শাটডাউনে অচল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিনিধি
বরিশাল
Thumbnail image

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ডাক দেওয়া একাডেমিক ও প্রশাসনিক শাটডাউনেস্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

সোমবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বিভাগের শিক্ষকরাও ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। ফলে ববির সব ক্লাসরুম ফাঁকা পড়ে আছে, বন্ধ রয়েছে সব প্রশাসনিক কার্যক্রম। তবে চলমান সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা, চিকিৎসা ও পরিবহণ, লাইব্রেরিসহ জরুরি সেবা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

২৭ দিন ধরে চলা এ আন্দোলনের মধ্যে রোববার খোলা চিঠি দিয়ে সব বিভাগের শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মীদের ক্লাস ও অফিস কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর কয়েকদিন আগে প্রশাসনিক দফতরগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আন্দোলনরতরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলন এখন অপেশাদার, মামলাবাজ ও অযোগ্য উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রূপ নিয়েছে। আমরা এ দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ। উপাচার্য যদি দ্রুত পদত্যাগ না করেন, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায় বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানাই। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে—যাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই চান না, তাকে অবিলম্বে অপসারণ করে সংকটের সমাধান করুন।

এ বিষয়ে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন ও প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে চলমান কর্মসূচিতে ক্যাম্পাসসহ ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে মশাল মিছিল, মহাসড়ক অবরোধ, ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি, উপাচার্যের বাসভবনে তালা, সংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি করছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

ক্যাম্পাস নিয়ে আরও পড়ুন

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম ২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে

৮ ঘণ্টা আগে

দেশের প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও তাদের মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। বর্তমানে একজন সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে যোগদান করে মোট ১৭ হাজার ৬৫০ টাকা বেতন পান, যা বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়

২ দিন আগে

প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, গত বছর এসএসসি পরীক্ষা হয়েছিলো ১৬ এপ্রিল, এবার আমাদের টার্গেট আছে ৩০ এপ্রিল শুরু করার

৫ দিন আগে

পদটি বিলুপ্ত হওয়ায় এখন আগের মতোই প্রভাষকরা সরাসরি সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। প্রভাষকরা চাকরির ১০ বছর পূর্তিতে জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ৯ থেকে ৮ প্রাপ্য হবেন এবং ধারাবাহিকভাবে এমপিওভুক্তির ১৬ বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন

৫ দিন আগে