ব্যাংক খাতে উদ্বেগ
নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্ববর্তী সরকার আমলে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র আড়াল করার প্রবণতা থাকলেও এখন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী হিসাব করায় বাস্তব পরিস্থিতি প্রকাশ্যে এসেছে বলে মন্তব্য করেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, খেলাপি ঋণের হার আরও বাড়তে পারে।
২০০৯ সালে খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২২ হাজার কোটি টাকার মতো। সেই অঙ্ক ধাপে ধাপে কয়েকগুণ বেড়ে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ব্যাংকিং খাতজুড়ে অনিয়ম, জালিয়াতি, দুর্নীতি ও অস্বচ্ছ পরিচালনার প্রভাবই এ বিপর্যয়ের মূল কারণ বলে বিশ্লেষকদের মত। এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, নাসা, বিসমিল্লাহ, হলমার্কসহ বিভিন্ন বড় গ্রুপ এবং বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতিও এ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
খেলাপি ঋণ হিসাবের নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে। আগে কিস্তি বকেয়া হওয়ার পর ৯ মাস না গেলে ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য হতো না। এখন তিন মাস পেরোলে ঋণ সরাসরি খেলাপি ধরা হচ্ছে—যা আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে খেলাপির পরিমাণ ও হার দুই–ই বেড়েছে।
এদিকে প্রভিশন ঘাটতিও বিস্ফোরকভাবে বেড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা—মাত্র তিন মাসে যা বেড়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকার মতো। প্রভিশন না রাখতে পারা ব্যাংকের আর্থিক ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতের দুরবস্থার জন্য দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির সংস্কৃতিকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম বলেন, “খেলাপি ঋণ বহু বছর কম দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এখন প্রকৃত হিসাব আসায় ৩৬ শতাংশ খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক নয়। এ হার শিগগিরই ৪০ শতাংশ ছুঁতে পারে।” তিনি খেলাপি প্রতিটি ব্যাংকের শীর্ষ ১০ ঋণখেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ও এক্সিম ব্যাংকে খেলাপির বোঝা সবচেয়ে বেশি। চারটির নিয়ন্ত্রণ ছিল এস আলম গ্রুপের হাতে, যেখানকার দেড় লাখ কোটি টাকার ঋণের বড় অংশই অনাদায়ী।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, “আগের সরকারের অনিয়ম–দুর্নীতির ফলেই খেলাপি ঋণের এই পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য গোপন ও জালিয়াতির যুগ শেষ হয়ে এসেছে। এখন স্বচ্ছ হিসাব প্রকাশিত হচ্ছে—এটাই ইতিবাচক দিক।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হিসাব এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত তদারকি—এ তিনের সমন্বয় ছাড়া ব্যাংকিং খাতের এই সংকট মোকাবিলা কঠিন হবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পূর্ববর্তী সরকার আমলে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র আড়াল করার প্রবণতা থাকলেও এখন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী হিসাব করায় বাস্তব পরিস্থিতি প্রকাশ্যে এসেছে বলে মন্তব্য করেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, খেলাপি ঋণের হার আরও বাড়তে পারে।
২০০৯ সালে খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২২ হাজার কোটি টাকার মতো। সেই অঙ্ক ধাপে ধাপে কয়েকগুণ বেড়ে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ব্যাংকিং খাতজুড়ে অনিয়ম, জালিয়াতি, দুর্নীতি ও অস্বচ্ছ পরিচালনার প্রভাবই এ বিপর্যয়ের মূল কারণ বলে বিশ্লেষকদের মত। এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, নাসা, বিসমিল্লাহ, হলমার্কসহ বিভিন্ন বড় গ্রুপ এবং বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতিও এ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
খেলাপি ঋণ হিসাবের নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে। আগে কিস্তি বকেয়া হওয়ার পর ৯ মাস না গেলে ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য হতো না। এখন তিন মাস পেরোলে ঋণ সরাসরি খেলাপি ধরা হচ্ছে—যা আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে খেলাপির পরিমাণ ও হার দুই–ই বেড়েছে।
এদিকে প্রভিশন ঘাটতিও বিস্ফোরকভাবে বেড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা—মাত্র তিন মাসে যা বেড়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকার মতো। প্রভিশন না রাখতে পারা ব্যাংকের আর্থিক ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতের দুরবস্থার জন্য দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির সংস্কৃতিকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম বলেন, “খেলাপি ঋণ বহু বছর কম দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এখন প্রকৃত হিসাব আসায় ৩৬ শতাংশ খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক নয়। এ হার শিগগিরই ৪০ শতাংশ ছুঁতে পারে।” তিনি খেলাপি প্রতিটি ব্যাংকের শীর্ষ ১০ ঋণখেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ও এক্সিম ব্যাংকে খেলাপির বোঝা সবচেয়ে বেশি। চারটির নিয়ন্ত্রণ ছিল এস আলম গ্রুপের হাতে, যেখানকার দেড় লাখ কোটি টাকার ঋণের বড় অংশই অনাদায়ী।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, “আগের সরকারের অনিয়ম–দুর্নীতির ফলেই খেলাপি ঋণের এই পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য গোপন ও জালিয়াতির যুগ শেষ হয়ে এসেছে। এখন স্বচ্ছ হিসাব প্রকাশিত হচ্ছে—এটাই ইতিবাচক দিক।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হিসাব এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত তদারকি—এ তিনের সমন্বয় ছাড়া ব্যাংকিং খাতের এই সংকট মোকাবিলা কঠিন হবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গত অক্টোবরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানিকৃত পণ্য খালাস ও সরবরাহব্যবস্থা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। গুদাম পুড়ে যাওয়ার পর অস্থায়ী ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করলেও তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি।
১ দিন আগে
দীর্ঘ অস্থিরতা, নীতিগত অনিশ্চয়তা ও বিনিয়োগে স্থবিরতা—এই তিন মারাত্মক চাপে অন্তর্বর্তী সরকার যে অর্থনীতি পেয়েছিল, তা ছিল কার্যত গতিহীন
২ দিন আগে
নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেড চালুর পর এলাকায় জীবনে নতুন গতি এসেছিল। কিন্তু সম্প্রতি অদৃশ্য শক্তির উস্কানিতে ইপিজেডে অস্থিরতা বাড়ছে, অনিশ্চয়তায় পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকের জীবিকা। শ্রমিক অসন্তোষের জেরে একই দিনে চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে
৩ দিন আগে
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোববার (২৩ নভেম্বর) জারি করা বিশেষ আদেশে জানানো হয়—রিটার্ন জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে
৪ দিন আগেদেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিন জমে থাকা উদ্বেগটির বাস্তব রূপ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের এক-তৃতীয়াংশের বেশি এখন অচল বা খেলাপি
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গত অক্টোবরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানিকৃত পণ্য খালাস ও সরবরাহব্যবস্থা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। গুদাম পুড়ে যাওয়ার পর অস্থায়ী ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করলেও তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি।
দীর্ঘ অস্থিরতা, নীতিগত অনিশ্চয়তা ও বিনিয়োগে স্থবিরতা—এই তিন মারাত্মক চাপে অন্তর্বর্তী সরকার যে অর্থনীতি পেয়েছিল, তা ছিল কার্যত গতিহীন
নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেড চালুর পর এলাকায় জীবনে নতুন গতি এসেছিল। কিন্তু সম্প্রতি অদৃশ্য শক্তির উস্কানিতে ইপিজেডে অস্থিরতা বাড়ছে, অনিশ্চয়তায় পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকের জীবিকা। শ্রমিক অসন্তোষের জেরে একই দিনে চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে