অনলাইন ডেস্ক

‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট’ নামে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষ হিসাব সেবা চালু করেছে বহুজাতিক ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে এই সেবা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। আর এই হিসাব থাকবে পুরোপুরি মাশুলবিহীন। ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সাররা এই হিসাব খুলতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান লুৎফুল হাবিব, কান্ট্রি হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিটপী দাশ চৌধুরী, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমানসহ খাতসংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানে শুরুতে বিটপী দাশ চৌধুরী বলেন, ১২০ বছর ধরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কখনো ব্যাংকটির সেবা বন্ধ ছিল না। এখন ডিজিটাল সেবার দিকে প্রাধান্য দিচ্ছে ব্যাংক। ফ্রিল্যান্সারদের কাজের ধরনের সঙ্গে চাহিদার পরিবর্তন হয়েছে। সে জন্য নতুন এই সেবা চালু হচ্ছে। এই সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে পাওয়া যাবে। সে জন্য কাউকে ব্যাংকে আসতে হবে না।
হিসাব খোলা হলে একই সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা ও টাকায় দুটি হিসাব খোলা হবে। আয়ের ৩৫ শতাংশ অর্থ বিদেশি মুদ্রা হিসাবে ও বাকিটা টাকা হিসাবে জমা রাখা যাবে। এর বিপরীতে ডেবিট কার্ড পাবেন ফ্রিল্যান্সাররা, যা দিয়ে দেশে-বিদেশে খরচ করা যাবে। পাশাপাশি এই হিসাবধারীদের ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত ঋণ দেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান বলেন, ‘দেশে বসে কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কাজ পাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সাররা। সে জন্য তাঁদের সম্মান দেওয়া উচিত। বিদেশ থেকে টাকা আনতে হয়রানি হতে হয়। এখন বিদেশি ব্যাংক এই সেবা দেওয়ায় অনেকে এই পেশায় আসতে আগ্রহী হবেন।’
এ পেশায় টিকে থাকার হার ৩৫ শতাংশ। সম্মান পেলে আরও অনেকে এই সেবায় থেকে যাবে বলে মনে করেন তানজিবা রহমান। অভিভাবকেরা সন্তানদের এই পেশায় পাঠাতে আগ্রহী হবেন। এখন দেশের সাড়ে ১০ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং পেশার সঙ্গে যুক্ত। বছরে ১ বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলার আসে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এখন আয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে আসছে, কারণ ব্যাংকগুলো সহযোগিতা করছে না।
এ প্রসঙ্গে আমানত বিভাগের প্রধান নাভিদ হাসান বলেন, ঘরে বসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ঘরে বসে সেবা নেওয়ার সুযোগ এসেছে। ঘরে বসেই তাঁরা হিসাব খুলতে পারবেন। বিদেশ থেকে অর্থ আসতে ফরম সি পূরণ করতে হয়, তা-ও ঘরে বসে করা যাবে যাবে। কার্ড দিয়ে বিভিন্ন দেশের এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এসব হিসাবে মাশুল কাটা হবে না। ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত ঋণও দেওয়া হবে। দেশের অন্য কোনো ব্যাংকে ফ্রিল্যান্সারদের এত সুবিধা দিচ্ছে না।
ব্যাংকটির রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান লুৎফুল হাবিব বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশে এক শতকের বেশি বেশি সময় ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রথম ঋণপত্র, প্রথম এটিএম, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড চালু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এখন বেসরকারি ব্যাংকের ২০-২৫ জন এমডি রয়েছেন, যাঁরা কোনো না কোনো সময় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বা গ্রিনলেজে কাজ করতেন। আমরা দেশের স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিয়ে যাচ্ছি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড দেশের একমাত্র বিদেশি ব্যাংক, যাদের সব সেবা আছে। এখন আধুনিক ও ডিজিটাল সেবার দিকে নজর দিয়েছে। আমাদের ৭০ শতাংশ গ্রাহক ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা গ্রহণ করছেন। গত দুই বছরে শাখায় গ্রাহক আসা ৪৫ শতাংশ কমে গেছে।’
লুৎফুল হাবিব বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সাররা দেশের জন্য বিদেশি মুদ্রা আনছেন। ভারতের পরেই আমাদের দেশে বেশি আয় আসছে। উন্নত দেশে শ্রমের মূল্য অনেক বেশি। তাই আমাদের দেশে এই খাতের বিকশিত হওয়ার আরও সম্ভাবনা আছে। সে জন্য ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষ হিসাব সেবা চালু করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। ঘরে বসে বিনা মাশুলে মিলবে এই সেবা। শুধু সরকারি কর কাটা হবে।’

‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট’ নামে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষ হিসাব সেবা চালু করেছে বহুজাতিক ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে এই সেবা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। আর এই হিসাব থাকবে পুরোপুরি মাশুলবিহীন। ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সাররা এই হিসাব খুলতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান লুৎফুল হাবিব, কান্ট্রি হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিটপী দাশ চৌধুরী, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমানসহ খাতসংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানে শুরুতে বিটপী দাশ চৌধুরী বলেন, ১২০ বছর ধরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কখনো ব্যাংকটির সেবা বন্ধ ছিল না। এখন ডিজিটাল সেবার দিকে প্রাধান্য দিচ্ছে ব্যাংক। ফ্রিল্যান্সারদের কাজের ধরনের সঙ্গে চাহিদার পরিবর্তন হয়েছে। সে জন্য নতুন এই সেবা চালু হচ্ছে। এই সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে পাওয়া যাবে। সে জন্য কাউকে ব্যাংকে আসতে হবে না।
হিসাব খোলা হলে একই সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা ও টাকায় দুটি হিসাব খোলা হবে। আয়ের ৩৫ শতাংশ অর্থ বিদেশি মুদ্রা হিসাবে ও বাকিটা টাকা হিসাবে জমা রাখা যাবে। এর বিপরীতে ডেবিট কার্ড পাবেন ফ্রিল্যান্সাররা, যা দিয়ে দেশে-বিদেশে খরচ করা যাবে। পাশাপাশি এই হিসাবধারীদের ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত ঋণ দেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান বলেন, ‘দেশে বসে কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কাজ পাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সাররা। সে জন্য তাঁদের সম্মান দেওয়া উচিত। বিদেশ থেকে টাকা আনতে হয়রানি হতে হয়। এখন বিদেশি ব্যাংক এই সেবা দেওয়ায় অনেকে এই পেশায় আসতে আগ্রহী হবেন।’
এ পেশায় টিকে থাকার হার ৩৫ শতাংশ। সম্মান পেলে আরও অনেকে এই সেবায় থেকে যাবে বলে মনে করেন তানজিবা রহমান। অভিভাবকেরা সন্তানদের এই পেশায় পাঠাতে আগ্রহী হবেন। এখন দেশের সাড়ে ১০ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং পেশার সঙ্গে যুক্ত। বছরে ১ বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলার আসে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এখন আয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে আসছে, কারণ ব্যাংকগুলো সহযোগিতা করছে না।
এ প্রসঙ্গে আমানত বিভাগের প্রধান নাভিদ হাসান বলেন, ঘরে বসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ঘরে বসে সেবা নেওয়ার সুযোগ এসেছে। ঘরে বসেই তাঁরা হিসাব খুলতে পারবেন। বিদেশ থেকে অর্থ আসতে ফরম সি পূরণ করতে হয়, তা-ও ঘরে বসে করা যাবে যাবে। কার্ড দিয়ে বিভিন্ন দেশের এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এসব হিসাবে মাশুল কাটা হবে না। ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত ঋণও দেওয়া হবে। দেশের অন্য কোনো ব্যাংকে ফ্রিল্যান্সারদের এত সুবিধা দিচ্ছে না।
ব্যাংকটির রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান লুৎফুল হাবিব বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশে এক শতকের বেশি বেশি সময় ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রথম ঋণপত্র, প্রথম এটিএম, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড চালু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এখন বেসরকারি ব্যাংকের ২০-২৫ জন এমডি রয়েছেন, যাঁরা কোনো না কোনো সময় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বা গ্রিনলেজে কাজ করতেন। আমরা দেশের স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিয়ে যাচ্ছি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড দেশের একমাত্র বিদেশি ব্যাংক, যাদের সব সেবা আছে। এখন আধুনিক ও ডিজিটাল সেবার দিকে নজর দিয়েছে। আমাদের ৭০ শতাংশ গ্রাহক ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা গ্রহণ করছেন। গত দুই বছরে শাখায় গ্রাহক আসা ৪৫ শতাংশ কমে গেছে।’
লুৎফুল হাবিব বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সাররা দেশের জন্য বিদেশি মুদ্রা আনছেন। ভারতের পরেই আমাদের দেশে বেশি আয় আসছে। উন্নত দেশে শ্রমের মূল্য অনেক বেশি। তাই আমাদের দেশে এই খাতের বিকশিত হওয়ার আরও সম্ভাবনা আছে। সে জন্য ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষ হিসাব সেবা চালু করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। ঘরে বসে বিনা মাশুলে মিলবে এই সেবা। শুধু সরকারি কর কাটা হবে।’

আদালত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ৪৬৯.৪৮ একর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন; জমিগুলো গাজীপুর ও কক্সবাজারের ৬ উপজেলার মধ্যে অবস্থিত।
২ দিন আগে
রপ্তানি করা পণ্যের বিপরীতে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আসছে না। একটি অসাধু চক্রের কারণে গার্মেন্টস খাতের রপ্তানির ৩০ হাজার চালানের বিপরীতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দেশে আসেনি।
২ দিন আগে
বাংলাদেশে ৭ম জাতীয় পে-স্কেল ১ জুলাই ২০০৯ সাল থেকে কার্যকর হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মূল বেতনে প্রায় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ৮ম পে-স্কেল ১ জুলাই ২০১৫ সাল থেকে কার্যকর হয়
৩ দিন আগে
রোববার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায় যে, কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ‘সন্ধ্যা ৬টার পর বেনাপোলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত নয়
৪ দিন আগেআদালত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ৪৬৯.৪৮ একর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন; জমিগুলো গাজীপুর ও কক্সবাজারের ৬ উপজেলার মধ্যে অবস্থিত।
রপ্তানি করা পণ্যের বিপরীতে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আসছে না। একটি অসাধু চক্রের কারণে গার্মেন্টস খাতের রপ্তানির ৩০ হাজার চালানের বিপরীতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দেশে আসেনি।
বাংলাদেশে ৭ম জাতীয় পে-স্কেল ১ জুলাই ২০০৯ সাল থেকে কার্যকর হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মূল বেতনে প্রায় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ৮ম পে-স্কেল ১ জুলাই ২০১৫ সাল থেকে কার্যকর হয়
রোববার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায় যে, কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ‘সন্ধ্যা ৬টার পর বেনাপোলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত নয়