কুমিল্লা
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে এবার মাঠে নেমেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। প্রথম ধাপে ৩১ জনের শুনানির ধার্য তারিখ আজ। কুমিল্লা সার্কিট হাউজে সকাল ১০টা থেকে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠানো চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক নির্দেশের প্রেক্ষিতে
মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে প্রক্রিয়া শুরু হলো।
তার নির্দেশনার পর দেশের জেলা, উপজেলা থেকে মন্ত্রণালয়ে এবং জামুকায় হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়ে এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়।
এরই অংশ হিসাবে আজ কুমিল্লা অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ৩১ জনের বিরুদ্ধে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জামুকার মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া নাকি আসল, তা ঢাকায় বসে যাচাই করা সম্ভব না। এজন্য আমরা অভিযোগ ওঠা মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাইয়ে মাঠ পর্যায়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এর অংশ হিসাবে আজ কুমিল্লায় যাচ্ছি। সেখানে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে সে সময়কার সাক্ষ্যপ্রমাণ, তথ্যপ্রমাণ নিখুঁতভাবে নিরূপণের চেষ্টা করব।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করে একটি ডেটাবেজ তৈরির চিন্তা আছে মন্ত্রণালয়ের। তবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মতে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা লাখেরও বেশি। ১৯৯৪ সালে বিএনপির আমলে করা তালিকায় ৮৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে মূল ভিত্তি ধরে সামনে এগোতে চায় অধিদপ্তরটি। বর্তমানে দেশের সনদধারী মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার। সে হিসাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ২২ হাজার।
জামুকা সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত দেশে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন। গেজেট বাতিল, মুক্তিযোদ্ধা বয়সসীমা নির্ধারণসহ প্রায় ১৪ ক্যাটাগরিতে মোট মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৭১৯টি। ইতোমধ্যে নির্ধারিত বয়সের (১২ বছর ৬ মাস) কম হওয়ায় ২ হাজার ১১১ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। এ নিয়ে বিগত ১৫ বছরে ৩৯২৬ মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল হয়।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে এবার মাঠে নেমেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। প্রথম ধাপে ৩১ জনের শুনানির ধার্য তারিখ আজ। কুমিল্লা সার্কিট হাউজে সকাল ১০টা থেকে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠানো চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক নির্দেশের প্রেক্ষিতে
মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে প্রক্রিয়া শুরু হলো।
তার নির্দেশনার পর দেশের জেলা, উপজেলা থেকে মন্ত্রণালয়ে এবং জামুকায় হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়ে এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়।
এরই অংশ হিসাবে আজ কুমিল্লা অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ৩১ জনের বিরুদ্ধে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জামুকার মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া নাকি আসল, তা ঢাকায় বসে যাচাই করা সম্ভব না। এজন্য আমরা অভিযোগ ওঠা মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাইয়ে মাঠ পর্যায়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এর অংশ হিসাবে আজ কুমিল্লায় যাচ্ছি। সেখানে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে সে সময়কার সাক্ষ্যপ্রমাণ, তথ্যপ্রমাণ নিখুঁতভাবে নিরূপণের চেষ্টা করব।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করে একটি ডেটাবেজ তৈরির চিন্তা আছে মন্ত্রণালয়ের। তবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মতে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা লাখেরও বেশি। ১৯৯৪ সালে বিএনপির আমলে করা তালিকায় ৮৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে মূল ভিত্তি ধরে সামনে এগোতে চায় অধিদপ্তরটি। বর্তমানে দেশের সনদধারী মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার। সে হিসাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ২২ হাজার।
জামুকা সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত দেশে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন। গেজেট বাতিল, মুক্তিযোদ্ধা বয়সসীমা নির্ধারণসহ প্রায় ১৪ ক্যাটাগরিতে মোট মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৭১৯টি। ইতোমধ্যে নির্ধারিত বয়সের (১২ বছর ৬ মাস) কম হওয়ায় ২ হাজার ১১১ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। এ নিয়ে বিগত ১৫ বছরে ৩৯২৬ মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল হয়।