মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত পৌর সুপার মার্কেট ভবনটি এখন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ সেই ভবনেই চলছে চারটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ভবনটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পরও বন্ধ হয়নি হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম। বরং সম্প্রতি অনুমোদন ছাড়াই ভবনটির চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে এবং নতুন দুটি হাসপাতাল সেখানে চালু হয়েছে। এতে যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকেরা।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌর সুপার মার্কেটটি ১৯৯৫ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হয়। এটি প্রথমে দুইতলা ভবন হিসেবে পরিকল্পিত থাকলেও পরবর্তীতে কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ভবনটিতে প্রায় ৩৯০টি দোকান এবং চারটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু রয়েছে।
মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ২০০৯ সালে মেডিল্যাব হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে ১০ শয্যার একটি হাসপাতাল চালু হয়। সর্বশেষ এটি নবায়ন করা হয় ২০২০-২১ অর্থবছরে। এরপর থেকে নবায়ন ছাড়াই চলছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালে গড়ে ওঠে মানিকগঞ্জ সেন্ট্রাল স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, যার নবায়ন শেষ হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মন্টু বিশ্বাস বলেন, “পৌর সুপার মার্কেট ভবনটি কাঠামোগতভাবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটির কোন সেফটি প্লান নেই। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ভয়াবহ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।”
তিনি জানান, ভবন কর্তৃপক্ষকে দুই দফা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পেলে যেকোনো সময় অভিযান চালানো হবে।
অগ্নিপ্রতিরোধ ও অগ্নিনির্বাপণ আইন-২০০৩ এর ধারা ৪ অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক। একই আইনের ধারা ১৭ অনুযায়ী, ধারা ৪ লঙ্ঘন করা হলে তিন বছরের কারাদণ্ড, একইসঙ্গে অর্থদণ্ড ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, “বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি অবগত আছি। মার্কেটের চারতলাতে আরও একটি হাসপাতালের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল, আমি সেটা বাতিল করে দিয়েছি। বর্তমানে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। টিকাদান কর্মসূচি শেষ হলে হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরসভা- চারটি সংস্থার অনুমোদন ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে হাসপাতাল পরিচালনা করা ‘হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্থাপন, অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০১৪’-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রযোজনীয় কাগজপত্র না থাকার পরও এসব হাসপাতাল চালু রয়েছে। এতে বোঝা যায়, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করেই হাসপাতালগুলো চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলবে চিকিৎসা কার্যক্রম, আর ঝুঁকিতে থাকবে শত শত মানুষের জীবন।

মানিকগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত পৌর সুপার মার্কেট ভবনটি এখন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ সেই ভবনেই চলছে চারটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ভবনটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পরও বন্ধ হয়নি হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম। বরং সম্প্রতি অনুমোদন ছাড়াই ভবনটির চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে এবং নতুন দুটি হাসপাতাল সেখানে চালু হয়েছে। এতে যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকেরা।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌর সুপার মার্কেটটি ১৯৯৫ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হয়। এটি প্রথমে দুইতলা ভবন হিসেবে পরিকল্পিত থাকলেও পরবর্তীতে কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ভবনটিতে প্রায় ৩৯০টি দোকান এবং চারটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু রয়েছে।
মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ২০০৯ সালে মেডিল্যাব হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে ১০ শয্যার একটি হাসপাতাল চালু হয়। সর্বশেষ এটি নবায়ন করা হয় ২০২০-২১ অর্থবছরে। এরপর থেকে নবায়ন ছাড়াই চলছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালে গড়ে ওঠে মানিকগঞ্জ সেন্ট্রাল স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, যার নবায়ন শেষ হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মন্টু বিশ্বাস বলেন, “পৌর সুপার মার্কেট ভবনটি কাঠামোগতভাবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটির কোন সেফটি প্লান নেই। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ভয়াবহ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।”
তিনি জানান, ভবন কর্তৃপক্ষকে দুই দফা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পেলে যেকোনো সময় অভিযান চালানো হবে।
অগ্নিপ্রতিরোধ ও অগ্নিনির্বাপণ আইন-২০০৩ এর ধারা ৪ অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক। একই আইনের ধারা ১৭ অনুযায়ী, ধারা ৪ লঙ্ঘন করা হলে তিন বছরের কারাদণ্ড, একইসঙ্গে অর্থদণ্ড ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, “বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি অবগত আছি। মার্কেটের চারতলাতে আরও একটি হাসপাতালের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল, আমি সেটা বাতিল করে দিয়েছি। বর্তমানে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। টিকাদান কর্মসূচি শেষ হলে হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরসভা- চারটি সংস্থার অনুমোদন ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে হাসপাতাল পরিচালনা করা ‘হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্থাপন, অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০১৪’-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রযোজনীয় কাগজপত্র না থাকার পরও এসব হাসপাতাল চালু রয়েছে। এতে বোঝা যায়, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করেই হাসপাতালগুলো চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলবে চিকিৎসা কার্যক্রম, আর ঝুঁকিতে থাকবে শত শত মানুষের জীবন।


জামালপুরের মাদারগঞ্জে চরভাটিয়ান গ্রামে ঝিনাই নদীতে নিখোঁজ ৫ শিশুর মধ্যে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
৬ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক কৃষকের আঙিনায় জন্মেছে এক আশ্চর্য লম্বা বেগুন গাছ, যা এখন সারা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণত একটি বেগুন গাছের উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুটের বেশি হয় না, কিন্তু এই গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুটেরও বেশি। আশ্চর্যের বিষয়, এত লম্বা হওয়া সত্ত্বেও গাছটি ফলেও ভরপুর।
১০ ঘণ্টা আগে
নীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে
১ দিন আগে
১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল
১ দিন আগেজামালপুরের মাদারগঞ্জে চরভাটিয়ান গ্রামে ঝিনাই নদীতে নিখোঁজ ৫ শিশুর মধ্যে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক কৃষকের আঙিনায় জন্মেছে এক আশ্চর্য লম্বা বেগুন গাছ, যা এখন সারা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণত একটি বেগুন গাছের উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুটের বেশি হয় না, কিন্তু এই গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুটেরও বেশি। আশ্চর্যের বিষয়, এত লম্বা হওয়া সত্ত্বেও গাছটি ফলেও ভরপুর।
নীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে
১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল