তানজিনা শরীফ
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে বেক্সিমকোর ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২২ হাজার ৩ কোটি টাকাই খেলাপি। এস আলম গ্রুপের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ১০ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকাই খেলাপি। থার্মেক্স গ্রুপের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। ওরিয়ন গ্রুপের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। রানকা গ্রুপের ঋণ রয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি। ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিন হাজার ৫১ ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৫৫৮ কোটি টাকা এবং বসুন্ধরা গ্রুপের এক হাজার ২৯ কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মজিবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি জনতা ব্যাংকের শীর্ষ ৮ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের ঋণ, অনিয়ম ও অর্থ লুটের অনুসন্ধানে ঋণ অনুমোদন, বিতরণ, মূল্যায়ন, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও আদায়ের প্রক্রিয়া দেখবাল করার নির্দেশ দেয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াও ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।ঋণের প্রকৃত চিত্র গোপনের লক্ষ্যে ব্যাংকিং নিয়ম পরিপন্থি বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এসব গ্রুপ ব্যাংকের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছে। এ থেকে এত দ্রুত উত্তরণ সম্ভব নয়।
ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদেও আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা নিয়োগ পান। ওই সময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বলরাম পোদ্দার, নাগিবুল ইসলাম দীপু, মো. আবু নাসের ও মো. মাহবুবুর রহমান হিরণ ব্যাংকটির পরিচালক ছিলেন। দলীয় লোকদের পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন পেশাদার সদস্যরাও। এছাড়া সরকারের আমলা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরাও পর্ষদে দায়িত্ব পালন করেন। তবে তাদের কেউ-ই প্রভাবশালীদের ঋণ আটকাতে পারেননি। ফলে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা দিন দিন শুধু খারাপই হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের বেশির ভাগ ঋণ দেওয়া হয় লোকাল অফিস ও করপোরেট ভবন শাখা থেকে। এ দুই শাখার ঋণই বেশির ভাগ খেলাপি। ব্যাংকটির লোকাল অফিসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৮ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা এবং করপোরেট ভবন শাখার খেলাপি ১১ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। যদিও এসব শাখার দায়িত্ব পালনকারী কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শুধু এ শাখার কর্মকর্তা নয়, বরং পুরো ব্যাংকের যে-সব কর্মকর্তা ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত ছিলেন, তাদের কারো বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে শতকোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা ফেরত দেয়নি ব্যবসায়ী আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ। বাধ্য হয়ে বিদেশি মুদ্রার ঋণটিকে ফোর্সড লোনে রূপান্তর করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংক। সময়মতো ঋণ ফেরত না দেওয়ায় ব্যাংক দুটিতে খেলাপি হয়ে পড়ে শিল্প গ্রুপটি।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ গ্রহণ ও ব্যাংকের কাছে ঘোষিত উদ্দেশ্যে ঋণের টাকা ব্যয় না করলে ওইসব গ্রাহককে বিবেচনা করা হবে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে। ঠিক এই কাজটিই করেছে ব্যবসায়ী আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। রপ্তানি থেকে বিপুল অর্থ আয় করলেও তারা রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও রূপালী ব্যাংকে থাকা দায় পরিশোধ করছে না। উলটো পুনঃতফসিলের নির্দিষ্ট ডাউন পেমেন্ট না করেই ঋণ নবায়ন করতে বিশেষ সুবিধা চায় গ্রুপটি। তাদের দ্বিতীয় দফার আবেদন সোনালী ব্যাংক নাকচ করে দিলেও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে থার্মেক্স।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো ঋণখেলাপির ব্যাংক পরিচালক হওয়ার সুযোগ নেই। অথচ বিভিন্ন ব্যাংকে থার্মেক্স গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো খেলাপি হয়ে পড়লেও উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংকের (এসবিএসি) পরিচালক পদে বহাল রয়েছেন থার্মেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লা।
এদিকে থার্মেক্স গ্রুপের মালিক বহুল আলোচিত শিল্পপতি অতি গোপনে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তবে দালালির টাকার অঙ্ক নিয়ে বিষয়টি কিছুদিন ধরে থমকে ছিল। নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারের নব্য এক রাজনীতিক এই কারখানা বেচা বিক্রির সাথে জড়িত বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। রাজধানীর গুলশানে বসে এ বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে বেক্সিমকোর ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২২ হাজার ৩ কোটি টাকাই খেলাপি। এস আলম গ্রুপের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ১০ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকাই খেলাপি। থার্মেক্স গ্রুপের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। ওরিয়ন গ্রুপের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। রানকা গ্রুপের ঋণ রয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি। ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিন হাজার ৫১ ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৫৫৮ কোটি টাকা এবং বসুন্ধরা গ্রুপের এক হাজার ২৯ কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মজিবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি জনতা ব্যাংকের শীর্ষ ৮ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের ঋণ, অনিয়ম ও অর্থ লুটের অনুসন্ধানে ঋণ অনুমোদন, বিতরণ, মূল্যায়ন, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও আদায়ের প্রক্রিয়া দেখবাল করার নির্দেশ দেয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াও ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।ঋণের প্রকৃত চিত্র গোপনের লক্ষ্যে ব্যাংকিং নিয়ম পরিপন্থি বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এসব গ্রুপ ব্যাংকের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছে। এ থেকে এত দ্রুত উত্তরণ সম্ভব নয়।
ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদেও আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা নিয়োগ পান। ওই সময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বলরাম পোদ্দার, নাগিবুল ইসলাম দীপু, মো. আবু নাসের ও মো. মাহবুবুর রহমান হিরণ ব্যাংকটির পরিচালক ছিলেন। দলীয় লোকদের পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন পেশাদার সদস্যরাও। এছাড়া সরকারের আমলা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরাও পর্ষদে দায়িত্ব পালন করেন। তবে তাদের কেউ-ই প্রভাবশালীদের ঋণ আটকাতে পারেননি। ফলে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা দিন দিন শুধু খারাপই হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের বেশির ভাগ ঋণ দেওয়া হয় লোকাল অফিস ও করপোরেট ভবন শাখা থেকে। এ দুই শাখার ঋণই বেশির ভাগ খেলাপি। ব্যাংকটির লোকাল অফিসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৮ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা এবং করপোরেট ভবন শাখার খেলাপি ১১ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। যদিও এসব শাখার দায়িত্ব পালনকারী কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শুধু এ শাখার কর্মকর্তা নয়, বরং পুরো ব্যাংকের যে-সব কর্মকর্তা ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত ছিলেন, তাদের কারো বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে শতকোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা ফেরত দেয়নি ব্যবসায়ী আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ। বাধ্য হয়ে বিদেশি মুদ্রার ঋণটিকে ফোর্সড লোনে রূপান্তর করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংক। সময়মতো ঋণ ফেরত না দেওয়ায় ব্যাংক দুটিতে খেলাপি হয়ে পড়ে শিল্প গ্রুপটি।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ গ্রহণ ও ব্যাংকের কাছে ঘোষিত উদ্দেশ্যে ঋণের টাকা ব্যয় না করলে ওইসব গ্রাহককে বিবেচনা করা হবে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে। ঠিক এই কাজটিই করেছে ব্যবসায়ী আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। রপ্তানি থেকে বিপুল অর্থ আয় করলেও তারা রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও রূপালী ব্যাংকে থাকা দায় পরিশোধ করছে না। উলটো পুনঃতফসিলের নির্দিষ্ট ডাউন পেমেন্ট না করেই ঋণ নবায়ন করতে বিশেষ সুবিধা চায় গ্রুপটি। তাদের দ্বিতীয় দফার আবেদন সোনালী ব্যাংক নাকচ করে দিলেও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে থার্মেক্স।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো ঋণখেলাপির ব্যাংক পরিচালক হওয়ার সুযোগ নেই। অথচ বিভিন্ন ব্যাংকে থার্মেক্স গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো খেলাপি হয়ে পড়লেও উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংকের (এসবিএসি) পরিচালক পদে বহাল রয়েছেন থার্মেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লা।
এদিকে থার্মেক্স গ্রুপের মালিক বহুল আলোচিত শিল্পপতি অতি গোপনে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তবে দালালির টাকার অঙ্ক নিয়ে বিষয়টি কিছুদিন ধরে থমকে ছিল। নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারের নব্য এক রাজনীতিক এই কারখানা বেচা বিক্রির সাথে জড়িত বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। রাজধানীর গুলশানে বসে এ বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এক বছর আগেও যেসব চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা ছিল, বর্তমানে সেগুলোর অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে দেশটি এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।
৫ ঘণ্টা আগেতবে বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে অনেকেই সেচযন্ত্র চালিয়ে আমন চারা রোপণ শুরু করেছে। কৃষকরা জানান এতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত লাভের মুখ দেখবেন না তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগে২০ লাখ তরুণের জন্য আরো ভালো কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
১ দিন আগেসুষম ও যৌক্তিক চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবার সুযোগ রয়েছে।
৫ দিন আগেএক বছর আগেও যেসব চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা ছিল, বর্তমানে সেগুলোর অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে দেশটি এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।
তবে বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে অনেকেই সেচযন্ত্র চালিয়ে আমন চারা রোপণ শুরু করেছে। কৃষকরা জানান এতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত লাভের মুখ দেখবেন না তাঁরা।
দেশের ব্যাংকিং খাতের শীর্ষ খেলাপী প্রতিষ্ঠান সমূহের তালিকায় নাম উঠে এসেছে জন দরদী, দানবীর, শিক্ষানুরাগী হিসেবে খ্যাত আব্দুল কাদের মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ । বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে থার্মেক্সসহ দেশের শীর্ষ ৮ লুটেরার বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্ত শুরু করছে জনতা ব্যাংক।
২০ লাখ তরুণের জন্য আরো ভালো কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