সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
বিশ্ব
মধ্যপ্রাচ্য

ফিলিস্তিনি বন্দী কাতাবির মাথায় ইহুদি প্রতীক ‘স্টার অব ডেভিড’ এঁকে মুক্তি দিল ইসরায়েল

প্রতিনিধি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ৩৬
logo

ফিলিস্তিনি বন্দী কাতাবির মাথায় ইহুদি প্রতীক ‘স্টার অব ডেভিড’ এঁকে মুক্তি দিল ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ৩৬
Photo
ছবি: সংগৃহীত

তিন বছর কারাগারে আটক রাখার পর অবশেষে এক ফিলিস্তিনি বন্দী মুসাব কাতাবিকে গত বৃহস্পতিবার মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। তবে শেষ মুহূর্তেও তার ওপর নির্যাতন চালান দেশটির কারারক্ষীরা। মুসাব কাতাবিকে মুক্তি দেওয়ার আগে মাথা আবর্জনার বাক্সে ঢুকিয়ে দেন ও তার মাথায় ইহুদিদের প্রতীক ‘স্টার অব ডেভিড’ এঁকে দেয় কারারক্ষীরা।

পরে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নিজ শহর কালকিলিয়ায় মিডল ইস্ট আইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন কাতাবি।

সাক্ষাৎকারে কাতাবি বলেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সে গ্রেপ্তার হওয়ার ফিলিস্তিনি কিশোর আহমেদ মানাশ্রার পাশাপাশি তাকেও মুক্তি দেয় ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মানাশ্রাকে সাড়ে ৯ বছর পর মুক্তি দেওয়া হয়।

কাতাবি বলেন, তার মতো মানাশ্রার ওপরেও মুক্তির আগে নির্যাতন করা হয়েছে।

কাতাবি বলেন, ‘(ইসরায়েলি) কারারক্ষীরা বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের একত্র করেন ও কারাগারের বাইরে র‍্যামন নামক স্থানে নিয়ে যান। তাঁরা আমাদের ছবি তোলেন ও কাগজপত্রে সই নেন।’

‘মুক্তির মুহূর্তে তাঁরা (কারারক্ষীরা) ময়লা ফেলার একটি বাক্স নিয়ে আসেন, আমাদের মাথা তাতে ঢুকিয়ে দেন ও মারধর করেন। পরে একজন আমার মাথার চুল চেঁছে ‘‘স্টার অব ডেভিড’’ প্রতীক এঁকে দেন’, বলেন কাতাবি।

তবে এ ঘটনার আগেও ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অংশ হিসেবে ‘স্টার অব ডেভিড’ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। ইহুদিদের এ ধর্মীয় প্রতীক ইসরায়েলি পতাকায় আঁকা আছে।

২০২৩ সালের আগস্টে পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনির গালে জোর করে ‘স্টার অব ডেভিড’ সেঁটে দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী।

ওই বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলা ও এর জের ধরে গাজায় দেশটির তাণ্ডব শুরুর পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। ইতিমধ্যে, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ফিলিস্তিনি বন্দী ইস্যুতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

ইসরায়েলের কারাগারে থাকা অবস্থায় বেশ কিছু ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। অনেককে মারধর, নানা ধরনের নির্যাতন ও তাঁদের ওপর যৌন সহিংসতা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

গত জুলাইয়ে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী বেন গিভির গর্ব করে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি বন্দীদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পেরেছেন তাঁরা।

মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি কাতাবিকে ইসরায়েলের নাফহা কারাগারে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, সেখানে তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য বন্দীদের প্রতিদিন মারধর করেছেন কারারক্ষীরা।

কাতাবি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রচণ্ড মারধর করা হতো। তাঁরা আমাদের ভীষণভাবে অপমান করতেন, আমাদের শরীর পা দিয়ে মাড়াতেন, কুকুর দিয়ে ভয় দেখাতেন। এগুলো সহ্য করা ছিল খুব কঠিন।’ বন্দী অবস্থায় না খাইয়ে রাখা, পরিচ্ছন্নতাসামগ্রী না দেওয়া ও অসুখ–বিসুখে চিকিৎসা না দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে ফিলিস্তিন ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে কাতাবি বলেছেন, ‘তাঁদের অবস্থা বিপজ্জ্বনকের চেয়েও খারাপ।’

সূত্র: মিডল ইস্ট আই

Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

তিন বছর কারাগারে আটক রাখার পর অবশেষে এক ফিলিস্তিনি বন্দী মুসাব কাতাবিকে গত বৃহস্পতিবার মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। তবে শেষ মুহূর্তেও তার ওপর নির্যাতন চালান দেশটির কারারক্ষীরা। মুসাব কাতাবিকে মুক্তি দেওয়ার আগে মাথা আবর্জনার বাক্সে ঢুকিয়ে দেন ও তার মাথায় ইহুদিদের প্রতীক ‘স্টার অব ডেভিড’ এঁকে দেয় কারারক্ষীরা।

পরে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নিজ শহর কালকিলিয়ায় মিডল ইস্ট আইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন কাতাবি।

সাক্ষাৎকারে কাতাবি বলেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সে গ্রেপ্তার হওয়ার ফিলিস্তিনি কিশোর আহমেদ মানাশ্রার পাশাপাশি তাকেও মুক্তি দেয় ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মানাশ্রাকে সাড়ে ৯ বছর পর মুক্তি দেওয়া হয়।

