ক্রোমের আড়ালে নজরদারি
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি মার্কিন সাইবার গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাবেক সিটিও বব গার্লি এমনই এক বিস্ময়কর সতর্কতা দিয়েছেন। তাঁর মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোম—যেটি দিয়ে এখন এ লেখাটিও পড়া হতে পারে—গোপনীয়তার দিক থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
ক্রোম কেন সবচেয়ে বড় ঝুঁকি
বিশেষজ্ঞ বব গার্লি বলেন,
“ক্রোমের জন্মই হয়েছে নজরদারির জন্য।”
গুগল একটি বিজ্ঞাপননির্ভর প্রতিষ্ঠান। তাদের মূল ব্যবসাই হলো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করা।
বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্রোম ব্যবহার করে। ফলে—
সবকিছুই গুগলের সার্ভারে সংরক্ষিত হয়। গার্লির ভাষায়,
“এটি আসলে ব্রাউজারের ছদ্মবেশে একটি বিশাল নজরদারি ব্যবস্থা।”
ইনকগনিটো মোড: নিরাপত্তার মিথ
অনেকে ধরে নেন, ইনকগনিটো মোড মানেই গোপনীয়তা। বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো।
ক্রোম আপনার সম্পর্কে কী তথ্য নেয়
গুগল ক্রোম আপনার সম্পর্কে যে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করে, সে তালিকা বেশ দীর্ঘ—
এসবের ভিত্তিতে গুগল আপনার একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরি করে—যেখানে আপনার শখ থেকে রাজনৈতিক মতাদর্শ পর্যন্ত সবই অনুমান করা যায়।
এই তথ্য দিয়ে গুগলের কী লাভ
গুগল এগুলো ব্ল্যাকমেইলিংয়ের জন্য ব্যবহার না করলেও, তাদের টার্গেটেড বিজ্ঞাপন ব্যবসার মূল জ্বালানি হলো এসব ব্যক্তিগত তথ্য।
আপনি একবার “জুতা” সার্চ করলে, পরবর্তী কয়েক দিন পুরো ইন্টারনেটজুড়ে জুতার বিজ্ঞাপন দেখা তারই উদাহরণ।
ডেটা ব্রোকারদের কাছে এসব তথ্য বিক্রি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তখন তথ্য হ্যাকার বা প্রতারকের হাতেও পৌঁছাতে পারে।

তাহলে বিকল্প কী
বিশেষজ্ঞরা তিনটি ব্রাউজারের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলো গোপনীয়তার দিক থেকে অনেক বেশি নিরাপদ—
১. ব্রেভ (Brave)
২. টর ব্রাউজার (Tor)
৩. ফায়ারফক্স (Firefox)
নিজেকে সুরক্ষিত রাখার ৫ জরুরি পরামর্শ
১) অফিস ও ব্যক্তিগত কাজের জন্য আলাদা ব্রাউজার ব্যবহার করুন
২) গুগলের বদলে DuckDuckGo বা Startpage সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করুন
৩) পাবলিক ওয়াই–ফাই-এ অবশ্যই VPN ব্যবহার করুন
৪) পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন
৫) ব্রাউজার ও ডিভাইস সব সময় আপডেট রাখুন
শেষকথা, সিদ্ধান্ত আপনার
২০০৮ সাল থেকে আমরা অনেকেই অভ্যাসবশত ক্রোম ব্যবহার করছি। কিন্তু উপলব্ধি করা প্রয়োজন—
আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের প্রতিটি টুকরো যদি এক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের হাতে জমা থাকে, তা কি সত্যিই নিরাপদ?
ব্রেভ বা ফায়ারফক্স ব্যবহার করলে বিজ্ঞাপনহীন, গোপনীয়তাসুরক্ষিত ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো—
এক ক্লিকেই ক্রোমের সব পাসওয়ার্ড ও বুকমার্ক নতুন ব্রাউজারে নিয়ে আসা যায়।
আজই সিদ্ধান্ত নিন—
আপনি কি গুগলের পণ্য হয়ে থাকবেন, নাকি নিজের তথ্যের মালিক নিজেই হবেন?

