জামালপুর
দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার ২৮তম দিনে জামালপুরে ১১জন শহিদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ, পদযাত্রা ও পথসভা করেছে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। আজ সোমবার সকালে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে শহিদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এরপর হরিজন পল্লিতে যান তিনি। পরে শহরের তমালতলা থেকে ফৌজদারি মোড় পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলার ৭ উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা। পরে সেখানে পথসভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। পদযাত্রা ও পথসভাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় পুরো জামালপুরকে।
পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন -‘জাতীয় সংসদ দুই ভাগ করে ভোটের অনুপাতে উচ্চ কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। যাতে করে একটি জবাবদিহি মূলক ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করা যায়। সেই উচ্চ কক্ষের বিষয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় জুলাই সনদ আটকে রয়েছে। যারা এখনো ঐকমত্য পোষণ করেনি তাদেরকে জনগণের স্বার্থে ঐকমত্য পোষণ করার আহ্বান জানিয়ে জুলাই সনদের মাধ্যমে ৫ আগস্ট সর্বদলীয় ভাবে উদ্যাপন করার আশা ব্যক্ত করেন নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ আরো বলেন-‘সারা বাংলাদেশে ঐকমত্য কমিশন সংস্কারের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে। সেই কমিশনে নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের পরে সামনের যে নির্বাচন আসছে সেই নির্বাচনে মৌলিক সংস্কার শেষে আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই। কারণ বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধান এই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের অন্যতম দাবি। ফলে সংস্কারের মাধ্যমে পুরোনো আইনগুলো পরিবর্তন করতে এবং প্রকৃত গণতন্ত্র যাতে বাংলাদেশে কখনোই আর নির্বাচন কমিশন দলীয় করণ না হয়। বাংলাদেশের পুলিশ দলীয় করণ না হয়। বাংলাদেশের প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা দলীয় করণ না হয়। আমরা সব নিরপেক্ষতা চাই। ইতিমধ্যে পুলিশ কমিশনে সবাই ঐকমত্য দিয়েছে এর জন্য ধন্যবাদ জানাই।
নাহিদ বলেন-‘আমরা চাই সংস্কার প্রক্রিয়ায় আমাদের একটি উচ্চ কক্ষ প্রয়োজন। আমাদের জাতীয় সংসদ দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। ভোটের অনুপাতে উচ্চ কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। যাতে করে একটি জবাবদিহি মুলক ক্ষমতার ভারসাম্য আমরা নিশ্চিত করতে পারি। সেই উচ্চ কক্ষের বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। ফলে জুলাই সনদ এখনো আটকে রয়েছে। জুলাই সনদের মাধ্যমে আমরা ৫ আগস্ট সর্বদলীয় ভাবে উদ্যাপন করতে চাই। তাই যারা নিজেদের দলীয় স্বার্থে এখনো এই ঐকমত্য হয়নি।’
এসময় নাহিদ আরো বলেন- ‘গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এখনো রাজপথে আছে। আমরা গণঅভ্যুত্থানের সময় সম্পূর্ণভাবে সংগঠিত ছিলাম না। আমাদের কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না। ফলে আমরা অনেক কিছুই করতে পারিনি। কিন্তু আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি অন্তর্বর্তী সরকারকে ও এই সময়ের রাজনীতি কে গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাপিত করার এবং আমাদের এই চেষ্টা এখনো জারি রয়েছে।’
জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্র অবশ্যই ৫ আগস্টের ভেতরে দিতে হবে। এবং বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করতে হবে। অনেকে বলছে আমরা নাকি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছি, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আরে গণঅভ্যুত্থান না হলে আপনারা নির্বাচনের স্বপ্নই দেখতে পারতেন না। কোটা আন্দোলন থেকে যদি সরকার পতনের দিকে আন্দোলন না নিয়ে যেতাম তাহলে শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচনের জন্য আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হতো।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মশিউর রহমান শুভ, জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক হিফজুর রহমান বকুলসহ আরও অনেকে ।
পথসভা শেষে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।
দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার ২৮তম দিনে জামালপুরে ১১জন শহিদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ, পদযাত্রা ও পথসভা করেছে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। আজ সোমবার সকালে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে শহিদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এরপর হরিজন পল্লিতে যান তিনি। পরে শহরের তমালতলা থেকে ফৌজদারি মোড় পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলার ৭ উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা। পরে সেখানে পথসভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। পদযাত্রা ও পথসভাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় পুরো জামালপুরকে।
পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন -‘জাতীয় সংসদ দুই ভাগ করে ভোটের অনুপাতে উচ্চ কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। যাতে করে একটি জবাবদিহি মূলক ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করা যায়। সেই উচ্চ কক্ষের বিষয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় জুলাই সনদ আটকে রয়েছে। যারা এখনো ঐকমত্য পোষণ করেনি তাদেরকে জনগণের স্বার্থে ঐকমত্য পোষণ করার আহ্বান জানিয়ে জুলাই সনদের মাধ্যমে ৫ আগস্ট সর্বদলীয় ভাবে উদ্যাপন করার আশা ব্যক্ত করেন নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ আরো বলেন-‘সারা বাংলাদেশে ঐকমত্য কমিশন সংস্কারের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে। সেই কমিশনে নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের পরে সামনের যে নির্বাচন আসছে সেই নির্বাচনে মৌলিক সংস্কার শেষে আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই। কারণ বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধান এই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের অন্যতম দাবি। ফলে সংস্কারের মাধ্যমে পুরোনো আইনগুলো পরিবর্তন করতে এবং প্রকৃত গণতন্ত্র যাতে বাংলাদেশে কখনোই আর নির্বাচন কমিশন দলীয় করণ না হয়। বাংলাদেশের পুলিশ দলীয় করণ না হয়। বাংলাদেশের প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা দলীয় করণ না হয়। আমরা সব নিরপেক্ষতা চাই। ইতিমধ্যে পুলিশ কমিশনে সবাই ঐকমত্য দিয়েছে এর জন্য ধন্যবাদ জানাই।
নাহিদ বলেন-‘আমরা চাই সংস্কার প্রক্রিয়ায় আমাদের একটি উচ্চ কক্ষ প্রয়োজন। আমাদের জাতীয় সংসদ দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। ভোটের অনুপাতে উচ্চ কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। যাতে করে একটি জবাবদিহি মুলক ক্ষমতার ভারসাম্য আমরা নিশ্চিত করতে পারি। সেই উচ্চ কক্ষের বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। ফলে জুলাই সনদ এখনো আটকে রয়েছে। জুলাই সনদের মাধ্যমে আমরা ৫ আগস্ট সর্বদলীয় ভাবে উদ্যাপন করতে চাই। তাই যারা নিজেদের দলীয় স্বার্থে এখনো এই ঐকমত্য হয়নি।’
এসময় নাহিদ আরো বলেন- ‘গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এখনো রাজপথে আছে। আমরা গণঅভ্যুত্থানের সময় সম্পূর্ণভাবে সংগঠিত ছিলাম না। আমাদের কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না। ফলে আমরা অনেক কিছুই করতে পারিনি। কিন্তু আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি অন্তর্বর্তী সরকারকে ও এই সময়ের রাজনীতি কে গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাপিত করার এবং আমাদের এই চেষ্টা এখনো জারি রয়েছে।’
জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্র অবশ্যই ৫ আগস্টের ভেতরে দিতে হবে। এবং বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করতে হবে। অনেকে বলছে আমরা নাকি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছি, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আরে গণঅভ্যুত্থান না হলে আপনারা নির্বাচনের স্বপ্নই দেখতে পারতেন না। কোটা আন্দোলন থেকে যদি সরকার পতনের দিকে আন্দোলন না নিয়ে যেতাম তাহলে শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচনের জন্য আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হতো।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মশিউর রহমান শুভ, জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক হিফজুর রহমান বকুলসহ আরও অনেকে ।
পথসভা শেষে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।
এই আন্দোলনে বিএনপির কোনো নেতাই মুচলেকা দেননি। গোটা দেশ নেমে এসেছিল রাজপথে। জুলাই অভ্যুত্থানে যুবদলের ৭৯ জন এবং ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। যার যা অবদান আছে, তাকে তা স্বীকার করতে হবে। সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে হবে
৮ ঘণ্টা আগেগতকাল রোববার (২৭ জুলাই) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রাফিন এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদ উল ইসলাম নাহিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেসরকারি কর্মকমিশন, দুদক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধানের আলোচনা থেকে বিএনপির ওয়াকআউট করেছে
১২ ঘণ্টা আগেসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের সঙ্গে ঢাকা বিভাগের সব জেলা ও মহানগর ইউনিটের সুপার ফাইভের নেতাদের জরুরি সভা আগামী ২৯ জুলাই দুপুর ২টায় ভাসানী ভবনে অনুষ্ঠিত হবে
১৪ ঘণ্টা আগেএই আন্দোলনে বিএনপির কোনো নেতাই মুচলেকা দেননি। গোটা দেশ নেমে এসেছিল রাজপথে। জুলাই অভ্যুত্থানে যুবদলের ৭৯ জন এবং ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। যার যা অবদান আছে, তাকে তা স্বীকার করতে হবে। সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে হবে
গতকাল রোববার (২৭ জুলাই) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রাফিন এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদ উল ইসলাম নাহিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
উচ্চকক্ষ গঠন হবে ভোটের অনুপাতে, আসন অনুসারে নয়। ক্ষমতার ভারসাম্য ও জবাবদিহির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উচ্চকক্ষ। সে বিষয়ে এখনও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য আসেনি
সরকারি কর্মকমিশন, দুদক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধানের আলোচনা থেকে বিএনপির ওয়াকআউট করেছে