নিখাদ খবর ডেস্ক
দৈনন্দিন ব্যবহার্য প্রায় সব ডিজিটাল ডিভাইসই এখন রিচার্জেবল। যেমন ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচ, হেডফোন, ই-বাইক ইত্যাদি। এসব ডিভাইস আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হওয়ায় তা সবসময় চার্জ দিয়ে কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়। এ জন্য বিদ্যুতের নির্দিষ্ট জায়গায় চার্জার প্লাগ করে রাখি আমরা।
সবসময় এই চার্জার প্লাগ করে রাখা কী মোটেও ঠিক? দেয়ালে, বিছানার পাশে কিংবা বাসা-বাড়ির অফিসের ডেস্কে এভাবে চার্জার প্লাগে লাগিয়ে রাখার অভ্যাস থেকে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এবার তাহলে সর্বক্ষণ চার্জার প্লাগ করে রাখার ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
চার্জারের ভেতর কী থাকে:
সাধারণত সব চার্জার এক ধরনের হয় না। ব্যবহার ও বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী চার্জারের গঠন সহজ থেকে জটিল হতে পারে। একটি চার্জার দেয়ালের প্লাগ থেকে পাওয়া এসি (অলটারনেটিং কারেন্ট) বিদ্যুৎকে ডিসিতে (ডাইরেক্ট কারেন্ট) উপযুক্ত করে, যা ডিভাইসের ব্যাটারির জন্য উপযুক্ত হয়।
এসি ও ডিসির পার্থক্য:
এসি ও ডিসির মধ্যাকার পার্থক্য বুঝতে হলে তারের মধ্যে ইলেকট্রনের প্রবাহ কেমন হয় তা জানতে হবে বা বিবেচনা করতে হবে। ডিসি সার্কিটে ইলেকট্রন এক দিকে চলে এবং সার্কিটে ঘুরতে থাকে। আর এসি সার্কিটে ইলেকট্রনগুলো সঞ্চালিত হয় না এবং তা কেবল সামনে পিছনে চলে।
চার্জে না থাকলেও বিদ্যুৎ খরচ:
আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় এসি আকারে। তবে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ব্যাটারি ডিসিতে চলে। এ জন্য প্রায় সব যন্ত্রেই এসি-ডিসি কনভারটার থাকে। এই এসি থেকে ডিসিতে উপযুক্ত হওয়ার জন্য একটি সাধারণ চার্জারে প্রয়োজন হয় একাধিক উপাদান, যেমন―ট্রান্সফরমার, বিদ্যুৎ রূপান্তরের জন্য সার্কিট, ডিসি ভোল্টেজের গুণমান উন্নত করার জন্য ফিল্টারিং উপাদান এবং নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষার জন্য কন্ট্রোল সার্কিট। এ সবই কিছু না কিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এমনকি চার্জার যখন ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত থাকে না, তখনও বিদ্যুৎ খরচ করে। এ জন্য ডিভাইস চার্জ না দিলেও বিদ্যুতের খরচ হতে থাকে। এই সিস্টেমকে বলা হয় ‘ভ্যাম্পায়ার পাওয়ার’।
আপনি ফোন চার্জে না রাখলেও চার্জার প্লাগে রাখলে অল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। এর কিছু অংশ কন্ট্রোল সার্কিট চালাতে, বাকি অংশ তাপে রূপান্তর হয়। একটি ছোট চার্জারের ক্ষেত্রে হয়তো বিদ্যুতের এই খরচ সামান্য মনে হবে, কিন্তু বাড়িতে থাকা সবগুলো চার্জার একসঙ্গে এভাবে বিদ্যুৎ টেনে নিলে মোট হিসাবে তা বছরে কয়েক কিলোওয়াট ঘণ্টা হতে পারে।
এদিকে আধুনিক চার্জারগুলো তৈরি হয় স্মার্ট পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ, যা কোনো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট না থাকলে স্লিপ মোডে চলে যায় এবং তা বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় করে থাকে। শুধু যে চার্জার বিদ্যুৎ খরচ করে, তা কিন্তু নয়। এর বাইরে অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রও সামান্য পরিমাণে স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় বিদ্যুৎ টানে। যেমন টেলিভিশন।
অন্যান্য ঝুঁকি:
