নিক্কিই ফোরামে প্রধান উপদেষ্টা
নিখাদ খবর ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধিষ্ণু অস্থিরতার আবহে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতাকে সংঘাতের বদলে সহযোগিতার এক নতুন দিগন্তে রূপান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতের দিকে তাকালে আমি বিশ্বাস করি, মিলিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা এবং সমৃদ্ধির নতুন নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচনে এশিয়ার দেশগুলো আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে। এক অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের সুস্পষ্ট পথ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা আমাদের চারপাশের অশান্তি দেখে হতাশ না হই। এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনও লেখা হয়নি, আমরা একসঙ্গে লিখবো। বাংলাদেশ ও জাপান এশিয়ার ভাগ্য এমনকি বিশ্বের ভাগ্য পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাপানের টোকিও’র ইম্পেরিয়াল হোটেলে নিক্কিই ফোরামে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্ব ক্রমশ অশান্ত হয়ে উঠছে। আমরা চরম অনিশ্চয়তার সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছি যেখানে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে, উত্তেজনা বাড়ছে এবং সহযোগিতার নিশ্চয়তা সবসময় নেই। এশিয়া ও এর বাইরের অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে, শান্তি অধরা হয়ে পড়ছে। যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ইতোমধ্যে গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অতিসম্প্রতি, আমাদের দুই প্রতিবেশী একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। দুঃখজনকভাবে, আমরা যুদ্ধে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছি, আমাদের লাখ লাখ মানুষকে অনাহারে রাখছি। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য এবং দক্ষিণ এশিয়ায় অব্যাহত শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আশাবাদ ব্যক্ত করায় আমি দু'দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়, তবুও নতুন নৈতিক দ্বিধা উত্থাপন করে। বাণিজ্য বিধিনিষেধের উত্থান মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থার মূল ভিত্তিকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও বিস্তৃত হচ্ছে, বৈশ্বিক আস্থা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। জাতিগুলোর মধ্যে, সমাজের মধ্যে এবং এমনকি নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভক্তি, অসন্তোষ ও অস্থিতিশীলতা প্রত্যক্ষ করেছি যার ফলে সরকার পরিবর্তন হয়েছে।
বাংলাদেশে গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি এবং ফলশ্রুতিতে আমার সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ, জনগণের ন্যায়বিচার, সাম্য, স্বাধীনতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্রে সুষ্ঠুভাবে উত্তরণের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এটি ভুলগুলো সংশোধন করার, নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করার এবং একটি ন্যায্য সমাজের স্বপ্ন উপলব্ধি করার একটি সুযোগ। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার ভূমিকা পালন করছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তিবিনির্মাণ মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখছে এবং সম্পূর্ণরূপে মানবিক কারণে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাসস্থল এশিয়া এই অনিশ্চয়তার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত। এটি একই সাথে সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা ভয়ঙ্কর, এবং আমাদের সম্মিলিত শক্তিও একই পরিস্থিতির মধ্যে আছে। এই বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার একটি ভিন্ন পথ দেখানোর সুযোগ রয়েছে - সম্ভবত একটি দায়িত্বও রয়েছে। শান্তির, আলাপ-আলোচনার পথ, অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের পথ। শুধু সংখ্যায় বৃদ্ধি নয়, মানুষের সুস্থতায়, আস্থায়, আশা বাড়াতে ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসব চ্যালেঞ্জের মুখে আমরা শক্তিহীন নই। আসলে আমরা ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। আজ আমরা যে বিষয়গুলো গ্রহণ করব তা সিদ্ধান্ত নেবে যে আমরা আমাদের সন্তান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কী ধরণের বিশ্ব রেখে যাবো। সেজন্য আমাদের একজোট হতে হবে – শুধু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলেই চলবে না, সমাধানও করতে হবে। যে সমাধানগুলো অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায্য এবং আমাদের মিলিত মানবতার মধ্যে প্রোথিত।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি প্রায়ই বলি, "অর্থ উপার্জন করা সুখ। কিন্তু মানুষকে খুশি করা দারুণ সুখের। আমাদের ফোকাস স্থানান্তর করতে হবে - ব্যক্তিগত মুনাফা থেকে সমষ্টিগত কল্যাণের দিকে। স্বল্পমেয়াদী লাভ থেকে দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিতে। গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক চালু করা থেকে শুরু করে সামাজিক ব্যবসার ধারণা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো যাত্রায় আমি একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে শিখেছি, মানুষ কষ্ট পাওয়ার জন্য জন্মায় না। মানুষ অসীম সম্ভাবনা নিয়ে জন্মায়। আমাদের শুধু তাদের সঠিক সুযোগ দিতে হবে।
