ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি সতর্ক করে জানিয়েছে যে বিদেশি শত্রুরা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল, দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে সরাসরি টার্গেট করতে পারে এবং ইরানের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসমাইল খতিব বলেন, “শত্রুরা সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা বা শত্রুতাপূর্ণ হামলার মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার চেষ্টা করছে।” তবে মন্ত্রী কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করেননি। তিনি আরও বলেন, “যারা এই ধরনের কার্যক্রমে জড়িত, তারা শত্রুর এজেন্ট।”

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পটভূমিতেও এটি আসে। জুন মাসে ১২ দিনের লড়াইয়ের সময় ইসরায়েল ইরানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। কিছুদিন পর যুক্তরাষ্ট্রও এই আক্রমণে সহযোগিতা করে।

এই ঘটনাগুলোকে সামনে রেখে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, যুদ্ধ চলাকালে তিনি খামেনির জীবনকে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন। জুলাই মাসে খামেনিও স্বীকার করেন, ইসরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে দুর্বল করা, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা এবং মানুষকে রাজপথে নামিয়ে রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে উৎখাত করা।

গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশি হুমকি ও সক্রিয় এজেন্টদের কারণে ইরানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তৎপরতা বাড়িয়েছে, যাতে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষা করা যায়।