এভাবে বিদ্যুৎ খরচের কারণে কিছু ঝুঁকি তৈরি হয়। চার্জার প্লাগে থাকলে এতে সামান্য পরিমাণে বিদ্যুৎ চলাচল হয়। এ ক্ষেত্রে চার্জার যদি বেশ পুরোনো বা নিম্নমানের হয়, তাহলে তাপ উৎপন্ন হতে পারে এবং অতিরিক্ত তাপ থেকে শর্ট সার্কিট কিংবা স্পার্কের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ড হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে আধুনিক চার্জারে এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠার উন্নত প্রযুক্তি সংযোজন থাকে। কিন্তু সস্তা ও নিম্নমানের চার্জারে সবসময় নিরাপত্তাব্যবস্থা খারাপ থাকে। অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা থাকে।
চার্জার কীভাবে ব্যবহার করতে হবে:
আধুনিক চার্জারগুলো যদিও নিরাপদ, এরপরও তা সবসময় স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার ব্যবহার করা উচিত। ডিভাইস চার্জ হওয়ার পর প্লাগ থেকে খুলে রাখা উচিত। কোনো চার্জার স্বাভাবিকের থেকে বেশি গরম হলে, শব্দ করলে বা কোনো স্পার্ক করলে তা ব্যবহার করা বাদ দিতে হবে।
দৈনন্দিন ব্যবহার্য প্রায় সব ডিজিটাল ডিভাইসই এখন রিচার্জেবল। যেমন ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচ, হেডফোন, ই-বাইক ইত্যাদি। এসব ডিভাইস আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হওয়ায় তা সবসময় চার্জ দিয়ে কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়। এ জন্য বিদ্যুতের নির্দিষ্ট জায়গায় চার্জার প্লাগ করে রাখি আমরা।
সবসময় এই চার্জার প্লাগ করে রাখা কী মোটেও ঠিক? দেয়ালে, বিছানার পাশে কিংবা বাসা-বাড়ির অফিসের ডেস্কে এভাবে চার্জার প্লাগে লাগিয়ে রাখার অভ্যাস থেকে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এবার তাহলে সর্বক্ষণ চার্জার প্লাগ করে রাখার ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
চার্জারের ভেতর কী থাকে:
সাধারণত সব চার্জার এক ধরনের হয় না। ব্যবহার ও বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী চার্জারের গঠন সহজ থেকে জটিল হতে পারে। একটি চার্জার দেয়ালের প্লাগ থেকে পাওয়া এসি (অলটারনেটিং কারেন্ট) বিদ্যুৎকে ডিসিতে (ডাইরেক্ট কারেন্ট) উপযুক্ত করে, যা ডিভাইসের ব্যাটারির জন্য উপযুক্ত হয়।
এসি ও ডিসির পার্থক্য:
এসি ও ডিসির মধ্যাকার পার্থক্য বুঝতে হলে তারের মধ্যে ইলেকট্রনের প্রবাহ কেমন হয় তা জানতে হবে বা বিবেচনা করতে হবে। ডিসি সার্কিটে ইলেকট্রন এক দিকে চলে এবং সার্কিটে ঘুরতে থাকে। আর এসি সার্কিটে ইলেকট্রনগুলো সঞ্চালিত হয় না এবং তা কেবল সামনে পিছনে চলে।
চার্জে না থাকলেও বিদ্যুৎ খরচ:
আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় এসি আকারে। তবে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ব্যাটারি ডিসিতে চলে। এ জন্য প্রায় সব যন্ত্রেই এসি-ডিসি কনভারটার থাকে। এই এসি থেকে ডিসিতে উপযুক্ত হওয়ার জন্য একটি সাধারণ চার্জারে প্রয়োজন হয় একাধিক উপাদান, যেমন―ট্রান্সফরমার, বিদ্যুৎ রূপান্তরের জন্য সার্কিট, ডিসি ভোল্টেজের গুণমান উন্নত করার জন্য ফিল্টারিং উপাদান এবং নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষার জন্য কন্ট্রোল সার্কিট। এ সবই কিছু না কিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এমনকি চার্জার যখন ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত থাকে না, তখনও বিদ্যুৎ খরচ করে। এ জন্য ডিভাইস চার্জ না দিলেও বিদ্যুতের খরচ হতে থাকে। এই সিস্টেমকে বলা হয় ‘ভ্যাম্পায়ার পাওয়ার’।
