বাগেরহাট

শহরের কোলাহল আর দৈনন্দিন জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে হাঁপ ছাড়তে চায় মানুষ। তাই উৎসবের ছুটিতে সবুজের গন্ডিতে পা রাখতে চান অনেকেই। শহরের যান্ত্রিকতাকে দূরে ঠেলে মিশতে চান প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় সুন্দরবনের সৌন্দর্যের সাথে। বুকভরে নিতে চান সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য্য। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোংলার পূর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে এবং সুন্দরবনের অনন্য জীববৈচিত্র্য উপভোগ করতে করমজল হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের মিলনমেলা।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই সুন্দরবনের এই ইকো টুরিজম কেন্দ্রটিতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঈদের ছুটি কাটাতে পর্যটকরা এসেছেন এই অনন্য সৌন্দর্যের স্থানটি ঘুরে দেখতে। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে, কেউবা এসেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে। শিশু-কিশোরদের চোখে মুখে ছাপিয়ে গেছে বিনোদনের উচ্ছ্বাস। হরিণ কিংবা কুমিরের সাথে তারা মেতে উঠেছে খেলায়।

করমজল পর্যটন কেন্দ্রটি মূলত বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হলেও সুন্দরবনের সব সৌন্দর্য ধরে রাখা হয়েছে এখানে। আছে কুমির, হরিণ, বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশেষ ম্যানগ্রোভ ট্রেইল, যা পুরো বনাঞ্চলের সৌন্দর্য উপভোগের অনন্য সুযোগ করে দেয়।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক শফিকুজ্জামান হাওলাদার বলেন, "দীর্ঘদিন সুন্দরবনে আসার ইচ্ছা ছিল। ঈদের ছুটিতে অবশেষে আসতে পেরেছি। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের এখানে একবার হলেও আসা উচিত। পরিবেশটা খুব মনোমুগ্ধকর।"
রাজশাহী থেকে আসা আরেক দর্শনার্থী শারমিন আক্তার জানান, "এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন প্রকৃতির এক অজানা জগতে পা রেখেছি। সবুজে ঘেরা পরিবেশ, নিরিবিলি বনাঞ্চল আর নীরব নদী সব মিলিয়ে যেন স্বপ্নরাজ্যে এসেছি এমন লাগছে।"
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবীর জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ সার্বিকভাবে তৎপর আছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নিরাপত্তা জোরদার করেছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
পাশাপাশি বন্যপ্রাণী যেন বিরক্ত না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়া, বন বিভাগের কর্মকর্তারা দর্শনার্থীদের সচেতন করছেন যাতে তারা প্রকৃতির কোনো ক্ষতি না করেন।
করমজল কেন্দ্রিক পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, ঈদের ছুটিতে এই সময়টায় পর্যটকদের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এতে স্থানীয় নৌচালক, গাইড ও দোকানিরা আর্থিকভাবে লাভবান হন। দর্শনার্থীদের আনাগোনার কারণে খাবার ও অন্যান্য পণ্যের বিক্রি বেড়ে গেছে। ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য করমজল সুন্দরবনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। ঈদের ছুটিতে যারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি আদর্শ গন্তব্য। বনের সবুজ অরণ্য, বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্য ও শান্ত নদীর বয়ে চলা ধারা পর্যটকদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে। এই আনন্দ নিয়েই তারা ফিরে যাবেন কর্মব্যাস্ত শহরে। আনন্দের এই রেশ ধরে রেখে অপেক্ষা করবেন পরের বছরের ঈদের ছুটির ।

শহরের কোলাহল আর দৈনন্দিন জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে হাঁপ ছাড়তে চায় মানুষ। তাই উৎসবের ছুটিতে সবুজের গন্ডিতে পা রাখতে চান অনেকেই। শহরের যান্ত্রিকতাকে দূরে ঠেলে মিশতে চান প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় সুন্দরবনের সৌন্দর্যের সাথে। বুকভরে নিতে চান সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য্য। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোংলার পূর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে এবং সুন্দরবনের অনন্য জীববৈচিত্র্য উপভোগ করতে করমজল হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের মিলনমেলা।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই সুন্দরবনের এই ইকো টুরিজম কেন্দ্রটিতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঈদের ছুটি কাটাতে পর্যটকরা এসেছেন এই অনন্য সৌন্দর্যের স্থানটি ঘুরে দেখতে। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে, কেউবা এসেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে। শিশু-কিশোরদের চোখে মুখে ছাপিয়ে গেছে বিনোদনের উচ্ছ্বাস। হরিণ কিংবা কুমিরের সাথে তারা মেতে উঠেছে খেলায়।

