প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে: তিনি কোথায়?
বিশেষ প্রতিনিধি
১৩ বছর আগে এক অন্ধকার রাত। তারপর থেকে নিখোঁজ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা ইলিয়াস আলী। সময় গড়িয়েছে, সরকার বদলেছে, নানা ঘটনার ভিড়ে হারিয়ে গেছে বহু স্মৃতি- কিন্তু এই একটিমাত্র প্রশ্নের উত্তর মেলেনি আজও: ইলিয়াস আলী কোথায়?
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে রাজধানীর বনানী থেকে নিজের গাড়িচালক আনসার আলীসহ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। তার গাড়িটি পরদিন বনানী এলাকা থেকেই উদ্ধার হলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরিবারের সদস্যদের দাবি- এটি ছিল একটি গুম। আর এ অভিযোগের আঙুল ছিল সরাসরি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে।
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা এক যুগ ধরে স্বামীর সন্ধানে নানা দরজায় কড়া নাড়লেও ফল হয়নি। প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল এলেই নতুন করে শুরু হয় পারিবারিক যন্ত্রণা, দলীয় শোক ও রাষ্ট্রের নীরবতার অভিযোগ। বিএনপি বরাবরই বলে এসেছে, এটি একটি রাষ্ট্রীয় গুমের ঘটনা, আর এর জন্য সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেই দায়ী করে আসছে।
ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি শুধু একটি ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়া নয়- বরং এটি সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশে গুমের রাজনীতির অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, ২০০৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, যাদের অনেকেরই খোঁজ পাওয়া যায়নি কখনো। ইলিয়াস আলীর ঘটনাটি সেই প্রক্রিয়ার একটি অন্যতম উদাহরণ।
সরকারের পক্ষ থেকে শুরুতে কিছুটা তৎপরতা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারাও বিষয়টি নিয়ে নীরব হয়ে পড়ে। একাধিকবার তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, ‘তাকে কেউ অপহরণ করে থাকতে পারে’- এমন একটি সাধারণ বক্তব্যের বাইরে তেমন কিছু জানানো হয়নি।
সিলেটের এই জনপ্রিয় নেতা ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের সদস্য। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন উদ্যমী ও তৃণমূল-সংগঠক হিসেবে পরিচিত। তার নিখোঁজ হওয়া শুধু পরিবার নয়, বিএনপির রাজনীতিতেও একটি শূন্যতা তৈরি করেছে, যার প্রতিফলন এখনও দেখা যায়।
ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আসছে- কিন্তু ইলিয়াস আলী আজও একটি নাম, একটি প্রশ্ন, একটি রহস্য।
তার পরিবারের চোখে এখনও অপেক্ষার ছাপ। বিএনপি নেতাকর্মীদের কণ্ঠে এখনও প্রতিধ্বনিত হয় একটাই দাবি- “ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দাও।”
নিরুদ্দেশ এই রাজনীতিক কেবল একজন ব্যক্তি নন, তিনি আজ বাংলাদেশে জবাবদিহির অভাব, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি।
১৩ বছর আগে এক অন্ধকার রাত। তারপর থেকে নিখোঁজ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা ইলিয়াস আলী। সময় গড়িয়েছে, সরকার বদলেছে, নানা ঘটনার ভিড়ে হারিয়ে গেছে বহু স্মৃতি- কিন্তু এই একটিমাত্র প্রশ্নের উত্তর মেলেনি আজও: ইলিয়াস আলী কোথায়?
