বিশেষ প্রতিনিধি

ভারত নির্ভরতা কমাতে অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনো দেশে পণ্য আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ভারত। চীনের পরই ভারত থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পরিমাণে পণ্য আমদানি করে থাকে। হাসিনার দীর্ঘ স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যে ভারতনির্ভরতা তৈরি হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের জন্য ছিল জনস্বার্থবিরোধী। আদানির ঝাড়খন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্র (১৬০০ মেগাওয়াট) থেকে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে বিতর্ক ছিল শুরু থেকেই।
ক্রমবর্ধমান ক্যাপাসিটি চার্জ দেশের জন্য আর্থিক বোঝায় পরিণত হওয়ায় হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই নতুন করে আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবি উঠেছিল। এদিকে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি অগভীর সমুদ্র ব্লকে ১০ বছর ধরে কাজ করছে। নিউক্লিয়ার প্রকল্পেও ভারত যুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রিলায়েন্স এলএনজিভিত্তিক মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রে রয়েছে ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি ও রিলায়েন্সের বিনিয়োগ। এগুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে চলবে না।
এদিকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের কূটনীতিক সম্পর্কের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পর চীন সেই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়েছে। ভারতে যেতে ভিসা জটিলতা তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে এখন বাংলাদেশি রোগীদের নতুন গন্তব্য হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে চীন। চীনের কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতালকে বাংলাদেশিদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
আগে চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা, ভ্রমণ -এমন নানা কাজে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি ভারতে যেতেন। অথচ আগের তুলনায় ভিসা অনুমোদনের হার ৮০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে এখন।
সর্বশেষ ডিসেম্বরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলার পর ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতে যে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সেটি অনেক ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশে।
স্বৈরাচার হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় এবং নানাবিধ কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরি কূটনৈতিক অবস্থানে ভারত থেকে আমদানি কমায় দুয়ার খুলেছে অন্যান্য উৎসের। অন্তর্বর্তী সরকারও ভারতের বৈরীতাকে কাজে লাগিয়েছে অন্যান্য উৎসকে খুঁজে নিয়েছে। যা আর্শীবাদ হিসেবেই দেখছেন ব্যবসায়ী থেকে দেশের বিশেষজ্ঞরা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গত দেড় দশকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছানোর কথা বলা হতো, ২০২৪ সালের পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে পতন হয়েছে সেই সম্পর্কেরও। সম্পর্কে উন্নতির বদলে ক্রমে অবনতি দেখা গেছে।
সম্পর্কের অবনতির শুরুটা হয়েছিল, বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের ওপর হামলা এবং অত্যাচারের নানা রকম অপতথ্য এবং গুজব ব্যাপকভাবে প্রচার হতে দেখার মাধ্যমে।
গত এক বছরে ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। সাথে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কড়াকড়ি করেছে ভারত। বিশেষ করে, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর পর্যটন ভিসা দেয়া এক প্রকার বন্ধ আছে বলা যায়। মেডিকেল বা চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশির খুব কম মানুষকেই ভিসা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের ভারত বিরোধী একটা অবস্থানেরও প্রকাশ দেখা গেছে।
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের নেয়া নানা পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং নানা পেশার মানুষকে দেশটিতে সফরে নিয়ে যাওয়া।
এর অংশ হিসেবে গত এক বছরে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও বাম সংগঠনের নেতৃত্বকে নিজের দেশে সফরে নিয়ে গেছে চীন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতার পট পরিবর্তনে ভারত নির্ভরশীলতা কমার কারণে ভূরাজনৈতিক কারণেই বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও দেশের শীর্ষ ২০ আমদানির উৎস দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। তখন ভারত থেকে ৯ বিলিয়ন (৯০০ কোটি) ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, যা মোট আমদানির ১৪ শতাংশের বেশি। আর সর্বোচ্চ পণ্য আমদানি হয়েছিল চীন থেকে, যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এটি ছিল মোট আমদানির ২৬ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরে আমদানি পণ্যের উৎস হিসেবে পাকিস্তানের অবস্থান ছিল তালিকার ২০তম। দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬২৭ মিলিয়ন (৬২ কোটি ৭০ লাখ) ডলার। মোট আমদানিতে দেশটির অবদান ছিল মাত্র ১ শতাংশ। তবে সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করায় দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। অবশ্য শুধুমাত্র পাকিস্তান থেকেই আমদানি পণ্যের জাহাজ আসছে এমন নয়, ভারত সরকারের স্বৈরাচার হাসিনার পক্ষে অবস্থান একই সঙ্গে নানামুখী দূরত্ব তৈরি হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের পণ্যও করাচি বন্দর হয়ে পাকিস্তানের জাহাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে।
