ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে গভীর রাতে পাচারের সময় প্লাস্টিক বস্তাভর্তি ১৭৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা।

গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে কালিয়াপাড়া বাজার সংলগ্ন কামালপুর এলাকার একটি সড়কে পাওয়ার ট্রলিভর্তি চাল দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা সেটি থামিয়ে দেন। পরে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রলিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

নান্দাইল মডেল থানার একটি সূত্র জানায়, প্রতিটি বস্তায় ২৫ কেজি করে মোট ১৭৮ বস্তায় প্রায় সাড়ে চার মেট্রিক টন চাল রয়েছে। চালগুলো সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ পাওয়া ভর্তুকি মূল্যের (১৫ টাকা প্রতি কেজি) চাল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চালগুলো প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে না দিয়ে চক্রবদ্ধভাবে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে সরকারি চিহ্নযুক্ত বস্তা পরিবর্তন করে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাতের আঁধারে তা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির দায়িত্বে রয়েছেন চারজন ডিলার। তাদের কার্যক্রম তদারকিতে চারজন সরকারি কর্মচারীও নিয়োজিত রয়েছেন।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, এ ঘটনায় খাদ্য বিভাগের দায়িত্বে বড় ধরনের গাফিলতি রয়েছে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. দেলোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এদিকে, চালের একজন ক্রেতা মো. মোস্তফা জানান, তিনি ৪০ টাকা কেজি দরে চাল কিনেছেন। কারা চাল বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, "যাদের চালের প্রয়োজন নেই, তারাই আমাদের কাছে বিক্রি করে দেন। আমরা তো শুধু কিনেছি, দোষ কোথায়?"

নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “ইউএনও ও এসিল্যান্ড মহোদয় ট্রলিভর্তি চাল থানায় জমা দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”