এসময় তিনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছয়টি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। এর মধ্যে আছে - এশিয়ার পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে সহযোগিতায় রূপান্তর করা, শক্তিশালী প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা, দারিদ্রতা দূর করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন স্থাপত্য তৈরি করা, বিনিয়োগের মাধ্যমে জীবনকে রূপান্তর করা , সবুজ রূপান্তর এবং যুব সমাজের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি অশান্ত বিশ্বে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং তৃণমূল নেতৃত্ব আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়াকে শুধু অর্থনৈতিক শক্তিই নয়, বরং একটি নতুন নৈতিক কম্পাস দিতে হবে- যা ক্ষমতার চেয়ে শান্তি, প্রতিযোগিতার চেয়ে সহযোগিতা, স্বল্পমেয়াদী লাভের চেয়ে টেকসইকে সমর্থন করবে। আমার দেশ বাংলাদেশে আমরা দেখেছি কীভাবে সামাজিক ব্যবসা লাখ লাখ মানুষকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এটা একটা শিক্ষা হোক, যখন মানুষকে মর্যাদা, বিশ্বাস এবং একটি সুযোগ দেওয়া হয়- তখন তারা উত্থিত হয়। শুধু শ্রমিক হিসেবে নয়, চেঞ্জ মেকার হিসেবেও।
বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধিষ্ণু অস্থিরতার আবহে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতাকে সংঘাতের বদলে সহযোগিতার এক নতুন দিগন্তে রূপান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতের দিকে তাকালে আমি বিশ্বাস করি, মিলিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা এবং সমৃদ্ধির নতুন নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচনে এশিয়ার দেশগুলো আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে। এক অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের সুস্পষ্ট পথ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা আমাদের চারপাশের অশান্তি দেখে হতাশ না হই। এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনও লেখা হয়নি, আমরা একসঙ্গে লিখবো। বাংলাদেশ ও জাপান এশিয়ার ভাগ্য এমনকি বিশ্বের ভাগ্য পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাপানের টোকিও’র ইম্পেরিয়াল হোটেলে নিক্কিই ফোরামে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্ব ক্রমশ অশান্ত হয়ে উঠছে। আমরা চরম অনিশ্চয়তার সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছি যেখানে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে, উত্তেজনা বাড়ছে এবং সহযোগিতার নিশ্চয়তা সবসময় নেই। এশিয়া ও এর বাইরের অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে, শান্তি অধরা হয়ে পড়ছে। যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ইতোমধ্যে গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অতিসম্প্রতি, আমাদের দুই প্রতিবেশী একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। দুঃখজনকভাবে, আমরা যুদ্ধে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছি, আমাদের লাখ লাখ মানুষকে অনাহারে রাখছি। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য এবং দক্ষিণ এশিয়ায় অব্যাহত শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আশাবাদ ব্যক্ত করায় আমি দু'দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়, তবুও নতুন নৈতিক দ্বিধা উত্থাপন করে। বাণিজ্য বিধিনিষেধের উত্থান মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থার মূল ভিত্তিকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও বিস্তৃত হচ্ছে, বৈশ্বিক আস্থা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। জাতিগুলোর মধ্যে, সমাজের মধ্যে এবং এমনকি নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভক্তি, অসন্তোষ ও অস্থিতিশীলতা প্রত্যক্ষ করেছি যার ফলে সরকার পরিবর্তন হয়েছে।
