। এরপর সেখান থেকেই দল পরিচালনা করছেন তিনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে পাঁচ মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়। দায়ের করা হয় প্রায় শতাধিক মামলা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে একে একে সাজাপ্রাপ্ত সব মামলায় খালাস পান তিনি। একই প্রক্রিয়ায় অন্য সব মামলা থেকেও মুক্ত হন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই।
এমন অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতিক্ষায় রয়েছেন। তার ফেরা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট কৌতূহলও আছে। সবার প্রত্যাশা, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে আর কোনো আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, আমরা চাই গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে তারপর জাতীয় নির্বাচন।
৪ ঘণ্টা আগেযথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের জন্য সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বেশকিছু কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়
১ দিন আগেমঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা মশাল মিছিল করে অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেন। সেই হরতালের সমর্থনের মিছিল থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে
১ দিন আগেদীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে শিগগিরই দেশে ফেরার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সম্প্রতি তারেক রহমান এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘অতি শিগগিরই দেশের জনগণের সঙ্গে সরাসরি দেখা হবে ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, আমরা চাই গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে তারপর জাতীয় নির্বাচন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের জন্য সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বেশকিছু কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়