বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট:
মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স
স্পোর্টস ডেস্ক
দিনের নির্ধারিত ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার পর সময় বাড়িয়েছিলেন আম্পায়াররা। আর এই বাড়তি সময়ের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন জিম্বাবুয়ের ভিনসেন্ট মাসেকেসা। মুমিনুল হকের থ্রো ভেঙে দেয় উইকেট। আর এর মধ্যদিয়েই নিশ্চিত হয় তিন দিনের মধ্যে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয়। বাংলাদেশ জিতল ইনিংস ও ১০৬ রানে। টেস্টে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় ইনিংস ব্যবধানে জয়।
এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতে ৫ উইকেট নিলেন মিরাজ। আজকের দিনটাই যেন মিরাজময়! তার এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে চট্টগ্রামে তিন দিনেই ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ভাগাভাগি করল দুই দল। ঘরের মাঠে টানা ৬ টেস্ট হারের পর বাংলাদেশের এটি প্রথম জয়। এই টেস্টের আগে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে।
চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। জবাবে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান করে। ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১১১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ফলে ইনিংস এবং ১০৬ রানের ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ।
বড় লিড মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চাপেই যেন শেষ জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার! বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ইনিংস ওপেন করেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়া এই বাঁহাতি স্পিনারেই নতুন বলে ভরসা রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তাইজুল।
ইনিংসের ৭ম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল। এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ডিফেন্স করারা চেষ্টা করেন ব্রায়ান বেনেট। তবে আউট সাইড এজে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাদমান ইসলাম সহজেই তালুবন্দি করেন। ৬ রান করে এই ওপেনা ফেরায় ৮ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
দুই বল পরই রোডেশিয়ান শিবিরে আবারো আঘাত হানেন তাইজুল। এবার তার শিকার নিক ওয়েলচ। এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে রীতিমতো বোকা বানিয়েছেন তাইজুল। বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাবে ভেবে বল ছেড়ে দিয়েছিলেন, তবে আঘাত হানে তার প্যাডে। এতে লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ, তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ২ বল খেলে ডাক খেয়েছেন ওয়েলচ।
১১তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন নাঈম ইসলাম। এই অফ স্পিনারের টার্ন পড়তে পারেননি শন উইলিয়ামস। আউট সাইড এজে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাদমান এবারও দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। ১৭ বল খেলে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। উইলিয়ামস দ্রুত ফেরায় ২২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
এরপর ক্রেগ আরভিন ও বেন কারান মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। বড় হতে যাওয়া সেই জুটি ভেঙেছেন মিরাজ। আরভিনকে ৩০তম ওভারের প্রথম বলে এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বোল্ড করেন মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে ওয়েসলি মাদেভারেকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই অফ স্পিনার।
নিজের পরের ওভারে ফিরেও উইকেট পেয়েছেন মিরাজ। তাফাদা সিগা এনামুল বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন মিরাজ। এরপর ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং বেন কারানকে ফিরিয়ে ইনিংসে ফাইফার পূরণ করেন মিরাজ। তাতে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ফাইফারের কৃতিত্ব দেখান এই অলরাউন্ডার।
শেষ দিকেলে বোলিংয়ে ফিরে জিম্বাবুয়ের লেজ ছাঁটাইয়ে যোগ দেন তাইজুলও। ৪৩তম ওভারে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। শেষ ব্যাটার হিসেবে রান আউট হয়েছে মাসাকেসা। সবমিলিয়ে ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। আরেক স্পিনার মিরাজে পেয়েছেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া নাঈম হাসান পেয়েছেন ৩ উইকেট।
দিনের নির্ধারিত ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার পর সময় বাড়িয়েছিলেন আম্পায়াররা। আর এই বাড়তি সময়ের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন জিম্বাবুয়ের ভিনসেন্ট মাসেকেসা। মুমিনুল হকের থ্রো ভেঙে দেয় উইকেট। আর এর মধ্যদিয়েই নিশ্চিত হয় তিন দিনের মধ্যে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয়। বাংলাদেশ জিতল ইনিংস ও ১০৬ রানে। টেস্টে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় ইনিংস ব্যবধানে জয়।
এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতে ৫ উইকেট নিলেন মিরাজ। আজকের দিনটাই যেন মিরাজময়! তার এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে চট্টগ্রামে তিন দিনেই ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ভাগাভাগি করল দুই দল। ঘরের মাঠে টানা ৬ টেস্ট হারের পর বাংলাদেশের এটি প্রথম জয়। এই টেস্টের আগে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে।
চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। জবাবে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান করে। ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১১১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ফলে ইনিংস এবং ১০৬ রানের ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ।
বড় লিড মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চাপেই যেন শেষ জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার! বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ইনিংস ওপেন করেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়া এই বাঁহাতি স্পিনারেই নতুন বলে ভরসা রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তাইজুল।
ইনিংসের ৭ম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল। এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ডিফেন্স করারা চেষ্টা করেন ব্রায়ান বেনেট। তবে আউট সাইড এজে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাদমান ইসলাম সহজেই তালুবন্দি করেন। ৬ রান করে এই ওপেনা ফেরায় ৮ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
দুই বল পরই রোডেশিয়ান শিবিরে আবারো আঘাত হানেন তাইজুল। এবার তার শিকার নিক ওয়েলচ। এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে রীতিমতো বোকা বানিয়েছেন তাইজুল। বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাবে ভেবে বল ছেড়ে দিয়েছিলেন, তবে আঘাত হানে তার প্যাডে। এতে লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ, তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ২ বল খেলে ডাক খেয়েছেন ওয়েলচ।
১১তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন নাঈম ইসলাম। এই অফ স্পিনারের টার্ন পড়তে পারেননি শন উইলিয়ামস। আউট সাইড এজে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাদমান এবারও দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। ১৭ বল খেলে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। উইলিয়ামস দ্রুত ফেরায় ২২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
এরপর ক্রেগ আরভিন ও বেন কারান মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। বড় হতে যাওয়া সেই জুটি ভেঙেছেন মিরাজ। আরভিনকে ৩০তম ওভারের প্রথম বলে এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বোল্ড করেন মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে ওয়েসলি মাদেভারেকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই অফ স্পিনার।
নিজের পরের ওভারে ফিরেও উইকেট পেয়েছেন মিরাজ। তাফাদা সিগা এনামুল বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন মিরাজ। এরপর ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং বেন কারানকে ফিরিয়ে ইনিংসে ফাইফার পূরণ করেন মিরাজ। তাতে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ফাইফারের কৃতিত্ব দেখান এই অলরাউন্ডার।
শেষ দিকেলে বোলিংয়ে ফিরে জিম্বাবুয়ের লেজ ছাঁটাইয়ে যোগ দেন তাইজুলও। ৪৩তম ওভারে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। শেষ ব্যাটার হিসেবে রান আউট হয়েছে মাসাকেসা। সবমিলিয়ে ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। আরেক স্পিনার মিরাজে পেয়েছেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া নাঈম হাসান পেয়েছেন ৩ উইকেট।
সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের স্কোয়াড থেকে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি এই সিরিজের দলে। এর বড় কারণ গত সিরিজের পারফরম্যান্স। প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ
১ দিন আগেশেষ দুটি ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টিতে এমনকি লঙ্কান ভূমিতে প্রথমবার সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ল লিটন দাসের দল
১ দিন আগেসামনে সাউথ এশিয়ান গেমস। আমরা চেষ্টা করছি সাবেক তারকা এ দুই শাটলারকে মেয়েদের দায়িত্ব
১ দিন আগেচলতি মৌসুমে ১৩ ম্যাচে এ নিয়ে ৪ গোল করলেন নেইমার। সিরি আ এর চলতি মৌসুমে এটি তাঁর প্রথম গোল
১ দিন আগেসদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের স্কোয়াড থেকে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি এই সিরিজের দলে। এর বড় কারণ গত সিরিজের পারফরম্যান্স। প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ
শেষ দুটি ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টিতে এমনকি লঙ্কান ভূমিতে প্রথমবার সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ল লিটন দাসের দল
সামনে সাউথ এশিয়ান গেমস। আমরা চেষ্টা করছি সাবেক তারকা এ দুই শাটলারকে মেয়েদের দায়িত্ব
চলতি মৌসুমে ১৩ ম্যাচে এ নিয়ে ৪ গোল করলেন নেইমার। সিরি আ এর চলতি মৌসুমে এটি তাঁর প্রথম গোল