নিখাদ খবর ডেস্ক
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলায় এক চিকিৎসক মায়ের ৯ সন্তানের প্রাণ গেছে। ওই মায়ের নাম আলা আল-নাজ্জার। নতার স্বামী ও এক সন্তান আহত অবস্থায় বেঁচে গেছেন।
শুক্রবার (২৪ মে) গাজার খান ইউনিসে চালানো এই বর্বর হামলায় মুহূর্তেই ভেঙে চুরমার হয়ে যায় একটি গোটা পরিবার।
আলজারিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মা আলা আল নাজার নামের ওই নারী চিকিৎসক গাজার নাসের হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামীও একজন চিকিৎসক। ঘটনার সময় তিনি স্ত্রীকে কর্মস্থলে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়িতে প্রবেশের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রিটিশ সার্জন গ্রায়েমে গ্রুম বিবিসিকে বলেছেন, এটি অসহনীয় নিষ্ঠুরতা, বহু বছর ধরে শিশুদের জন্য কাজ করা একজন চিকিৎসক তার প্রায় সব সন্তান হারিয়েছেন।ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা শুক্রবার খান ইউনিসে সন্দেহভাজন কিছু জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে পোড়া দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। বিবিসি ছবিটির সত্যতা যাচাই করছে।
আইডিএফ বলছে, খান ইউনিস একটি বিপজ্জনক যুদ্ধ এলাকা। অভিযান শুরুর আগে ওই এলাকা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
শনিবার এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, গাজায় একশরও বেশি টার্গেটে তারা হামলা করেছে। এতে ৭৪ জন নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর মুনির আলবোরশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, আল-নাজ্জারের স্বামী তাকে কর্মস্থলে নামিয়ে বাসায় ফেরার পরপরই হামলাটি হয়।
তাদের সবচেয়ে বড় সন্তানের বয়স ছিল ১২ বছর। শিশুদের বাবা নিজেও একজন চিকিৎসক, যিনি মারাত্মক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গ্রুম।
তিনি বলেন, শিশুদের বাবার কোন রাজনৈতিক বা সামরিক যোগসূত্র তো নয়ই, এমনকি তিনি সামাজিক মাধ্যমেও খুব একটা পরিচিত নন। গ্রুম বলেন, ওই দম্পতির যে সন্তানটি বেঁচে আছে তার বয়স ১১। তার বাঁ হাত প্রায় ঝুলে ছিল, তিনি বিবিসিকে বলছিলেন।
'যেহেতু তার বাবা মা দুজনেই চিকিৎসক সে কারণে হয়ত গাজার সুবিধা পাওয়াদের মধ্যে সে একজন। কিন্তু অপারেশনের টেবিলে সে নিজেকে ১১ বছরেরও চেয়ে ছোট ভাবছিল। আমাদের ছোট ছেলেটি হয়ত বাঁচবে কিন্তু তার বাবার অবস্থা আমরা জানি না,' বলছিলেন তিনি।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল শুক্রবার টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, হামলার পর আল-নাজ্জারের বাসা থেকে তারা আটটি মৃতদেহ ও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করেছেন।
প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল থেকে আট শিশুর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছিল। দুই ঘণ্টা পর জানানো হয় যে, মোট নয়টি শিশু মারা গেছে সেখানে।
আরেকজন চিকিৎসক ইউসেফ আবু আল-রিশ জানিয়েছেন, আল-নাজ্জারের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তিনিও অপারেশন রুমে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলায় এক চিকিৎসক মায়ের ৯ সন্তানের প্রাণ গেছে। ওই মায়ের নাম আলা আল-নাজ্জার। নতার স্বামী ও এক সন্তান আহত অবস্থায় বেঁচে গেছেন।
শুক্রবার (২৪ মে) গাজার খান ইউনিসে চালানো এই বর্বর হামলায় মুহূর্তেই ভেঙে চুরমার হয়ে যায় একটি গোটা পরিবার।
আলজারিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মা আলা আল নাজার নামের ওই নারী চিকিৎসক গাজার নাসের হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামীও একজন চিকিৎসক। ঘটনার সময় তিনি স্ত্রীকে কর্মস্থলে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়িতে প্রবেশের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রিটিশ সার্জন গ্রায়েমে গ্রুম বিবিসিকে বলেছেন, এটি অসহনীয় নিষ্ঠুরতা, বহু বছর ধরে শিশুদের জন্য কাজ করা একজন চিকিৎসক তার প্রায় সব সন্তান হারিয়েছেন।ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা শুক্রবার খান ইউনিসে সন্দেহভাজন কিছু জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে পোড়া দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। বিবিসি ছবিটির সত্যতা যাচাই করছে।
আইডিএফ বলছে, খান ইউনিস একটি বিপজ্জনক যুদ্ধ এলাকা। অভিযান শুরুর আগে ওই এলাকা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
শনিবার এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, গাজায় একশরও বেশি টার্গেটে তারা হামলা করেছে। এতে ৭৪ জন নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর মুনির আলবোরশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, আল-নাজ্জারের স্বামী তাকে কর্মস্থলে নামিয়ে বাসায় ফেরার পরপরই হামলাটি হয়।
তাদের সবচেয়ে বড় সন্তানের বয়স ছিল ১২ বছর। শিশুদের বাবা নিজেও একজন চিকিৎসক, যিনি মারাত্মক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গ্রুম।
তিনি বলেন, শিশুদের বাবার কোন রাজনৈতিক বা সামরিক যোগসূত্র তো নয়ই, এমনকি তিনি সামাজিক মাধ্যমেও খুব একটা পরিচিত নন। গ্রুম বলেন, ওই দম্পতির যে সন্তানটি বেঁচে আছে তার বয়স ১১। তার বাঁ হাত প্রায় ঝুলে ছিল, তিনি বিবিসিকে বলছিলেন।
'যেহেতু তার বাবা মা দুজনেই চিকিৎসক সে কারণে হয়ত গাজার সুবিধা পাওয়াদের মধ্যে সে একজন। কিন্তু অপারেশনের টেবিলে সে নিজেকে ১১ বছরেরও চেয়ে ছোট ভাবছিল। আমাদের ছোট ছেলেটি হয়ত বাঁচবে কিন্তু তার বাবার অবস্থা আমরা জানি না,' বলছিলেন তিনি।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল শুক্রবার টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, হামলার পর আল-নাজ্জারের বাসা থেকে তারা আটটি মৃতদেহ ও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করেছেন।
প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল থেকে আট শিশুর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছিল। দুই ঘণ্টা পর জানানো হয় যে, মোট নয়টি শিশু মারা গেছে সেখানে।
আরেকজন চিকিৎসক ইউসেফ আবু আল-রিশ জানিয়েছেন, আল-নাজ্জারের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তিনিও অপারেশন রুমে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।
চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতার দিন ৫ জুন ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার অর্থাৎ গ্রীষ্মের ঠিক শুরুতে। ইতোমধ্যে মক্কায় জড়ো হয়েছেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
১ দিন আগেচলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতার দিন ৫ জুন ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার অর্থাৎ গ্রীষ্মের ঠিক শুরুতে। ইতোমধ্যে মক্কায় জড়ো হয়েছেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।