রবিবার, ০১ জুন ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
বিশ্ব
ইউরোপ

গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ২০০

প্রতিনিধি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫, ১০: ৪৮
logo

গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ২০০

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫, ১০: ৪৮
Photo

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চল নতুন করে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে সেখানে কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।জোরপূর্বক গাজা শহরের দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ মানুষকে।

শনিবার (১৭ মে) গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল যে ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা নিছক সংঘর্ষ নয়- বরং এটি সুপরিকল্পিত গণহত্যা।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এই দুই দিনে গাজার উত্তর অংশে এক হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাবালিয়া, বাইত লাহিয়া ও আশপাশের এলাকায় স্থাপন করা শত শত শরণার্থী তাঁবু আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ড্রোন হামলার মাধ্যমে। ফলে ঘরহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি যখন জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দলগুলোর যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করছে। এর ফলে অন্তত ১৪০টি মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও যুদ্ধ আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।

গাজা শহরে আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় হাজারো পরিবার রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে আল-জালাআ স্ট্রিট ও আল-সাফতাউই এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ- কোনও কিছুরই পর্যাপ্ততা নেই।

গাজা শহরের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মিডিয়া অফিস। সেখানে আশ্রয়কেন্দ্র বা তাঁবুর ঘাটতির কারণে হাজার হাজার পরিবারকে রাস্তায় বসবাস করতে হচ্ছে, বিশেষ করে আল-জালাআ স্ট্রিট ও আল-সাফতাউই এলাকায়। খাদ্য, পানি ও ওষুধের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি এবং টানা অবরোধ ও বিমান হামলার মধ্যে তারা চরম মানবিক সংকটে রয়েছেন।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক উপসাগরীয় সফরের মাত্র চার দিনে ইসরায়েলি বাহিনী ৩৭৮ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আগের চার দিনে নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০। এই পার্থক্য আন্তর্জাতিক রাজনীতির ভূমিকা ও নেপথ্যের চাপ সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন তোলে।

উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার ওপর খাদ্য, পানি ও ওষুধ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রেখেছে। ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে আবারও হামলা শুরু করে তারা। অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলমান এই যুদ্ধ এখন পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৫৩,২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির।

Thumbnail image

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চল নতুন করে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে সেখানে কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।জোরপূর্বক গাজা শহরের দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ মানুষকে।

শনিবার (১৭ মে) গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল যে ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা নিছক সংঘর্ষ নয়- বরং এটি সুপরিকল্পিত গণহত্যা।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এই দুই দিনে গাজার উত্তর অংশে এক হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাবালিয়া, বাইত লাহিয়া ও আশপাশের এলাকায় স্থাপন করা শত শত শরণার্থী তাঁবু আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ড্রোন হামলার মাধ্যমে। ফলে ঘরহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি যখন জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দলগুলোর যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করছে। এর ফলে অন্তত ১৪০টি মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও যুদ্ধ আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।

গাজা শহরে আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় হাজারো পরিবার রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে আল-জালাআ স্ট্রিট ও আল-সাফতাউই এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ- কোনও কিছুরই পর্যাপ্ততা নেই।

গাজা শহরের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মিডিয়া অফিস। সেখানে আশ্রয়কেন্দ্র বা তাঁবুর ঘাটতির কারণে হাজার হাজার পরিবারকে রাস্তায় বসবাস করতে হচ্ছে, বিশেষ করে আল-জালাআ স্ট্রিট ও আল-সাফতাউই এলাকায়। খাদ্য, পানি ও ওষুধের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি এবং টানা অবরোধ ও বিমান হামলার মধ্যে তারা চরম মানবিক সংকটে রয়েছেন।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক উপসাগরীয় সফরের মাত্র চার দিনে ইসরায়েলি বাহিনী ৩৭৮ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আগের চার দিনে নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০। এই পার্থক্য আন্তর্জাতিক রাজনীতির ভূমিকা ও নেপথ্যের চাপ সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন তোলে।

উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার ওপর খাদ্য, পানি ও ওষুধ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রেখেছে। ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে আবারও হামলা শুরু করে তারা। অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলমান এই যুদ্ধ এখন পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৫৩,২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

ইউরোপ নিয়ে আরও পড়ুন

বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল সৌদি আরব

বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল সৌদি আরব

১৮ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করল ভারত

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করল ভারত

২০ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে জমে উঠেছে পশুর হাট, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

সৌদি আরবে জমে উঠেছে পশুর হাট, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

১ দিন আগে
তীব্র গরমে হজ পালনে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব

তীব্র গরমে হজ পালনে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব

চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতার দিন ৫ জুন ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার অর্থাৎ গ্রীষ্মের ঠিক শুরুতে। ইতোমধ্যে মক্কায় জড়ো হয়েছেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।

১ দিন আগে
বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল সৌদি আরব

বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল সৌদি আরব

১৮ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করল ভারত

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করল ভারত

২০ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে জমে উঠেছে পশুর হাট, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

সৌদি আরবে জমে উঠেছে পশুর হাট, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

১ দিন আগে
তীব্র গরমে হজ পালনে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব

তীব্র গরমে হজ পালনে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব

চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতার দিন ৫ জুন ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার অর্থাৎ গ্রীষ্মের ঠিক শুরুতে। ইতোমধ্যে মক্কায় জড়ো হয়েছেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।

১ দিন আগে