সম্প্রতি মার্কিন সাইবার গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাবেক সিটিও বব গার্লি এমনই এক বিস্ময়কর সতর্কতা দিয়েছেন। তাঁর মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোম—যেটি দিয়ে এখন এ লেখাটিও পড়া হতে পারে—গোপনীয়তার দিক থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
ক্রোম কেন সবচেয়ে বড় ঝুঁকি
বিশেষজ্ঞ বব গার্লি বলেন,
“ক্রোমের জন্মই হয়েছে নজরদারির জন্য।”
গুগল একটি বিজ্ঞাপননির্ভর প্রতিষ্ঠান। তাদের মূল ব্যবসাই হলো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করা।
বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্রোম ব্যবহার করে। ফলে—
সবকিছুই গুগলের সার্ভারে সংরক্ষিত হয়। গার্লির ভাষায়,
“এটি আসলে ব্রাউজারের ছদ্মবেশে একটি বিশাল নজরদারি ব্যবস্থা।”
ইনকগনিটো মোড: নিরাপত্তার মিথ
অনেকে ধরে নেন, ইনকগনিটো মোড মানেই গোপনীয়তা। বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো।
ক্রোম আপনার সম্পর্কে কী তথ্য নেয়
গুগল ক্রোম আপনার সম্পর্কে যে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করে, সে তালিকা বেশ দীর্ঘ—
এসবের ভিত্তিতে গুগল আপনার একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরি করে—যেখানে আপনার শখ থেকে রাজনৈতিক মতাদর্শ পর্যন্ত সবই অনুমান করা যায়।
এই তথ্য দিয়ে গুগলের কী লাভ
গুগল এগুলো ব্ল্যাকমেইলিংয়ের জন্য ব্যবহার না করলেও, তাদের টার্গেটেড বিজ্ঞাপন ব্যবসার মূল জ্বালানি হলো এসব ব্যক্তিগত তথ্য।
আপনি একবার “জুতা” সার্চ করলে, পরবর্তী কয়েক দিন পুরো ইন্টারনেটজুড়ে জুতার বিজ্ঞাপন দেখা তারই উদাহরণ।
ডেটা ব্রোকারদের কাছে এসব তথ্য বিক্রি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তখন তথ্য হ্যাকার বা প্রতারকের হাতেও পৌঁছাতে পারে।

তাহলে বিকল্প কী
বিশেষজ্ঞরা তিনটি ব্রাউজারের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলো গোপনীয়তার দিক থেকে অনেক বেশি নিরাপদ—
১. ব্রেভ (Brave)
২. টর ব্রাউজার (Tor)
৩. ফায়ারফক্স (Firefox)
নিজেকে সুরক্ষিত রাখার ৫ জরুরি পরামর্শ
১) অফিস ও ব্যক্তিগত কাজের জন্য আলাদা ব্রাউজার ব্যবহার করুন
২) গুগলের বদলে DuckDuckGo বা Startpage সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করুন
৩) পাবলিক ওয়াই–ফাই-এ অবশ্যই VPN ব্যবহার করুন
৪) পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন
৫) ব্রাউজার ও ডিভাইস সব সময় আপডেট রাখুন
শেষকথা, সিদ্ধান্ত আপনার
২০০৮ সাল থেকে আমরা অনেকেই অভ্যাসবশত ক্রোম ব্যবহার করছি। কিন্তু উপলব্ধি করা প্রয়োজন—
আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের প্রতিটি টুকরো যদি এক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের হাতে জমা থাকে, তা কি সত্যিই নিরাপদ?
ব্রেভ বা ফায়ারফক্স ব্যবহার করলে বিজ্ঞাপনহীন, গোপনীয়তাসুরক্ষিত ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো—
এক ক্লিকেই ক্রোমের সব পাসওয়ার্ড ও বুকমার্ক নতুন ব্রাউজারে নিয়ে আসা যায়।
আজই সিদ্ধান্ত নিন—
আপনি কি গুগলের পণ্য হয়ে থাকবেন, নাকি নিজের তথ্যের মালিক নিজেই হবেন?

বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোড়ামারা গ্রামের এক ভাঙা ঝুপড়িতে দিন কাটাচ্ছেন গোকুল সরদার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী রানী সরদার (৬০)। ছেঁড়া পলিথিনে মোড়ানো, হোগলা ও নারকেল পাতার বেড়ায় ঘেরা এই ঘরের অর্ধেক অংশই হেলে পড়েছে। সামান্য বাতাসে বা বৃষ্টিতে এটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৪ দিন আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন প্রায় ৫৮ বছর পর ছেলেবেলার স্মৃতিবিজড়িত নীলফামারীর মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন ৭ ডিসেম্বর কৃতী শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় ও বাল্যবন্ধুদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করবেন।
৭ দিন আগেসকালের শুরু থেকে রাত অবধি—ইন্টারনেট সার্ফিংয়ের প্রতিটি ধাপেই আমরা ভরসা করি একটি ছোট্ট সফটওয়্যারের ওপর ’ওয়েব ব্রাউজার’। অফিসের কাজ, বিনোদন, সোশ্যাল মিডিয়া—সবই চলে এই ডিজিটাল দরজার মাধ্যমে। অথচ বেশির ভাগ ব্যবহারকারীই জানেন না, তাদের ব্যবহার করা ব্রাউজারই হতে পারে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সবচেয়ে বড় হুমকি।
বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোড়ামারা গ্রামের এক ভাঙা ঝুপড়িতে দিন কাটাচ্ছেন গোকুল সরদার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী রানী সরদার (৬০)। ছেঁড়া পলিথিনে মোড়ানো, হোগলা ও নারকেল পাতার বেড়ায় ঘেরা এই ঘরের অর্ধেক অংশই হেলে পড়েছে। সামান্য বাতাসে বা বৃষ্টিতে এটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।