শরিফ ওসমান হাদির জানাজা ও দাফনের পর জনসাধারণকে শাহবাগে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং হামলাকারীর দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে পরিবারের প্রতিনিধিরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সপ্তাহব্যাপী পদক্ষেপ জনগণের কাছে জানানোর আলটিমেটাম দিয়েছেন।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে হাদির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয় এবং গোসলের পরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পৌঁছায়। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ হাসপাতালে ও জাতীয় সংসদ দক্ষিণ প্লাজায় সমবেত হন, শেষবারের মতো হাদিকে দেখতে।

জানাজার সময় প্রধান উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টা, পরিবারের সদস্য এবং রাজনৈতিক দল ও উপদেষ্টা পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। হাদির বড় ভাই জানাজায় ইমামতি করেন।

উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়া হাদি প্রথমে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরিবারের ইচ্ছায় পরে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৭ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ভাষণে হাদির মৃত্যুতে ২০ ডিসেম্বর একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।