শুধু পাকিস্তানই নয়; পণ্য আমদানিতে মালদ্বীপ ও কলম্বোকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। একইভাবে চীন, মিশর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মিশর ও থাইল্যান্ড থেকেও আমদানি বেড়েছে। পণ্য আমদানিতে ভারতের তালবাহানায় সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপে অন্যান্য উৎস থেকে আমদানি বাড়িয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিল থেকে গম, চিনি, গোশত এবং নানা ধরনের শুকনো ফল ও মসলা আমদানি করেছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়া থেকে আসছে ভোজ্যতেল, রাবার, দুগ্ধপণ্য, ইলেকট্রনিক সামগ্রি, রাসায়নিক পদার্থ, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য। খাদ্যশস্য ও বীজ, গম এবং ডালের উল্লেখযোগ্য আমদানি রাশিয়ার হাতে। জাপান থেকে আমদানি হয়েছে গাড়ি, ইস্পাতের কাঁচামালসহ শিল্পের যন্ত্র। সিঙ্গাপুর থেকে মূলত জ্বালানি আমদানি করা হয়। পাশাপাশি দেশটি থেকে কাঁচা তুলা, ডাল, গম, তেলবীজ ও পাম অয়েলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য আসছে। এভাবে দ্রুত আরো এগিয়ে যেতে হবে।

ভারত নির্ভরতা কমাতে অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনো দেশে পণ্য আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ভারত। চীনের পরই ভারত থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পরিমাণে পণ্য আমদানি করে থাকে। হাসিনার দীর্ঘ স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যে ভারতনির্ভরতা তৈরি হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের জন্য ছিল জনস্বার্থবিরোধী। আদানির ঝাড়খন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্র (১৬০০ মেগাওয়াট) থেকে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে বিতর্ক ছিল শুরু থেকেই।
ক্রমবর্ধমান ক্যাপাসিটি চার্জ দেশের জন্য আর্থিক বোঝায় পরিণত হওয়ায় হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই নতুন করে আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবি উঠেছিল। এদিকে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি অগভীর সমুদ্র ব্লকে ১০ বছর ধরে কাজ করছে। নিউক্লিয়ার প্রকল্পেও ভারত যুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রিলায়েন্স এলএনজিভিত্তিক মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রে রয়েছে ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি ও রিলায়েন্সের বিনিয়োগ। এগুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে চলবে না।
এদিকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের কূটনীতিক সম্পর্কের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পর চীন সেই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়েছে। ভারতে যেতে ভিসা জটিলতা তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে এখন বাংলাদেশি রোগীদের নতুন গন্তব্য হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে চীন। চীনের কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতালকে বাংলাদেশিদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
আগে চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা, ভ্রমণ -এমন নানা কাজে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি ভারতে যেতেন। অথচ আগের তুলনায় ভিসা অনুমোদনের হার ৮০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে এখন।
সর্বশেষ ডিসেম্বরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলার পর ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতে যে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সেটি অনেক ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশে।
স্বৈরাচার হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় এবং নানাবিধ কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরি কূটনৈতিক অবস্থানে ভারত থেকে আমদানি কমায় দুয়ার খুলেছে অন্যান্য উৎসের। অন্তর্বর্তী সরকারও ভারতের বৈরীতাকে কাজে লাগিয়েছে অন্যান্য উৎসকে খুঁজে নিয়েছে। যা আর্শীবাদ হিসেবেই দেখছেন ব্যবসায়ী থেকে দেশের বিশেষজ্ঞরা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গত দেড় দশকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছানোর কথা বলা হতো, ২০২৪ সালের পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে পতন হয়েছে সেই সম্পর্কেরও। সম্পর্কে উন্নতির বদলে ক্রমে অবনতি দেখা গেছে।
সম্পর্কের অবনতির শুরুটা হয়েছিল, বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের ওপর হামলা এবং অত্যাচারের নানা রকম অপতথ্য এবং গুজব ব্যাপকভাবে প্রচার হতে দেখার মাধ্যমে।
গত এক বছরে ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। সাথে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কড়াকড়ি করেছে ভারত। বিশেষ করে, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর পর্যটন ভিসা দেয়া এক প্রকার বন্ধ আছে বলা যায়। মেডিকেল বা চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশির খুব কম মানুষকেই ভিসা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের ভারত বিরোধী একটা অবস্থানেরও প্রকাশ দেখা গেছে।