কাতাবি বলেন, তার মতো মানাশ্রার ওপরেও মুক্তির আগে নির্যাতন করা হয়েছে।

কাতাবি বলেন, ‘(ইসরায়েলি) কারারক্ষীরা বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের একত্র করেন ও কারাগারের বাইরে র‍্যামন নামক স্থানে নিয়ে যান। তাঁরা আমাদের ছবি তোলেন ও কাগজপত্রে সই নেন।’

‘মুক্তির মুহূর্তে তাঁরা (কারারক্ষীরা) ময়লা ফেলার একটি বাক্স নিয়ে আসেন, আমাদের মাথা তাতে ঢুকিয়ে দেন ও মারধর করেন। পরে একজন আমার মাথার চুল চেঁছে ‘‘স্টার অব ডেভিড’’ প্রতীক এঁকে দেন’, বলেন কাতাবি।

তবে এ ঘটনার আগেও ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অংশ হিসেবে ‘স্টার অব ডেভিড’ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। ইহুদিদের এ ধর্মীয় প্রতীক ইসরায়েলি পতাকায় আঁকা আছে।

২০২৩ সালের আগস্টে পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনির গালে জোর করে ‘স্টার অব ডেভিড’ সেঁটে দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী।

ওই বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলা ও এর জের ধরে গাজায় দেশটির তাণ্ডব শুরুর পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। ইতিমধ্যে, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ফিলিস্তিনি বন্দী ইস্যুতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

ইসরায়েলের কারাগারে থাকা অবস্থায় বেশ কিছু ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। অনেককে মারধর, নানা ধরনের নির্যাতন ও তাঁদের ওপর যৌন সহিংসতা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

গত জুলাইয়ে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী বেন গিভির গর্ব করে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি বন্দীদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পেরেছেন তাঁরা।

মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি কাতাবিকে ইসরায়েলের নাফহা কারাগারে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, সেখানে তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য বন্দীদের প্রতিদিন মারধর করেছেন কারারক্ষীরা।

কাতাবি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রচণ্ড মারধর করা হতো। তাঁরা আমাদের ভীষণভাবে অপমান করতেন, আমাদের শরীর পা দিয়ে মাড়াতেন, কুকুর দিয়ে ভয় দেখাতেন। এগুলো সহ্য করা ছিল খুব কঠিন।’ বন্দী অবস্থায় না খাইয়ে রাখা, পরিচ্ছন্নতাসামগ্রী না দেওয়া ও অসুখ–বিসুখে চিকিৎসা না দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে ফিলিস্তিন ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে কাতাবি বলেছেন, ‘তাঁদের অবস্থা বিপজ্জ্বনকের চেয়েও খারাপ।’

সূত্র: মিডল ইস্ট আই

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আরও পড়ুন

অনিল আম্বানির ৩,৮৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

অনিল আম্বানির ৩,৮৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

ভারতের মুম্বাইয়ের পালি হিল থেকে দিল্লির রিলায়েন্স সেন্টার পর্যন্ত অন্তত আটটি শহরে অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি রুপির সম্পত্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বাজেয়াপ্ত করেছে

৬ ঘণ্টা আগে
ইরানে  ৮ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে রাশিয়ার সহায়তায়

ইরানে ৮ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে রাশিয়ার সহায়তায়

এই সহযোগিতার আওতায় চারটি কেন্দ্র বুশেহর অঞ্চলে এবং বাকি চারটি দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হবে, যার সুনির্দিষ্ট অবস্থান পরবর্তীতে সরকার ঘোষণা করবে

৬ ঘণ্টা আগে
সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আহ্বান আন্তোনিও গুতেরেসের

সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আহ্বান আন্তোনিও গুতেরেসের

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করতে সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন

৬ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্থানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নীল মসজিদ

আফগানিস্থানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নীল মসজিদ

ই মসজিদটি দেশটির অন্যতম সুন্দর স্থাপনার মধ্যে একটি। নীল মসজিদকে হযরত আলী (রাঃ)-এর কবর হিসেবে দাবি করা হলেও, ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী হযরত আলীকে ইরাকের নাজাফে দাফন করা হয়েছিল

৭ ঘণ্টা আগে
অনিল আম্বানির ৩,৮৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

অনিল আম্বানির ৩,৮৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

ভারতের মুম্বাইয়ের পালি হিল থেকে দিল্লির রিলায়েন্স সেন্টার পর্যন্ত অন্তত আটটি শহরে অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি রুপির সম্পত্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বাজেয়াপ্ত করেছে

৬ ঘণ্টা আগে
ইরানে  ৮ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে রাশিয়ার সহায়তায়

ইরানে ৮ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে রাশিয়ার সহায়তায়

এই সহযোগিতার আওতায় চারটি কেন্দ্র বুশেহর অঞ্চলে এবং বাকি চারটি দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হবে, যার সুনির্দিষ্ট অবস্থান পরবর্তীতে সরকার ঘোষণা করবে

৬ ঘণ্টা আগে
সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আহ্বান আন্তোনিও গুতেরেসের

সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আহ্বান আন্তোনিও গুতেরেসের

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করতে সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন

৬ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্থানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নীল মসজিদ

আফগানিস্থানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নীল মসজিদ

ই মসজিদটি দেশটির অন্যতম সুন্দর স্থাপনার মধ্যে একটি। নীল মসজিদকে হযরত আলী (রাঃ)-এর কবর হিসেবে দাবি করা হলেও, ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী হযরত আলীকে ইরাকের নাজাফে দাফন করা হয়েছিল

৭ ঘণ্টা আগে