সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক চিকিৎসকের গাফিলতি, তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি

প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২: ১৮
Thumbnail image

পায়ের ভাঙাহাড়ে বসানো প্লেট খুলে ফেলার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগে ভর্তি হয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন এক রোগি। এ ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে হাসপাতালের পরিচালক বরারব অভিযোগ দাখিল করেছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালকের নির্দেশে এক সপ্তাহ পর ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোববার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহকারী আব্দুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গঠিত তদন্ত টিমের প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে অর্থপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. চিত্তরঞ্জন রায়, তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. অজয় কুমার সাহা ও তদন্ত কমিটির সদস্য গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. কানিজ ফাতিমা।

নির্দেশনা প্রাপ্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সার্বিক ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখে পরিচালক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

অভিযোগকারি সাতক্ষীরা পৌর এলাকার মেহেদীবাগের বাসিন্দা আছমা খাতুন জানিয়েছেন, তার অসুস্থ্য স্বামী মাসুম হোসেনকে নিয়ে ও তার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বাবু গত ১৬ জানুয়ারী সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ইতোপূর্বে ভেঙে যাওয়া ডান পায়ের থাই সংলগ্ন বসানো প্লেট বের করার জন্য। ওইদিন ভর্তি হন মেডিকেলে। ৩ দিন পর তাকে অর্থপেডিক বিভাগের ১৭ নং বেড দেওয়া হয়। এরপর অপরেশন নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা। এক পর্যায়ে পরিচালককে জানানোর পর তিনিই ২৫ জানুয়ারী অপরেশনের দিন নির্ধারণ করেন।

আছমা খাতুন তার লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ওইদিন সকালে তার স্বামীর পায়ের প্লেট বের করার জন্য ওটির আগের রুমে নিয়ে রাখা হয়। সেখানে সকাল থেকে অর্থপেডিক বিভাগের রোগির অপরেশন চলছিল। শুরু থেকেই পর্যায়ক্রমে ৪ জন রোগির অপরেশন হয়। তখন সেখানে ৫ জন অর্থপেডিক ডাক্তার ছিলেন। এরপর ৪ জন ডাক্তার ওটি থেকে বের হয়ে যান। অবশেষে ডাক্তার ভবতোষ কুমার মন্ডল (বি কে মন্ডল) তার স্বামীর অপরেশন শুরু করেন। পা ওপেন করেই প্লেটের দুইটা স্ক্রুপ খুলে আর খোলা যাচ্ছেনা বলে ওই স্ক্রুপ দুটি লাগিয়ে দিয়ে সেলাই করে দেন এবং তাদেরকে জানান ওই প্লেট থাকলে কোন সমস্যা হবেনা।

বিষয়টি শুনে চরম হতাশ হয়ে পরদিন সকালে পরিচালককে জানালে তিনি নিজেই তাদেরকে জানান, স্ক্রুপের মাথা সমান হয়ে যাওয়ায় স্ক্রুপ খোলা যাইনি। ২৬ জানুয়ারী সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষের কাছে ছাড়পত্র চাইলে তারা দিতে রাজি হননি। একপর্যায়ে রোগি নিয়ে মেডিকেল ছেড়ে বেরিয়ে এসে শহরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানে যাওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিক আমার স্বামীর অপরেশন করে প্লেট বের করে বেডে দেন। বের করা প্লেট ও স্ক্রুপ দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে তার মাথা ক্ষয়ে যাইনি। একেবারেই নতুন। সেখানে ৩দিন চিকিৎসা নিয়ে আমরা বাড়িতে চলে আসি। এখন প্রায় সুস্থ্য আমার স্বামী।

অভিযোগকারি বলেন, স্বামীর চিকিৎসা নিতে গিয়ে যে প্রতারণা ও হয়রানি হয়েছি এর সাথে যেসমস্ত চিকিৎসক ও সেবিকারা জড়িত তদন্তে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, দু একটি ঘটনার সুষ্ট তদন্ত হলে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কতিপয় চিকিৎসকদের অপচিকিৎসা ও আর্থিক ক্ষতি থেকে জেলাবাসী মুক্তি পেত।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, শনিবার দুপুর সোয়া একটার দিকে মানিকছড়ি উপজেলার খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন ধর্মঘরস্থ ময়ুরখীল বিলে থাকা রবি টাওয়ার মেরামত যায় টেকনিশিয়ান মো. ইসমাইল হোসেন ও আব্রে মারমা।

১৫ মিনিট আগে

সুন্দরবনের আদাচাইরে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্যকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করা করেছে।

১ দিন আগে

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক হুইপ ও খুলনা-১ সাবেক সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

৪ দিন আগে

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

৪ দিন আগে