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের নেয়া নানা পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং নানা পেশার মানুষকে দেশটিতে সফরে নিয়ে যাওয়া।
এর অংশ হিসেবে গত এক বছরে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও বাম সংগঠনের নেতৃত্বকে নিজের দেশে সফরে নিয়ে গেছে চীন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতার পট পরিবর্তনে ভারত নির্ভরশীলতা কমার কারণে ভূরাজনৈতিক কারণেই বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও দেশের শীর্ষ ২০ আমদানির উৎস দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। তখন ভারত থেকে ৯ বিলিয়ন (৯০০ কোটি) ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, যা মোট আমদানির ১৪ শতাংশের বেশি। আর সর্বোচ্চ পণ্য আমদানি হয়েছিল চীন থেকে, যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এটি ছিল মোট আমদানির ২৬ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরে আমদানি পণ্যের উৎস হিসেবে পাকিস্তানের অবস্থান ছিল তালিকার ২০তম। দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬২৭ মিলিয়ন (৬২ কোটি ৭০ লাখ) ডলার। মোট আমদানিতে দেশটির অবদান ছিল মাত্র ১ শতাংশ। তবে সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করায় দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। অবশ্য শুধুমাত্র পাকিস্তান থেকেই আমদানি পণ্যের জাহাজ আসছে এমন নয়, ভারত সরকারের স্বৈরাচার হাসিনার পক্ষে অবস্থান একই সঙ্গে নানামুখী দূরত্ব তৈরি হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের পণ্যও করাচি বন্দর হয়ে পাকিস্তানের জাহাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে।
শুধু পাকিস্তানই নয়; পণ্য আমদানিতে মালদ্বীপ ও কলম্বোকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। একইভাবে চীন, মিশর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মিশর ও থাইল্যান্ড থেকেও আমদানি বেড়েছে। পণ্য আমদানিতে ভারতের তালবাহানায় সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপে অন্যান্য উৎস থেকে আমদানি বাড়িয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিল থেকে গম, চিনি, গোশত এবং নানা ধরনের শুকনো ফল ও মসলা আমদানি করেছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়া থেকে আসছে ভোজ্যতেল, রাবার, দুগ্ধপণ্য, ইলেকট্রনিক সামগ্রি, রাসায়নিক পদার্থ, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য। খাদ্যশস্য ও বীজ, গম এবং ডালের উল্লেখযোগ্য আমদানি রাশিয়ার হাতে। জাপান থেকে আমদানি হয়েছে গাড়ি, ইস্পাতের কাঁচামালসহ শিল্পের যন্ত্র। সিঙ্গাপুর থেকে মূলত জ্বালানি আমদানি করা হয়। পাশাপাশি দেশটি থেকে কাঁচা তুলা, ডাল, গম, তেলবীজ ও পাম অয়েলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য আসছে। এভাবে দ্রুত আরো এগিয়ে যেতে হবে।


গবেষণায় ১৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯৩টি (৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ) নমুনায় সিসার পরিমাণ নিরাপদ মাত্রা ৯০ পিপিএমের নিচে ছিল। বাকি ৬৮টি নমুনা (৪২ দশমিক ২ শতাংশ) বিএসটিআই নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে, ২৬ দশমিক ২ শতাংশ নমুনায় সিসার পরিমাণ ১ হাজার পিপিএমের বেশি এবং ৩ দশমিক ১ শতাংশে ৫০ হাজার পি
২ ঘণ্টা আগে
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুখরিত হয়ে ওঠে সদ্যপুষ্করনী । ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার উদ্দেশ্যে আগমন করেন
৩ দিন আগে
দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৫টি। শেখ হাসিনা সরকার গত পনেরো বছরে দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদাও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি
৫ দিন আগে
বন্ধু মনে হলেই, বন্ধু হয়ে গেছি। সে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান দেখার সময় আমার নেই। তবে এর জন্য আমার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। এবং এ কারণে আমার পিঠে বেত এবং গাছের ডাল ভাঙা হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের জগতে অবিচল
৫ দিন আগেগবেষণায় ১৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯৩টি (৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ) নমুনায় সিসার পরিমাণ নিরাপদ মাত্রা ৯০ পিপিএমের নিচে ছিল। বাকি ৬৮টি নমুনা (৪২ দশমিক ২ শতাংশ) বিএসটিআই নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে, ২৬ দশমিক ২ শতাংশ নমুনায় সিসার পরিমাণ ১ হাজার পিপিএমের বেশি এবং ৩ দশমিক ১ শতাংশে ৫০ হাজার পি
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুখরিত হয়ে ওঠে সদ্যপুষ্করনী । ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার উদ্দেশ্যে আগমন করেন
দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৫টি। শেখ হাসিনা সরকার গত পনেরো বছরে দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদাও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি
বন্ধু মনে হলেই, বন্ধু হয়ে গেছি। সে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান দেখার সময় আমার নেই। তবে এর জন্য আমার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। এবং এ কারণে আমার পিঠে বেত এবং গাছের ডাল ভাঙা হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের জগতে অবিচল