বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় এখন থেকে আসামি গ্রেপ্তারের আগে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এমনকি গ্রেপ্তারের উপযুক্ত প্রমাণও পেশ করতে হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসংক্রান্ত মামলাগুলোর অধিকাংশেই এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অনেক বেশি। এ ধরনের মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে শনাক্ত হওয়া আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণ (যেমন ভুক্তভোগীর বক্তব্য, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ঘটনাসংশ্লিষ্ট ভিডিও/ অডিও/ স্থিরচিত্র, মোবাইল কললিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) উপস্থাপন করে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা সব সময় স্বচ্ছতার পক্ষে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন এবং প্রকৃত অপরাধীরা যেন ছাড় না পান, তা নিশ্চিত করতেই আমরা কাজ করছি।’
এ ব্যাপারে ডিএমপির এই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন–সংক্রান্ত মামলায় তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। তবে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের আগে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।’
আর এ জন্যই পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে এ–সংক্রান্ত একটি নিদের্শনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ আইন অনুযায়ী সাধারণত তদন্তকারী কর্মকর্তাই মামলায় আসামি গ্রেপ্তার ও প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোর ক্ষেত্রে নির্বিচারে আসামি করার অভিযোগ ওঠার পর থেকে সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে যে, মামলা হলেই গ্রেপ্তার না করার।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে এসব মামলার সূত্রপাত ঘটে। একেকটি মামলায় কয়েক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের অনেকেরই ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আর এমন তথ্যই উঠে এসেছে প্রাথমিক অনুসন্ধানে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় হাজারের বেশি এমন মামলা হয়েছে।
এসব মামলায় শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের একসঙ্গে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, মামলার আসামি করা এবং গ্রেপ্তার নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। এ অবস্থায় বারবার নির্দেশনা এসেছে—গ্রেপ্তারের আগে নিশ্চিত হতে হবে ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে।
এ ছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকেও একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক মামলায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলে তাদের গ্রেপ্তার করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একাধিকবার জানিয়েছেন, ‘মামলা হলেই গ্রেপ্তার করতে হবে—এই নীতি থেকে পুলিশকে সরে এসে বিচার-বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এর আগে একই প্রসঙ্গে গত ৫ ডিসেম্বর পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম গণমাধ্যমককে বলেছিলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর অনেকে মিথ্যা মামলা করেছেন। তবে এসব ক্ষেত্রে কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হবে না। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে না। নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে, বাণিজ্য হচ্ছে, প্রতারণা হচ্ছে; ৫ আগস্ট ঘিরে এসব হচ্ছে।’
২০২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় এখন থেকে আসামি গ্রেপ্তারের আগে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এমনকি গ্রেপ্তারের উপযুক্ত প্রমাণও পেশ করতে হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসংক্রান্ত মামলাগুলোর অধিকাংশেই এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অনেক বেশি। এ ধরনের মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে শনাক্ত হওয়া আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণ (যেমন ভুক্তভোগীর বক্তব্য, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ঘটনাসংশ্লিষ্ট ভিডিও/ অডিও/ স্থিরচিত্র, মোবাইল কললিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) উপস্থাপন করে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা সব সময় স্বচ্ছতার পক্ষে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন এবং প্রকৃত অপরাধীরা যেন ছাড় না পান, তা নিশ্চিত করতেই আমরা কাজ করছি।’
এ ব্যাপারে ডিএমপির এই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন–সংক্রান্ত মামলায় তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। তবে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের আগে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।’
আর এ জন্যই পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে এ–সংক্রান্ত একটি নিদের্শনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ আইন অনুযায়ী সাধারণত তদন্তকারী কর্মকর্তাই মামলায় আসামি গ্রেপ্তার ও প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোর ক্ষেত্রে নির্বিচারে আসামি করার অভিযোগ ওঠার পর থেকে সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে যে, মামলা হলেই গ্রেপ্তার না করার।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে এসব মামলার সূত্রপাত ঘটে। একেকটি মামলায় কয়েক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের অনেকেরই ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আর এমন তথ্যই উঠে এসেছে প্রাথমিক অনুসন্ধানে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় হাজারের বেশি এমন মামলা হয়েছে।
এসব মামলায় শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের একসঙ্গে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, মামলার আসামি করা এবং গ্রেপ্তার নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। এ অবস্থায় বারবার নির্দেশনা এসেছে—গ্রেপ্তারের আগে নিশ্চিত হতে হবে ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে।
এ ছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকেও একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক মামলায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলে তাদের গ্রেপ্তার করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একাধিকবার জানিয়েছেন, ‘মামলা হলেই গ্রেপ্তার করতে হবে—এই নীতি থেকে পুলিশকে সরে এসে বিচার-বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এর আগে একই প্রসঙ্গে গত ৫ ডিসেম্বর পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম গণমাধ্যমককে বলেছিলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর অনেকে মিথ্যা মামলা করেছেন। তবে এসব ক্ষেত্রে কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হবে না। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে না। নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে, বাণিজ্য হচ্ছে, প্রতারণা হচ্ছে; ৫ আগস্ট ঘিরে এসব হচ্ছে।’
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাকিব (২৬) নামে এক যুবক। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ভূঞাপুর রেলস্টেশন এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়িতে বৈসাবি উৎসব শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ শিক্ষার্থীসহ মোট ছয়জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন নারী শিক্ষার্থীও। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের জোরপূর্বক তুলে নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবরিশাল জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত উৎস কর কম নেওয়ার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে বেশ কয়েকটি দলিলে অনিয়মের স্পষ্ট প্রমাণও পেয়েছে কমিশন।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল নানা জটিলতায় জর্জরিত হয়ে এক হাজার ৪৩৩টি মামলার ভারে নুয়ে পড়েছে। ভূমি জটিলতা, ক্যাটারিং সার্ভিস, নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা- সব মিলিয়ে মামলা যেন রেলওয়ের নিত্যদিনের বাস্তবতা।
৫ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাকিব (২৬) নামে এক যুবক। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ভূঞাপুর রেলস্টেশন এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উৎসব শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ শিক্ষার্থীসহ মোট ছয়জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন নারী শিক্ষার্থীও। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের জোরপূর্বক তুলে নেওয়া হয়।
বরিশাল জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত উৎস কর কম নেওয়ার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে বেশ কয়েকটি দলিলে অনিয়মের স্পষ্ট প্রমাণও পেয়েছে কমিশন।
চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল নানা জটিলতায় জর্জরিত হয়ে এক হাজার ৪৩৩টি মামলার ভারে নুয়ে পড়েছে। ভূমি জটিলতা, ক্যাটারিং সার্ভিস, নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা- সব মিলিয়ে মামলা যেন রেলওয়ের নিত্যদিনের বাস্তবতা।