বাংলাদেশে গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি এবং ফলশ্রুতিতে আমার সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ, জনগণের ন্যায়বিচার, সাম্য, স্বাধীনতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্রে সুষ্ঠুভাবে উত্তরণের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এটি ভুলগুলো সংশোধন করার, নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করার এবং একটি ন্যায্য সমাজের স্বপ্ন উপলব্ধি করার একটি সুযোগ। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার ভূমিকা পালন করছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তিবিনির্মাণ মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখছে এবং সম্পূর্ণরূপে মানবিক কারণে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাসস্থল এশিয়া এই অনিশ্চয়তার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত। এটি একই সাথে সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা ভয়ঙ্কর, এবং আমাদের সম্মিলিত শক্তিও একই পরিস্থিতির মধ্যে আছে। এই বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার একটি ভিন্ন পথ দেখানোর সুযোগ রয়েছে - সম্ভবত একটি দায়িত্বও রয়েছে। শান্তির, আলাপ-আলোচনার পথ, অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের পথ। শুধু সংখ্যায় বৃদ্ধি নয়, মানুষের সুস্থতায়, আস্থায়, আশা বাড়াতে ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসব চ্যালেঞ্জের মুখে আমরা শক্তিহীন নই। আসলে আমরা ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। আজ আমরা যে বিষয়গুলো গ্রহণ করব তা সিদ্ধান্ত নেবে যে আমরা আমাদের সন্তান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কী ধরণের বিশ্ব রেখে যাবো। সেজন্য আমাদের একজোট হতে হবে – শুধু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলেই চলবে না, সমাধানও করতে হবে। যে সমাধানগুলো অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায্য এবং আমাদের মিলিত মানবতার মধ্যে প্রোথিত।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি প্রায়ই বলি, "অর্থ উপার্জন করা সুখ। কিন্তু মানুষকে খুশি করা দারুণ সুখের। আমাদের ফোকাস স্থানান্তর করতে হবে - ব্যক্তিগত মুনাফা থেকে সমষ্টিগত কল্যাণের দিকে। স্বল্পমেয়াদী লাভ থেকে দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিতে। গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক চালু করা থেকে শুরু করে সামাজিক ব্যবসার ধারণা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো যাত্রায় আমি একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে শিখেছি, মানুষ কষ্ট পাওয়ার জন্য জন্মায় না। মানুষ অসীম সম্ভাবনা নিয়ে জন্মায়। আমাদের শুধু তাদের সঠিক সুযোগ দিতে হবে।
এসময় তিনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছয়টি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। এর মধ্যে আছে - এশিয়ার পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে সহযোগিতায় রূপান্তর করা, শক্তিশালী প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা, দারিদ্রতা দূর করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন স্থাপত্য তৈরি করা, বিনিয়োগের মাধ্যমে জীবনকে রূপান্তর করা , সবুজ রূপান্তর এবং যুব সমাজের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি অশান্ত বিশ্বে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং তৃণমূল নেতৃত্ব আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়াকে শুধু অর্থনৈতিক শক্তিই নয়, বরং একটি নতুন নৈতিক কম্পাস দিতে হবে- যা ক্ষমতার চেয়ে শান্তি, প্রতিযোগিতার চেয়ে সহযোগিতা, স্বল্পমেয়াদী লাভের চেয়ে টেকসইকে সমর্থন করবে। আমার দেশ বাংলাদেশে আমরা দেখেছি কীভাবে সামাজিক ব্যবসা লাখ লাখ মানুষকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এটা একটা শিক্ষা হোক, যখন মানুষকে মর্যাদা, বিশ্বাস এবং একটি সুযোগ দেওয়া হয়- তখন তারা উত্থিত হয়। শুধু শ্রমিক হিসেবে নয়, চেঞ্জ মেকার হিসেবেও।
বর্তমান পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে তরুণদের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৩ ঘণ্টা আগেএক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’। এমনটাই জানালেন,স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
১৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে জাপানের সোকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৬ ঘণ্টা আগেএ ছাড়া, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেললাইনকে ডুয়েল-গেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করার জন্য ৬৪১ মিলিয়ন ডলার এবং পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ (বৃত্তি) বাবদ অনুদান হিসেবে আরও ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে।
১৮ ঘণ্টা আগেবর্তমান পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে তরুণদের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’। এমনটাই জানালেন,স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে জাপানের সোকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়া, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেললাইনকে ডুয়েল-গেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করার জন্য ৬৪১ মিলিয়ন ডলার এবং পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ (বৃত্তি) বাবদ অনুদান হিসেবে আরও ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে।