৬৫৩১ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল: হাইকোর্ট

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩: ০২
Thumbnail image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই রায় বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে এনেক্স ভবনের বিক্ষোভ করছেন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়া ৩০ জনের রিটের চূড়ান্ত আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

উত্তীর্ণদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ বঞ্চিত ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করলে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফয়েজ উদ্দিন আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।

চলতি বছরের জুলাইয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে রায় দেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের ফলে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৬৫৩১ জনের নিয়োগ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।

আজকে যা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান উচ্চ আদালত। এদিকে এ রায়ের প্রতিবাদে নজিরবিহীনভাবে আদালতের সামনেই বিক্ষোভ করেছেন নিয়োগ বঞ্চিতরা।

এ সময় বিচারককে উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দিয়ে আদালতের দরজায় ধাক্কাধাক্কি, আইনজীবীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় পুলিশ সদস্যদের।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পরীক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম ২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে

২ দিন আগে

দেশের প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও তাদের মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। বর্তমানে একজন সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে যোগদান করে মোট ১৭ হাজার ৬৫০ টাকা বেতন পান, যা বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়

৪ দিন আগে

প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, গত বছর এসএসসি পরীক্ষা হয়েছিলো ১৬ এপ্রিল, এবার আমাদের টার্গেট আছে ৩০ এপ্রিল শুরু করার

৬ দিন আগে

পদটি বিলুপ্ত হওয়ায় এখন আগের মতোই প্রভাষকরা সরাসরি সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। প্রভাষকরা চাকরির ১০ বছর পূর্তিতে জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ৯ থেকে ৮ প্রাপ্য হবেন এবং ধারাবাহিকভাবে এমপিওভুক্তির ১৬ বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন

৭ দিন আগে