নিজস্ব প্রতিবেদক

মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার হারাগাছা ও সিলেটের জৈন্তাপুরে মাটির নিচে অব্যবহৃতভাবেই পড়ে আছে মূল্যবান খনিজ সম্পদ ইউরেনিয়াম।
এক সময় ইউরেনিয়াম উত্তোলনে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকলে বর্তমানে সেই নিষেধাজ্ঞা নেই। তবুও ইউরেনিয়াম উত্তোলনে পদক্ষেপ না নেয়ায় হতাশ সচেতন মহল। বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে আমাদের দেশেপ্রাপ্ত ইউরেনিয়ামের মানও ভালো।
হারাগাছা ও জৈন্তাপুর থেকে সংগৃহিত মাটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, এখানে ইউরেনিয়াম প্রাপ্তির হার ৫০০-১৩০০ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম)। বিশ্বের যেসব খনি থেকে ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করা হয়। সেগুলোতে ৩শ থেকে এক হাজার পিপিএম ইউরেনিয়াম রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার হারাগাছায় সন্ধান মেলে দেশের প্রথম ইউরেনিয়াম খনির। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ ভূতত্ত্ববিদ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল হারাগাছা পাহাড়ে অনুসন্ধান চালিয়ে ইউরেনিয়াম প্রাপ্তির সম্ভবনার ব্যাপারে নিশ্চিত হন। এরপর ওই পাহাড়কে তেজস্ক্রিয় এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে কমিশন। কিন্তু বাংলাদেশে ইউরেনিয়াম ব্যবহার ও উত্তোলনের অনুমতি না থাকায় এ প্রকল্পের কাজ ওই পর্যন্তই থেমে যায়।
এর ১০ বছর পর ১৯৮৫ সালে সিলেটে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান করতে গিয়ে আবারও আলোচনায় আসে হারগাছার ইউরেনিয়াম। এ সময় ওই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়। সেই সঙ্গে সিলেটের বিভিন্ন স্থানেও ইউরেনিয়াম অনুসন্ধান চালায় আণবিক শক্তি কমিশন। অনুসন্ধান চালিয়ে সিলেটের জৈন্তাপুরে ইউরেনিয়ামের সন্ধান পায় পারমাণু শক্তি কমিশন। অনুসন্ধান কাজে তাদেরকে সহায়াতা করেছিল ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকায় ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেলেও আন্তর্জাতিক বিধি-নিষেধে কারণে জৈন্তাপুরে ইউরেনিয়াম খনি নিয়ে গবেষণা বেশি দূর অগ্রসর হয়নি।
ওই সময় মৌলভীবাজারের জুড়ির হারাগাছা ও সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে সংগৃহিত মাটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রতি ১০ লাখ মাটি কণার মধ্যে রয়েছে ৫০০-১৩০০ ইউরেনিয়াম কণা। অর্থাৎ পরীক্ষিত স্থানের মাটিতে ইউরেনিয়াম প্রাপ্তির হার ৫০০-১৩০০ পার্টস পার মিলিয়ন পিপিএম। আবারও থেমে যায় সব প্রক্রিয়া।কারণ বাংলাদেশের ইউরেনিয়াম উত্তোলনের অনুমতি ছিল না।
এর ছয় বছর পর ১৯৯১ সালে মৌলভীবাজারের হারাগাছায় ফের শুরু হয় অনুসন্ধান কাজ। ওই সময় হারাগাছা থেকে সংগৃহিত ইউরেনিয়াম আকরিক জাপানের আণবিক শক্তি কমিশনের জ্বালানি বিষয়ক গবেষণাগারে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় হারাগাছায় উন্নতমানের ইউরেনিয়াম প্রাপ্তির বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে ওই এলাকায় কয়েকটি কূপ খনন হলেও আন্তর্জাতিক বিধি নিষেধের কারণে শেষ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম উত্তোলনের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
তবে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতির সঙ্গে সঙ্গে ইউরেনিয়াম উত্তোলনের সব বিধিনিষেধ উঠে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে গড়ে ওঠতে পারে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যা দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদক হিসেবে ইউরেনিয়াম ব্যবহৃত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া ২০১০ সালের ৩ এপ্রিল সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে একটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেন। তবে সরকারের এমন আশ্বাসের পরও ইউরেনিয়াম উত্তোলনে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইউরোনিয়াম উত্তোলনের উদ্যোগ নিলে হয়তো বাংলাদেশর নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে।

মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার হারাগাছা ও সিলেটের জৈন্তাপুরে মাটির নিচে অব্যবহৃতভাবেই পড়ে আছে মূল্যবান খনিজ সম্পদ ইউরেনিয়াম।
এক সময় ইউরেনিয়াম উত্তোলনে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকলে বর্তমানে সেই নিষেধাজ্ঞা নেই। তবুও ইউরেনিয়াম উত্তোলনে পদক্ষেপ না নেয়ায় হতাশ সচেতন মহল। বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে আমাদের দেশেপ্রাপ্ত ইউরেনিয়ামের মানও ভালো।
হারাগাছা ও জৈন্তাপুর থেকে সংগৃহিত মাটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, এখানে ইউরেনিয়াম প্রাপ্তির হার ৫০০-১৩০০ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম)। বিশ্বের যেসব খনি থেকে ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করা হয়। সেগুলোতে ৩শ থেকে এক হাজার পিপিএম ইউরেনিয়াম রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার হারাগাছায় সন্ধান মেলে দেশের প্রথম ইউরেনিয়াম খনির। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ ভূতত্ত্ববিদ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল হারাগাছা পাহাড়ে অনুসন্ধান চালিয়ে ইউরেনিয়াম প্রাপ্তির সম্ভবনার ব্যাপারে নিশ্চিত হন। এরপর ওই পাহাড়কে তেজস্ক্রিয় এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে কমিশন। কিন্তু বাংলাদেশে ইউরেনিয়াম ব্যবহার ও উত্তোলনের অনুমতি না থাকায় এ প্রকল্পের কাজ ওই পর্যন্তই থেমে যায়।
এর ১০ বছর পর ১৯৮৫ সালে সিলেটে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান করতে গিয়ে আবারও আলোচনায় আসে হারগাছার ইউরেনিয়াম। এ সময় ওই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়। সেই সঙ্গে সিলেটের বিভিন্ন স্থানেও ইউরেনিয়াম অনুসন্ধান চালায় আণবিক শক্তি কমিশন। অনুসন্ধান চালিয়ে সিলেটের জৈন্তাপুরে ইউরেনিয়ামের সন্ধান পায় পারমাণু শক্তি কমিশন। অনুসন্ধান কাজে তাদেরকে সহায়াতা করেছিল ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকায় ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেলেও আন্তর্জাতিক বিধি-নিষেধে কারণে জৈন্তাপুরে ইউরেনিয়াম খনি নিয়ে গবেষণা বেশি দূর অগ্রসর হয়নি।
ওই সময় মৌলভীবাজারের জুড়ির হারাগাছা ও সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে সংগৃহিত মাটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রতি ১০ লাখ মাটি কণার মধ্যে রয়েছে ৫০০-১৩০০ ইউরেনিয়াম কণা। অর্থাৎ পরীক্ষিত স্থানের মাটিতে ইউরেনিয়াম প্রাপ্তির হার ৫০০-১৩০০ পার্টস পার মিলিয়ন পিপিএম। আবারও থেমে যায় সব প্রক্রিয়া।কারণ বাংলাদেশের ইউরেনিয়াম উত্তোলনের অনুমতি ছিল না।
এর ছয় বছর পর ১৯৯১ সালে মৌলভীবাজারের হারাগাছায় ফের শুরু হয় অনুসন্ধান কাজ। ওই সময় হারাগাছা থেকে সংগৃহিত ইউরেনিয়াম আকরিক জাপানের আণবিক শক্তি কমিশনের জ্বালানি বিষয়ক গবেষণাগারে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় হারাগাছায় উন্নতমানের ইউরেনিয়াম প্রাপ্তির বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে ওই এলাকায় কয়েকটি কূপ খনন হলেও আন্তর্জাতিক বিধি নিষেধের কারণে শেষ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম উত্তোলনের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
তবে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতির সঙ্গে সঙ্গে ইউরেনিয়াম উত্তোলনের সব বিধিনিষেধ উঠে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে গড়ে ওঠতে পারে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যা দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদক হিসেবে ইউরেনিয়াম ব্যবহৃত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া ২০১০ সালের ৩ এপ্রিল সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে একটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেন। তবে সরকারের এমন আশ্বাসের পরও ইউরেনিয়াম উত্তোলনে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইউরোনিয়াম উত্তোলনের উদ্যোগ নিলে হয়তো বাংলাদেশর নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে বিভক্তি প্রকাশ্যে এসেছে। দলীয় মনোনয়ন না পেলে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করার দাবিতে মাঠপর্যায়ে প্রস্তুতি জোরদার করেছে স্থানীয় বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্
১৭ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৭ দিন আগে
রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত নলকূপের গর্তে পড়ে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা দুই বছরের শিশু সাজিদ আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১৪ দিন আগে
রাজশাহীর তানোরে ৩২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর জীবিত উদ্ধার হয়েছে দুই বছরের শিশু সাজিদ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে একটি গভীর নলকূপের গর্ত থেকে তুলে আনেন। পরে তাকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
১৪ দিন আগেআসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে বিভক্তি প্রকাশ্যে এসেছে। দলীয় মনোনয়ন না পেলে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করার দাবিতে মাঠপর্যায়ে প্রস্তুতি জোরদার করেছে স্থানীয় বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্
দেশে ৪৩ বছর আগে মূল্যবান ইউরেনিয়ামের সন্ধান মিললেও নেই উত্তোলনের কোনো উদ্যোগ। ইউরেনিয়াম উত্তোলন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব । নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জাপান, জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্র ইউরেনিয়ামের বড় গ্রাহক।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত নলকূপের গর্তে পড়ে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা দুই বছরের শিশু সাজিদ আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।