মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার সম্প্রতি শেষ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের বিরুদ্ধে নতুনভাবে আইনি ঝড় উঠেছে। থাইল্যান্ড ও মেক্সিকো থেকে প্রতারণা, অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি এবং মাদক ও অস্ত্র পাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে।

থাইল্যান্ডে প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির একজন মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, আর মেক্সিকোতে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র পাচারের তদন্ত শুরু হয়েছে।

মিস ইউনিভার্সের মালিকানা বর্তমানে থাই ধনকুবের অ্যান জেকাফং জেকরাটাটিপের হাতে। থাইল্যান্ডে জেকরাটাটিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জে কে এন গ্লোবালের একজন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার নিয়ে আইনি বিরোধে জড়িয়েছেন। ব্যাংককের আদালতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত তাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। বর্তমানে তার অবস্থান অজানা।

২০২৩ সাল থেকে জে কে এন গ্লোবাল আর্থিক সংকটে পতিত হয়েছে। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ২০২৪ সালে থাইল্যান্ডের দেউলিয়া আদালতে ঋণ পুনঃতফসিলের আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণ প্রায় ৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার। এছাড়া থাইল্যান্ডের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) জেকরাটাটিপ ও জে কে এন গ্লোবালের বিরুদ্ধে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর আর্থিক তথ্য প্রকাশের অভিযোগ আনে এবং প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।

এছাড়া ২০২৩ সালে জে কে এন গ্লোবাল মেক্সিকোর ব্যবসায়ী রাউল রোচা ক্যান্টু ও তাঁর প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ হোল্ডিং গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা তারা বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রকাশ করেনি। চুক্তি অনুযায়ী, রোচা প্রতিষ্ঠানের কাছে মিস ইউনিভার্সের ৫০ শতাংশ শেয়ার পেয়েছিলেন। এসব ঘটনায় জেকরাটাটিপ পদত্যাগ করেছেন, যদিও তিনি এখনও শেয়ারধারী হিসেবে রয়েছেন।

একই সময়ে, মেক্সিকোর প্রসিকিউটররা মিস ইউনিভার্সের প্রেসিডেন্ট রাউল রোচা ক্যান্টুর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও জ্বালানি পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছেন। এই মামলায় মোট ১৩ জনের নাম উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা নিয়ে বিতর্ক থামেনি; প্রতিযোগিতা শেষ হলেও কেলেঙ্কারির ছায়া ও আইনি জটিলতা এ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।