করমজল পর্যটন কেন্দ্রটি মূলত বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হলেও সুন্দরবনের সব সৌন্দর্য ধরে রাখা হয়েছে এখানে। আছে কুমির, হরিণ, বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশেষ ম্যানগ্রোভ ট্রেইল, যা পুরো বনাঞ্চলের সৌন্দর্য উপভোগের অনন্য সুযোগ করে দেয়।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক শফিকুজ্জামান হাওলাদার বলেন, "দীর্ঘদিন সুন্দরবনে আসার ইচ্ছা ছিল। ঈদের ছুটিতে অবশেষে আসতে পেরেছি। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের এখানে একবার হলেও আসা উচিত। পরিবেশটা খুব মনোমুগ্ধকর।"
রাজশাহী থেকে আসা আরেক দর্শনার্থী শারমিন আক্তার জানান, "এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন প্রকৃতির এক অজানা জগতে পা রেখেছি। সবুজে ঘেরা পরিবেশ, নিরিবিলি বনাঞ্চল আর নীরব নদী সব মিলিয়ে যেন স্বপ্নরাজ্যে এসেছি এমন লাগছে।"
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবীর জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ সার্বিকভাবে তৎপর আছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নিরাপত্তা জোরদার করেছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
পাশাপাশি বন্যপ্রাণী যেন বিরক্ত না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়া, বন বিভাগের কর্মকর্তারা দর্শনার্থীদের সচেতন করছেন যাতে তারা প্রকৃতির কোনো ক্ষতি না করেন।
করমজল কেন্দ্রিক পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, ঈদের ছুটিতে এই সময়টায় পর্যটকদের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এতে স্থানীয় নৌচালক, গাইড ও দোকানিরা আর্থিকভাবে লাভবান হন। দর্শনার্থীদের আনাগোনার কারণে খাবার ও অন্যান্য পণ্যের বিক্রি বেড়ে গেছে। ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য করমজল সুন্দরবনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। ঈদের ছুটিতে যারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি আদর্শ গন্তব্য। বনের সবুজ অরণ্য, বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্য ও শান্ত নদীর বয়ে চলা ধারা পর্যটকদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে। এই আনন্দ নিয়েই তারা ফিরে যাবেন কর্মব্যাস্ত শহরে। আনন্দের এই রেশ ধরে রেখে অপেক্ষা করবেন পরের বছরের ঈদের ছুটির ।

সকালের শুরু থেকে রাত অবধি—ইন্টারনেট সার্ফিংয়ের প্রতিটি ধাপেই আমরা ভরসা করি একটি ছোট্ট সফটওয়্যারের ওপর ’ওয়েব ব্রাউজার’। অফিসের কাজ, বিনোদন, সোশ্যাল মিডিয়া—সবই চলে এই ডিজিটাল দরজার মাধ্যমে। অথচ বেশির ভাগ ব্যবহারকারীই জানেন না, তাদের ব্যবহার করা ব্রাউজারই হতে পারে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সবচেয়ে বড় হুমকি।
৫ দিন আগে
বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোড়ামারা গ্রামের এক ভাঙা ঝুপড়িতে দিন কাটাচ্ছেন গোকুল সরদার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী রানী সরদার (৬০)। ছেঁড়া পলিথিনে মোড়ানো, হোগলা ও নারকেল পাতার বেড়ায় ঘেরা এই ঘরের অর্ধেক অংশই হেলে পড়েছে। সামান্য বাতাসে বা বৃষ্টিতে এটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৮ দিন আগেসকালের শুরু থেকে রাত অবধি—ইন্টারনেট সার্ফিংয়ের প্রতিটি ধাপেই আমরা ভরসা করি একটি ছোট্ট সফটওয়্যারের ওপর ’ওয়েব ব্রাউজার’। অফিসের কাজ, বিনোদন, সোশ্যাল মিডিয়া—সবই চলে এই ডিজিটাল দরজার মাধ্যমে। অথচ বেশির ভাগ ব্যবহারকারীই জানেন না, তাদের ব্যবহার করা ব্রাউজারই হতে পারে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সবচেয়ে বড় হুমকি।
বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোড়ামারা গ্রামের এক ভাঙা ঝুপড়িতে দিন কাটাচ্ছেন গোকুল সরদার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী রানী সরদার (৬০)। ছেঁড়া পলিথিনে মোড়ানো, হোগলা ও নারকেল পাতার বেড়ায় ঘেরা এই ঘরের অর্ধেক অংশই হেলে পড়েছে। সামান্য বাতাসে বা বৃষ্টিতে এটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।