খুলনা বয়রার চিলড্রেন,স ভয়েস স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর ইসলাম। তবে ভিজিটিং কার্ডে নিজেক প্রিন্সিপাল দাবি করেন, যদিও তিনি বিএ পাশ । বিগত ১৫ বছর ছিলেন ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের ডোনার। বিগত সরকার আমলে হঠাৎ অর্থ ও প্রভাবের কারনে বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। বিকৃত রুচীর লম্পট এই প্রধান শিক্ষক স্কুলের নারী শিক্ষিকাদের কাছে নিজের নগ্ন ভিডিও পাঠান। তার প্রতিবাদ করলে সেই শিক্ষিকার অন্য অজুহাতে চাকুরিচ্যুৎ করেছে। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা রোকেয়া সিদ্দিকা ঘটনা স্বীকার করে জানান গত কয়েক বছরে প্রধান শিক্ষককের প্রস্তাবে রাজী না হওয়াই নারী শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুৎ সংখ্যা ২২ জন ছাড়িয়েছে। তিনি আরও জানান, অনেক শিক্ষিকাকে প্রায় অশ্লীল প্রস্তাবনা দিয়ে তিনি ম্যাসেস দেন। বলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ভিতর থেকে তালা দিয়ে এসব ভিডিও করে শিক্ষিকার কাছে দেবার অভিযোগ ওপেন সিক্রেট । ক্লাস ওয়ান থেকে টেন পযর্ন্ত ৭৫-৮০ জন নারী শিক্ষক রয়েছেন। স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা হাজারের ওপরে।

সহকারী প্রধান শিক্ষক রোকেয়া সিদ্দিকা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গির আলমের নামে আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলা গ্রহন করে থানায় তদন্তর নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার তিনি দুর্নীতি অনিয়ম এবং নিজের স্ত্রী সৈয়দ নাজমা পারভিনকে সভাপতি বানিয়ে শিক্ষা বোর্ড হতে স্কুলের ম্যাধ্যমিকের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন। সোনাডাঙ্গা থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিডিও তিনি দেখেছেন তাকে এখনই গ্রেফতার করা দরকার। কিন্তু নারী শিক্ষকরা লোক লজ্জা ভয়ে মামলা করতে রাজি হয়নি।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গির ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে অন্য কেউ তার গোপন ভিডিও রেকর্ড করেছে বলে জানান। তিনি মামলা করবেন ডিজিটাল আইনে। বলেন আমি যদি পাঠায় তাহলে তারা মামলা করুক ?

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম প্রধান শিক্ষকের অশ্লীল ভিডিও দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। বলেন, বিকৃত রুচীর মানুষ কোন অবস্থাতেই শিক্ষকের উপযুক্ত নন তিনি। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরো জানান চিলড্রেন,স ভয়েস স্কুলটি বৈধ অনুমোদিত নয়।

তিনি জানান বিষয়টি ফৌজদারী অপরাধ। তবে যে কেউ অভিযোগ করলে তারা ব্যবস্থা নিবেন।(ফেসবুকের নীতি মালা অনুযায়ী অশ্লীল অংশ ঢেকে পোস্ট করা হয়েছে )।