আপনি ফোন চার্জে না রাখলেও চার্জার প্লাগে রাখলে অল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। এর কিছু অংশ কন্ট্রোল সার্কিট চালাতে, বাকি অংশ তাপে রূপান্তর হয়। একটি ছোট চার্জারের ক্ষেত্রে হয়তো বিদ্যুতের এই খরচ সামান্য মনে হবে, কিন্তু বাড়িতে থাকা সবগুলো চার্জার একসঙ্গে এভাবে বিদ্যুৎ টেনে নিলে মোট হিসাবে তা বছরে কয়েক কিলোওয়াট ঘণ্টা হতে পারে।
এদিকে আধুনিক চার্জারগুলো তৈরি হয় স্মার্ট পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ, যা কোনো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট না থাকলে স্লিপ মোডে চলে যায় এবং তা বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় করে থাকে। শুধু যে চার্জার বিদ্যুৎ খরচ করে, তা কিন্তু নয়। এর বাইরে অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রও সামান্য পরিমাণে স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় বিদ্যুৎ টানে। যেমন টেলিভিশন।
অন্যান্য ঝুঁকি:
এভাবে বিদ্যুৎ খরচের কারণে কিছু ঝুঁকি তৈরি হয়। চার্জার প্লাগে থাকলে এতে সামান্য পরিমাণে বিদ্যুৎ চলাচল হয়। এ ক্ষেত্রে চার্জার যদি বেশ পুরোনো বা নিম্নমানের হয়, তাহলে তাপ উৎপন্ন হতে পারে এবং অতিরিক্ত তাপ থেকে শর্ট সার্কিট কিংবা স্পার্কের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ড হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে আধুনিক চার্জারে এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠার উন্নত প্রযুক্তি সংযোজন থাকে। কিন্তু সস্তা ও নিম্নমানের চার্জারে সবসময় নিরাপত্তাব্যবস্থা খারাপ থাকে। অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা থাকে।
চার্জার কীভাবে ব্যবহার করতে হবে:
আধুনিক চার্জারগুলো যদিও নিরাপদ, এরপরও তা সবসময় স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার ব্যবহার করা উচিত। ডিভাইস চার্জ হওয়ার পর প্লাগ থেকে খুলে রাখা উচিত। কোনো চার্জার স্বাভাবিকের থেকে বেশি গরম হলে, শব্দ করলে বা কোনো স্পার্ক করলে তা ব্যবহার করা বাদ দিতে হবে।
অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর থাকতে হবে। নিবন্ধনের পর https://etax.nbr.gov.bd ওয়েবসাইটে লগইন করে রিটার্ন দাখিল করা যাবে
১৮ দিন আগেএকটু সতর্কতার সাথে নিজের হাতের প্রিয় ফোনটার একটু খেয়াল রাখলে দীর্ঘদিন কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সার্ভিস দেবে
২২ দিন আগেমেটাভেরিফাই ও স্টার বিক্রি করে একমাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ইনকাম
১৪ জুলাই ২০২৫কিন্তু বাস্তবতায় অনেক ক্ষেত্রেই এই ল্যাবের প্রধান উপকরণ, বিশেষ করে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপগুলো, শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের জন্য ভোগান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
২৯ জুন ২০২৫সবসময় এই চার্জার প্লাগ করে রাখা কী মোটেও ঠিক? দেয়ালে, বিছানার পাশে কিংবা বাসা-বাড়ির অফিসের ডেস্কে এভাবে চার্জার প্লাগে লাগিয়ে রাখার অভ্যাস থেকে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে
অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর থাকতে হবে। নিবন্ধনের পর https://etax.nbr.gov.bd ওয়েবসাইটে লগইন করে রিটার্ন দাখিল করা যাবে
একটু সতর্কতার সাথে নিজের হাতের প্রিয় ফোনটার একটু খেয়াল রাখলে দীর্ঘদিন কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সার্ভিস দেবে
মেটাভেরিফাই ও স্টার বিক্রি করে একমাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ইনকাম