‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মটাই এখন বৈষম্যের উৎস’-রাশেদ খাঁন

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মটা এখন বৈষম্য সৃষ্টির প্ল্যাটফর্ম। এটার পবিত্রতা রক্ষায় প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম স্থায়ীভাবে স্থগিত রাখা দরকার।

আজ শনিবার (২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রাশেদ খাঁন বলেন, এই প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে সত্য। কিন্তু এক বছরে সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধির পরিচয়ে যেভাবে চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য, প্রমোশন ও রদবদল ইত্যাদি হয়েছে, এই প্ল্যাটফর্মের বর্তমান সুনাম 'মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ' এর মতো৷

তিনি আরও বলেন, কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এই প্ল্যাটফর্মের এমন অপমৃত্যু কারও প্রত্যাশিত ছিল না। সার্বজনীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটাকে ইতিহাসের পাতায় সংরক্ষিত রাখা দরকার ছিল, যাতে সকলে প্ল্যাটফর্মটি ওউন (own) করে। এই প্ল্যাটফর্ম বা সমন্বয়ক পদ ইত্যাদির প্রতি মানুষের যতো নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পাবে, আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের ততো ঘৃণা প্রশমিত ও জুলাই নিয়ে আগ্রহ-প্রত্যাশা মলিন হবে। কিন্তু মনে হচ্ছে প্ল্যাটফর্মটিকে বিতর্কের মধ্যে রাখা কারও কারও উদ্দেশ্য। সেই বিতর্কের ফাঁদে যদি স্বয়ং রাজনীতিক, ছাত্র সংগঠক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা পা দেয়, তা হবে দুঃখজনক।

গণঅধিকার পরিষদের এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, গত এক বছরে যাদের কোনো মূল্যায়ন করেনি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, গণ-অভ্যুত্থানের স্টেক থেকে বঞ্চিত করেছে, এখন যদি কুক্ষিগত করা এই প্ল্যাটফর্মের ইমেজ ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে ডাকে, আর সবাই চলে যায়, তা হবে নিজেদেরকে নিজেরা অপমানিত করা। এক্ষেত্রে ন্যূনতম আত্মমর্যাদা থাকা দরকার। এক বছর পরে তাদের উপলব্ধি হয়েছে যে, এই প্ল্যাটফর্ম বাঁচানোর জন্য সবাইকে লাগবে! এর আগে মনে হয়নি...!

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

রাজধানী নিয়ে আরও পড়ুন

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক কৃষকের আঙিনায় জন্মেছে এক আশ্চর্য লম্বা বেগুন গাছ, যা এখন সারা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণত একটি বেগুন গাছের উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুটের বেশি হয় না, কিন্তু এই গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুটেরও বেশি। আশ্চর্যের বিষয়, এত লম্বা হওয়া সত্ত্বেও গাছটি ফলেও ভরপুর।

২ ঘণ্টা আগে

নীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে

১ দিন আগে

১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল

১ দিন আগে

সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী হাইস্কুলে ২-৪ নভেম্বর তাফসির মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে

১ দিন আগে