নিখাদ খবর ডেস্ক
পাকিস্তানের হামলা চালাতে গিয়ে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ভারত। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ) অনিল চৌহান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেন।
তবে 'অপারেশন সিঁদুরে' ভারত ঠিক কতগুলো যুদ্ধবিমান হারিয়েছে তা তিনি বিস্তারিত জানাননি।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রধান অনিল চৌহান শনিবার সিঙ্গাপুরে শাংরিলা ডায়লগে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমাদের জন্য বিমানের সংখ্যা নয়, বরং ভুলগুলো কী এবং কেন হয়েছে তা বোঝা বেশি জরুরি।'
তবে তিনি পাকিস্তানের দাবি যে তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, সেটি 'সম্পূর্ণ মিথ্যা' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ভারত কতগুলো যুদ্ধবিমান হারিয়েছে তাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি তিনি।
চৌহান বলেন, 'কেন সেগুলো ভূপাতিত হলো, কী ভুল হয়েছে — সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'ভালো দিক হলো আমরা আমাদের কৌশলগত ভুল বুঝতে পেরেছি, তা সংশোধন করেছি, এবং দুই দিনের মধ্যে আবার সব যুদ্ধবিমান নিয়ে আকাশে উড়েছি এবং দীর্ঘপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছি।'
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম ভারত, পাকিস্তানের হাতে নিজেদের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দিল।
এর আগে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেছিলেন যে পাকিস্তান ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যদিও সেই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। ভারত সরকারও এতদিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
গত অর্ধশতকে পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ। সীমান্তজুড়ে উভয় পক্ষ বিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি গোলাবর্ষণ ও গুলিবিনিময়ে লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষের সূচনা ঘটে ২২ এপ্রিল, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এক ভয়াবহ হামলার মধ্য দিয়ে। বন্দুকধারীদের গুলিতে সেখানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ভারত একে 'পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলা' বলে দাবি করে। তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
ভারতের সামরিক প্রধান চৌহান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকৃতি জানান যে, যুক্তরাষ্ট্র এ সংঘর্ষে পরমাণু যুদ্ধ এড়াতে সহায়তা করেছিল। তবে তিনি বলেন, 'যে কেউ বলে আমরা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তা বাস্তবতার সঙ্গে অনেক দূরের কথা।'
চৌহান বলেন, 'আমার মতে, প্রচলিত সামরিক অভিযান ও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সীমার মধ্যে অনেক ব্যবধান রয়েছে।' তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের পথ সবসময় খোলা ছিল। উত্তেজনা প্রশমনে আরও অনেক স্তর রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে পরমাণু অস্ত্র ছাড়াই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে চৌহান বলেন, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পাকিস্তান যেসব অস্ত্র পেয়েছিল, সেগুলো কার্যকর হয়নি। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানায়, চীন সংঘর্ষের সময় পাকিস্তানকে বিমান প্রতিরক্ষা ও স্যাটেলাইট সহায়তা দেয়।
চৌহান বলেন, 'আমরা পাকিস্তানের প্রবল বিমান প্রতিরক্ষায় সুরক্ষিত বিমানঘাঁটিতে ৩০০ কিলোমিটার ভেতরে মিটার নির্ভুলতায় হামলা চালাতে পেরেছি।'
সংঘর্ষ নিয়ে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই বিশ্বের বিভিন্ন রাজধানীতে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। চৌহান জানান, বর্তমানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, তবে এটি ভবিষ্যতে পাকিস্তানের আচরণের ওপর নির্ভর করবে।
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের স্পষ্ট লাল দাগ টেনে দিয়েছি।'
পাকিস্তানের হামলা চালাতে গিয়ে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ভারত। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ) অনিল চৌহান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেন।
তবে 'অপারেশন সিঁদুরে' ভারত ঠিক কতগুলো যুদ্ধবিমান হারিয়েছে তা তিনি বিস্তারিত জানাননি।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রধান অনিল চৌহান শনিবার সিঙ্গাপুরে শাংরিলা ডায়লগে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমাদের জন্য বিমানের সংখ্যা নয়, বরং ভুলগুলো কী এবং কেন হয়েছে তা বোঝা বেশি জরুরি।'
তবে তিনি পাকিস্তানের দাবি যে তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, সেটি 'সম্পূর্ণ মিথ্যা' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ভারত কতগুলো যুদ্ধবিমান হারিয়েছে তাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি তিনি।
চৌহান বলেন, 'কেন সেগুলো ভূপাতিত হলো, কী ভুল হয়েছে — সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'ভালো দিক হলো আমরা আমাদের কৌশলগত ভুল বুঝতে পেরেছি, তা সংশোধন করেছি, এবং দুই দিনের মধ্যে আবার সব যুদ্ধবিমান নিয়ে আকাশে উড়েছি এবং দীর্ঘপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছি।'
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম ভারত, পাকিস্তানের হাতে নিজেদের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দিল।
এর আগে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেছিলেন যে পাকিস্তান ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যদিও সেই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। ভারত সরকারও এতদিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
গত অর্ধশতকে পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ। সীমান্তজুড়ে উভয় পক্ষ বিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি গোলাবর্ষণ ও গুলিবিনিময়ে লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষের সূচনা ঘটে ২২ এপ্রিল, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এক ভয়াবহ হামলার মধ্য দিয়ে। বন্দুকধারীদের গুলিতে সেখানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ভারত একে 'পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলা' বলে দাবি করে। তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
ভারতের সামরিক প্রধান চৌহান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকৃতি জানান যে, যুক্তরাষ্ট্র এ সংঘর্ষে পরমাণু যুদ্ধ এড়াতে সহায়তা করেছিল। তবে তিনি বলেন, 'যে কেউ বলে আমরা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তা বাস্তবতার সঙ্গে অনেক দূরের কথা।'
চৌহান বলেন, 'আমার মতে, প্রচলিত সামরিক অভিযান ও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সীমার মধ্যে অনেক ব্যবধান রয়েছে।' তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের পথ সবসময় খোলা ছিল। উত্তেজনা প্রশমনে আরও অনেক স্তর রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে পরমাণু অস্ত্র ছাড়াই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে চৌহান বলেন, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পাকিস্তান যেসব অস্ত্র পেয়েছিল, সেগুলো কার্যকর হয়নি। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানায়, চীন সংঘর্ষের সময় পাকিস্তানকে বিমান প্রতিরক্ষা ও স্যাটেলাইট সহায়তা দেয়।
চৌহান বলেন, 'আমরা পাকিস্তানের প্রবল বিমান প্রতিরক্ষায় সুরক্ষিত বিমানঘাঁটিতে ৩০০ কিলোমিটার ভেতরে মিটার নির্ভুলতায় হামলা চালাতে পেরেছি।'
সংঘর্ষ নিয়ে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই বিশ্বের বিভিন্ন রাজধানীতে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। চৌহান জানান, বর্তমানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, তবে এটি ভবিষ্যতে পাকিস্তানের আচরণের ওপর নির্ভর করবে।
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের স্পষ্ট লাল দাগ টেনে দিয়েছি।'