
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এটি বলেন

সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে প্রিজাইডিং অফিসারদের হাতে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ শুরু হয়। এ সময় তাদের কাছে হালনাগাদ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ওএমআর সংযুক্ত ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়

এসময়ম ভোটারদের আঙ্গুলের কালি উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বলব, আপনি যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কালি লাগানো মাত্র ঘষাঘষি না করেন, একটু শোকানোর সময় দেন, কালি উঠবে না, ইনশাআল্লাহ

কারচুপি ঠেকাতে শুধু অমোচনীয় কালি নয়, আমরা থ্রিডি লেভেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রথম ধাপে যাচাই করা হবে ভোটারের শিক্ষার্থী আইডি কার্ড, দ্বিতীয় ধাপে দেখা হবে ইউনিক আইডি নম্বর, এবং তৃতীয় ধাপে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা থেকে যাচাই শেষে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে

নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা-ব্যবস্থা। বিপুল-সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়

গুম কমিশনের তদন্তকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে পরিচালনার মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিতের আহ্বান জানান ডাকসু নেতারা

সেখানে ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর। এর ফলে অক্টোবরে পর পর দুই দিনে চাকসু ও রাকসু নির্বাচনের তারিখ পড়ে যাচ্ছে

একাডেমিক শাখা উপ-রেজিস্টার আবু মো. তারেক বলেন, আমাদের দাবি সুস্পষ্ট, আমাদের উপ-উপাচার্য লাঞ্ছিত হয়েছেন। সেটার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আমরা কোনোভাবেই কাজে ফিরে যাব না

সিন্ডিকেট সভায় তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো - ধস্তাধস্তির ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন, রাকসু নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বরেই অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্যকোটা) আপাতত স্থগিত থাকবে

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির এ প্যানেল ঘোষণা করেন

২০১৭ সালের পর যে শিক্ষকরা কখনও শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল না, এখন সাত কলেজের সমস্যা নিরসনের দিকে এগোলে তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময় অধ্যাদেশ ছাড়া কোনো চূড়ান্ত সমাধান হবে না বলেও উল্লেখ করেন তারা

নির্বাচিতদের মধ্যে আছেন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ১০ জন, রহমতুন্নেসা হলে ৯ জন এবং জুলাই-৩৬ হলে ৭ জন, বিজয়-২৪ হলে ৩ জন, মন্নুজান হলে ১ জন, রোকেয়া হলে ৬ জন, তাপসী রাবেয়া হলে ৩ জন

৭টি বাস যুক্ত হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সমস্যা দূর হবে। ইউজিসি থেকে একসাথে ৭টি বাস পাওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বড় প্রাপ্তি

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সর্বশেষ হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। এর আগে ১৯৯৩ সাল থেকে তিনবার শাকসু নির্বাচন হয়েছে। ২৮ বছর ধরে শাকসু অচল রয়েছে

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। এতে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দীন খান এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মত ভিপি, জিএস ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড নিয়াজ আহমেদ খান