খুলনা
বাংলাদেশ নৌবাহিনী উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে "এইড টু সিভিল পাওয়ার" বাস্তবায়ন করে আসছে।
এর ধারাবাহিকতায় খুলনা নৌ অঞ্চল নিয়মিত অভিযান, যৌথ অভিযান, টহল, ট্রাফিক চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
খুলনা নৌ অঞ্চলের প্রধান কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে—সন্ত্রাসবাদ ও জলদস্যুতা দমন, মাদক পাচার রোধ, মানবপাচার প্রতিরোধ, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা।
এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ৩০ মার্চ রাত বারোটায় খুলনা নৌ অঞ্চলের টহল দল মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। আনুমানিক সোয়া বারোটায় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ মোবাইল ফোনে নৌ কন্টিনজেন্টের নিকট ব্যাপক সহযোগিতা কামনা করে। উল্লেখ্য, পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার আরামবাগ এলাকায় কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী অবস্থান করছে।
নৌবাহিনীর গোয়েন্দারা(নেভাল ইন্টিলিজেন্স) পূর্ব থেকেই উক্ত এলাকায় নজরদারি চালিয়ে আসছিলেন। টহলরত নৌ কন্টিনজেন্ট কাছাকাছি থাকায় মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে পুলিশ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপারেশনের নেতৃত্ব নেয় এবং সন্ত্রাসীদের অবস্থান ঘিরে ফেলে।
যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা নৌ ও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনির সহায়তায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে ১০ জন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়।
পরিস্থিতি বিবেচনায় নৌ কর্মকর্তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনের ছাদে ওঠেন এবং প্রতিটি কক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। নৌ সদস্যদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রুমের দরজা ভেঙে ৯ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে অস্ত্র ও গোলাসহ আটক করা হয়।
বাইরে অবস্থানরত নৌ কন্টিনজেন্টের অপর একটি দল পাশের ভবনের ছাদে উঠে সন্ত্রাসীদের পালানোর সম্ভাব্য পথ চিহ্নিত করে। এরপর কচুরিপানায় ভরা ডোবায় সার্চ অভিযান চালিয়ে আরও ২ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
সর্বোচ্চ সফলতা নিশ্চিত করতে অভিযান সকাল পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করা হয়। নৌ সদস্যরা সারারাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সার্চ অভিযান অব্যাহত রাখেন। আহত সন্ত্রাসীদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয় এবং নৌবাহিনী সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
অবশেষে সকাল সাড়ে আটটায় যৌথ বাহিনীর এ শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান সফলভাবে সমাপ্ত হয়।
এই সফল অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পেশাগত দক্ষতা ও দেশমাতৃকার নিরাপত্তার প্রতি অপরিসীম দায়িত্ববোধের প্রতিফলন ঘটেছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে "এইড টু সিভিল পাওয়ার" বাস্তবায়ন করে আসছে।
এর ধারাবাহিকতায় খুলনা নৌ অঞ্চল নিয়মিত অভিযান, যৌথ অভিযান, টহল, ট্রাফিক চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
খুলনা নৌ অঞ্চলের প্রধান কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে—সন্ত্রাসবাদ ও জলদস্যুতা দমন, মাদক পাচার রোধ, মানবপাচার প্রতিরোধ, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা।
এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ৩০ মার্চ রাত বারোটায় খুলনা নৌ অঞ্চলের টহল দল মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। আনুমানিক সোয়া বারোটায় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ মোবাইল ফোনে নৌ কন্টিনজেন্টের নিকট ব্যাপক সহযোগিতা কামনা করে। উল্লেখ্য, পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার আরামবাগ এলাকায় কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী অবস্থান করছে।
নৌবাহিনীর গোয়েন্দারা(নেভাল ইন্টিলিজেন্স) পূর্ব থেকেই উক্ত এলাকায় নজরদারি চালিয়ে আসছিলেন। টহলরত নৌ কন্টিনজেন্ট কাছাকাছি থাকায় মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে পুলিশ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপারেশনের নেতৃত্ব নেয় এবং সন্ত্রাসীদের অবস্থান ঘিরে ফেলে।
যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা নৌ ও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনির সহায়তায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে ১০ জন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়।
পরিস্থিতি বিবেচনায় নৌ কর্মকর্তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনের ছাদে ওঠেন এবং প্রতিটি কক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। নৌ সদস্যদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রুমের দরজা ভেঙে ৯ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে অস্ত্র ও গোলাসহ আটক করা হয়।
বাইরে অবস্থানরত নৌ কন্টিনজেন্টের অপর একটি দল পাশের ভবনের ছাদে উঠে সন্ত্রাসীদের পালানোর সম্ভাব্য পথ চিহ্নিত করে। এরপর কচুরিপানায় ভরা ডোবায় সার্চ অভিযান চালিয়ে আরও ২ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
সর্বোচ্চ সফলতা নিশ্চিত করতে অভিযান সকাল পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করা হয়। নৌ সদস্যরা সারারাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সার্চ অভিযান অব্যাহত রাখেন। আহত সন্ত্রাসীদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয় এবং নৌবাহিনী সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
অবশেষে সকাল সাড়ে আটটায় যৌথ বাহিনীর এ শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান সফলভাবে সমাপ্ত হয়।
এই সফল অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পেশাগত দক্ষতা ও দেশমাতৃকার নিরাপত্তার প্রতি অপরিসীম দায়িত্ববোধের প্রতিফলন ঘটেছে।
সুন্দরবনের আদাচাইরে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্যকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করা করেছে।
১০ ঘণ্টা আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক হুইপ ও খুলনা-১ সাবেক সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪ দিন আগেজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
৪ দিন আগেনরসিংদী গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ইকরামুল হাসান চৌধুরি যেন টাকার মেশিন। ছোট চাকুরি করেও রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ঘুষ নেন অভিনব কায়দায়। থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নিজেকে আড়াল করে রাখতেই বেশী পছন্দ করেন তিনি। দিনের বেলায় অফিসে আসেন না এই কর্মকর্তা।
৫ দিন আগেসুন্দরবনের আদাচাইরে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্যকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করা করেছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক হুইপ ও খুলনা-১ সাবেক সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
নরসিংদী গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ইকরামুল হাসান চৌধুরি যেন টাকার মেশিন। ছোট চাকুরি করেও রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ঘুষ নেন অভিনব কায়দায়। থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নিজেকে আড়াল করে রাখতেই বেশী পছন্দ করেন তিনি। দিনের বেলায় অফিসে আসেন না এই কর্মকর্তা।