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে রাজধানীর বনানী থেকে নিজের গাড়িচালক আনসার আলীসহ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। তার গাড়িটি পরদিন বনানী এলাকা থেকেই উদ্ধার হলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরিবারের সদস্যদের দাবি- এটি ছিল একটি গুম। আর এ অভিযোগের আঙুল ছিল সরাসরি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে।
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা এক যুগ ধরে স্বামীর সন্ধানে নানা দরজায় কড়া নাড়লেও ফল হয়নি। প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল এলেই নতুন করে শুরু হয় পারিবারিক যন্ত্রণা, দলীয় শোক ও রাষ্ট্রের নীরবতার অভিযোগ। বিএনপি বরাবরই বলে এসেছে, এটি একটি রাষ্ট্রীয় গুমের ঘটনা, আর এর জন্য সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেই দায়ী করে আসছে।
ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি শুধু একটি ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়া নয়- বরং এটি সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশে গুমের রাজনীতির অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, ২০০৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, যাদের অনেকেরই খোঁজ পাওয়া যায়নি কখনো। ইলিয়াস আলীর ঘটনাটি সেই প্রক্রিয়ার একটি অন্যতম উদাহরণ।
সরকারের পক্ষ থেকে শুরুতে কিছুটা তৎপরতা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারাও বিষয়টি নিয়ে নীরব হয়ে পড়ে। একাধিকবার তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, ‘তাকে কেউ অপহরণ করে থাকতে পারে’- এমন একটি সাধারণ বক্তব্যের বাইরে তেমন কিছু জানানো হয়নি।
সিলেটের এই জনপ্রিয় নেতা ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের সদস্য। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন উদ্যমী ও তৃণমূল-সংগঠক হিসেবে পরিচিত। তার নিখোঁজ হওয়া শুধু পরিবার নয়, বিএনপির রাজনীতিতেও একটি শূন্যতা তৈরি করেছে, যার প্রতিফলন এখনও দেখা যায়।
ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আসছে- কিন্তু ইলিয়াস আলী আজও একটি নাম, একটি প্রশ্ন, একটি রহস্য।
তার পরিবারের চোখে এখনও অপেক্ষার ছাপ। বিএনপি নেতাকর্মীদের কণ্ঠে এখনও প্রতিধ্বনিত হয় একটাই দাবি- “ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দাও।”
নিরুদ্দেশ এই রাজনীতিক কেবল একজন ব্যক্তি নন, তিনি আজ বাংলাদেশে জবাবদিহির অভাব, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি।
সম্প্রতি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়
৩৬ মিনিট আগেশহীদ আসিফের ত্যাগ ও আদর্শ ছাত্রসমাজকে ন্যায় ও সত্যের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তাদের সাহস যোগানো প্রতিটি কর্মীর দায়িত্ব। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর আদর্শ ধারণ করে দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে
১৬ ঘণ্টা আগেমাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কোনোবারই অন্তর্বর্তী সরকার কোনো স্ট্রং পদক্ষেপ নেয় নাই। কোনো শক্তবার্তা দেয় নাই। কোনো উপদেষ্টা বা প্রেস সচিব একটা মন্তব্যও কখনো করে নাই। সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরেও মাহফুজ আলমকে অপদস্থ ও হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে
১৭ ঘণ্টা আগেসোনাগাজী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ফেনী জেলা সেক্রেটারী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি মুহাম্মদ আবদুর রহীম কে চেয়ারম্যান এবং সোনাগাজী উপজেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফা কে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে
১৯ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়
শহীদ আসিফের ত্যাগ ও আদর্শ ছাত্রসমাজকে ন্যায় ও সত্যের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তাদের সাহস যোগানো প্রতিটি কর্মীর দায়িত্ব। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর আদর্শ ধারণ করে দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে
মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কোনোবারই অন্তর্বর্তী সরকার কোনো স্ট্রং পদক্ষেপ নেয় নাই। কোনো শক্তবার্তা দেয় নাই। কোনো উপদেষ্টা বা প্রেস সচিব একটা মন্তব্যও কখনো করে নাই। সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরেও মাহফুজ আলমকে অপদস্থ ও হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে
সোনাগাজী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ফেনী জেলা সেক্রেটারী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি মুহাম্মদ আবদুর রহীম কে চেয়ারম্যান এবং সোনাগাজী উপজেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফা কে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে