নিজস্ব প্রতিবেদক

‘শত শত মিলিয়ন ডলার’ ক্ষতির অভিযোগ করে বিশ্বব্যাংকের একটি সালিশি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের হাতে পাওয়া নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটস (ICSID)–এ এই সালিসি দাবি দাখিল করেছেন এস আলম ও তার পরিবারের আইনজীবীরা।
আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন এস আলম পরিবারের বিরুদ্ধে ‘অযৌক্তিক সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং আর্থিক ক্ষতির পরিকল্পিত অভিযান’ চালিয়েছে।
এস আলম পরিবারের দাবি, তারা সরকারের ‘নির্দেশিত লক্ষ্যভিত্তিক অভিযানের শিকার’, যা তাদের ব্যবসাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এই মামলা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সেই প্রচেষ্টার জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যার লক্ষ্য ছিল ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা।
বাংলাদেশ সরকারের কমিশন করা একটি ‘অর্থনীতির শ্বেতপত্র’–এ বলা হয়েছিল, গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ আনুমানিক ২৩৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সরকারের সম্পদ উদ্ধারের নেতৃত্বে থাকা আহসান এইচ. মনসুর অভিযোগ করেছেন, এস আলম পরিবার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘টাকাগুলো কোথায় গেছে?’
অপর দিকে, এস আলম গ্রুপ জানিয়েছে, মনসুরের এই অভিযোগের ‘কোনো ভিত্তি নেই’।
গত ডিসেম্বরেই এস আলম পরিবারের পক্ষের আইনজীবীরা ইউনূস সরকারকে সতর্ক করেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে সমাধান না হলে তারা আন্তর্জাতিক সালিসিতে যাবে।
সালিসি দাবিতে আইনজীবী প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল উরকহার্ট অ্যান্ড সুলিভান অভিযোগ করেছে, সরকার তাদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে, সম্পদ জব্দ করেছে, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা তদন্ত’ চালিয়েছে এবং তাদের লক্ষ্য করে ‘উসকানিমূলক গণমাধ্যম প্রচারণা’ সমন্বিতভাবে পরিচালনা করেছে।
দাবিতে বলা হয়েছে, এসব কারণে ‘খুবই বড় আর্থিক ক্ষতি’ হয়েছে, যার পরিমাণ ‘শত শত কোটি ডলার’ হিসেবে অনুমান করা হয়েছে। তবে ক্ষতিপূরণের নির্দিষ্ট অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি।
এস আলমের সালিসি আবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গভর্নর আহসান মনসুর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, আমাদের হাতে এটি পৌঁছালে আমরা যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে জবাব দেবো।
এই সালিসি মামলা করা হয়েছে, ২০০৪ সালের বাংলাদেশ–সিঙ্গাপুর দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির আওতায়। আইনি নথি অনুযায়ী, এস আলম পরিবারের সদস্যরা ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।
তারা দাবি করেছেন, বাংলাদেশের ১৯৮০ সালের বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আইনের অধীনে বিদেশি নাগরিক হিসেবে তারা সুরক্ষার অধিকারী।
আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা আহসান মনসুর বলেন, ‘আমরা প্রচুর প্রমাণ পেয়েছি, যা দেখায় তারা বিপুল পরিমাণ সম্পদ সরিয়ে নিয়েছে। এখন আমরা এমন ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছি যেগুলোর নিট সম্পদ ঋণাত্মক, এবং সরকারকেই সেগুলো বেইল আউট (উদ্ধার) করতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে, সালিসি আবেদনে এস আলম পরিবার বলেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

‘শত শত মিলিয়ন ডলার’ ক্ষতির অভিযোগ করে বিশ্বব্যাংকের একটি সালিশি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের হাতে পাওয়া নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটস (ICSID)–এ এই সালিসি দাবি দাখিল করেছেন এস আলম ও তার পরিবারের আইনজীবীরা।
আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন এস আলম পরিবারের বিরুদ্ধে ‘অযৌক্তিক সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং আর্থিক ক্ষতির পরিকল্পিত অভিযান’ চালিয়েছে।
এস আলম পরিবারের দাবি, তারা সরকারের ‘নির্দেশিত লক্ষ্যভিত্তিক অভিযানের শিকার’, যা তাদের ব্যবসাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এই মামলা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সেই প্রচেষ্টার জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যার লক্ষ্য ছিল ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা।
বাংলাদেশ সরকারের কমিশন করা একটি ‘অর্থনীতির শ্বেতপত্র’–এ বলা হয়েছিল, গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ আনুমানিক ২৩৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সরকারের সম্পদ উদ্ধারের নেতৃত্বে থাকা আহসান এইচ. মনসুর অভিযোগ করেছেন, এস আলম পরিবার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘টাকাগুলো কোথায় গেছে?’
অপর দিকে, এস আলম গ্রুপ জানিয়েছে, মনসুরের এই অভিযোগের ‘কোনো ভিত্তি নেই’।
গত ডিসেম্বরেই এস আলম পরিবারের পক্ষের আইনজীবীরা ইউনূস সরকারকে সতর্ক করেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে সমাধান না হলে তারা আন্তর্জাতিক সালিসিতে যাবে।
সালিসি দাবিতে আইনজীবী প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল উরকহার্ট অ্যান্ড সুলিভান অভিযোগ করেছে, সরকার তাদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে, সম্পদ জব্দ করেছে, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা তদন্ত’ চালিয়েছে এবং তাদের লক্ষ্য করে ‘উসকানিমূলক গণমাধ্যম প্রচারণা’ সমন্বিতভাবে পরিচালনা করেছে।
দাবিতে বলা হয়েছে, এসব কারণে ‘খুবই বড় আর্থিক ক্ষতি’ হয়েছে, যার পরিমাণ ‘শত শত কোটি ডলার’ হিসেবে অনুমান করা হয়েছে। তবে ক্ষতিপূরণের নির্দিষ্ট অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি।
এস আলমের সালিসি আবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গভর্নর আহসান মনসুর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, আমাদের হাতে এটি পৌঁছালে আমরা যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে জবাব দেবো।
এই সালিসি মামলা করা হয়েছে, ২০০৪ সালের বাংলাদেশ–সিঙ্গাপুর দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির আওতায়। আইনি নথি অনুযায়ী, এস আলম পরিবারের সদস্যরা ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।
তারা দাবি করেছেন, বাংলাদেশের ১৯৮০ সালের বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আইনের অধীনে বিদেশি নাগরিক হিসেবে তারা সুরক্ষার অধিকারী।
আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা আহসান মনসুর বলেন, ‘আমরা প্রচুর প্রমাণ পেয়েছি, যা দেখায় তারা বিপুল পরিমাণ সম্পদ সরিয়ে নিয়েছে। এখন আমরা এমন ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছি যেগুলোর নিট সম্পদ ঋণাত্মক, এবং সরকারকেই সেগুলো বেইল আউট (উদ্ধার) করতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে, সালিসি আবেদনে এস আলম পরিবার বলেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

আইরিন আক্তার পিয়াকে এখন কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তার অনার্স শেষ হলে পরে অফিসার পদে নেওয়া হবে
১২ ঘণ্টা আগে
১৯৭২ এর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, ‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮’-এর নিম্নরূপ অধিকতর সংশোধন করিল
১৩ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে একটি জেনারেটর সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। সর্বনিম্ন ৯০ লাখ টাকা দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পান ঢাকা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শাহাবুদ্দিন
১৩ ঘণ্টা আগে
এই সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে
১৬ ঘণ্টা আগেআইরিন আক্তার পিয়াকে এখন কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তার অনার্স শেষ হলে পরে অফিসার পদে নেওয়া হবে
১৯৭২ এর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, ‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮’-এর নিম্নরূপ অধিকতর সংশোধন করিল
কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে একটি জেনারেটর সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। সর্বনিম্ন ৯০ লাখ টাকা দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পান ঢাকা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শাহাবুদ্দিন
এই সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে