অনলাইন ডেস্ক
চলছে আষাঢ় মাস। বর্ষার মৃদু বাতাস আর হুটহাট বৃষ্টি যেমন মন ভালো করে দেয়, তেমনি চিটচিটে গরম আর স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ত্বক ও চুলের নানা সমস্যাও তৈরি করে। আর্দ্রতা, ধুলাবালু আর ঘাম আমাদের চুল ও ত্বককে করে দুর্বল ও নিষ্প্রাণ। তবে একটু সচেতন হলে সহজেই এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব। ছেলে–মেয়ে উভয়েরই উচিত এই মৌসুমে নিজেদের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া।
ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ
বর্ষাকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। বৃষ্টিতে ভিজে থাকা কাপড় বা ঘামে ভেজা শরীরে সহজেই ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হয়। ত্বক, নখ বা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ফাঙ্গাস ইনফেকশন বা ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হতে পারে। ফাঙ্গাস বা ছত্রাক সংক্রমণ খুবই ছোঁয়াচে। তাই ব্যক্তিগত জিনিসপত্র কখনোই অন্য কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করা উচিত নয়।
সমাধানের উপায়
১. আক্রান্ত স্থানটি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
২. নিমপাতা সেদ্ধ পানিতে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করা যায়। ডেটল বা স্যাভলন মেশানো পানিও উপকারী।
৩. সমপরিমাণ অ্যালোভেরা জেল ও মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। আক্রান্ত স্থান খুব দ্রুত সেরে উঠবে।
সংক্রমণ গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুখে অতিরিক্ত তেল ও ব্রণ
বর্ষাকালে আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তেল বা সিবাম নিঃসরণ করে। এ সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা। ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম ধুলাবালু ও মৃত কোষের সঙ্গে মিশে রোমকূপ বন্ধ করে দেয়, যে কারণে ব্রণ হয়।
সমাধানের উপায়
১. দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার মুখ ধুতে হবে। এর মধ্যে দুবার তেলবিহীন ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
২. দিনে একবার মুখে ঠান্ডা পানি বা বরফ ব্যবহার করুন।
৩. হালকা জেল–বেজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত ব্রণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিহিস্টামিন–জাতীয় ওষুধ খেতে হবে।
খুশকি ও স্ক্যাল্পে চুলকানি
মাথার ত্বকে একধরনের ছত্রাক বা ইস্ট জীবাণুর সংক্রমণ হলে তেলগ্রন্থি থেকে ত্বকের তৈলাক্ত উপাদান বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়, এ থেকেই হয় খুশকি। খুশকির কারণে মাথায় চুলকানি হয়।
সমাধানের উপায়
১. সাধারণ শ্যাম্পুর পরিবর্তে সপ্তাহে দুই দিন অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
২. বৃষ্টিতে ভিজলে সঙ্গে সঙ্গে চুল ধুয়ে ফেলুন। সঙ্গে সঙ্গে ধোয়া সম্ভব না হলে চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
৩. খুশকি হলে এক কাপ টক দইয়ের সঙ্গে আধা কাপ পানি মিশিয়ে নিন। তুলার সাহায্যে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৪. নারকেল তেলে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মালিশ করে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে খুশকি অনেকটাই কমে যাবে।
অতিরিক্ত খুশকি বা চুলকানি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চুল পড়া বেড়ে যাওয়া
বর্ষাকালে আর্দ্রতা ও খুশকির কারণে রোমকূপের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়া বেড়ে যায়।
সমাধানের উপায়
১. ভেজা অবস্থায় কখনো চুল আঁচড়াবেন না।
২. পেঁয়াজের রস ও নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন
৩. ডিম, মাছ, বাদাম ও সবুজ শাকসবজি খান, যা চুলের গঠনে সহায়ক
৪. সপ্তাহে এক দিন প্রোটিন ট্রিটমেন্ট বা হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন
পায়ের ত্বকে সংক্রমণ ও দুর্গন্ধ
বর্ষাকালে রাস্তায় হাঁটার সময় জমে থাকা নোংরা বা বৃষ্টির পানিতে পা ভিজে যায়। এই পানিতে থাকে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক, যা সহজেই পায়ের ফাটা অংশ দিয়ে শরীরে ঢুকে সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। ভেজা জুতা ও মোজা পরে দীর্ঘক্ষণ থাকলে ত্বক স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। ফলে পায়ে হয় দুর্গন্ধ।
সমাধানের উপায়
১. ঘরে ফিরে সাবান দিয়ে পা ধুয়ে ভালো করে মুছে ফেলুন।
২. সপ্তাহে এক দিন পেডিকিউর করুন। চাইলে বাড়িতেই পেডিকিউর করতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে সামান্য ডেটল, আধা কাপ লেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে তাতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ঝামা অথবা ব্রাশ দিয়ে পা ঘষে নিন। তারপর পছন্দমতো কোনো একটি প্যাক ব্যবহার করুন।
৩. পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে ফিটকিরি মেশানো পানিতে পা ধুতে পারেন।
৪. ভেজা জুতা-মোজা পরা থেকে বিরত থাকুন।
চলছে আষাঢ় মাস। বর্ষার মৃদু বাতাস আর হুটহাট বৃষ্টি যেমন মন ভালো করে দেয়, তেমনি চিটচিটে গরম আর স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ত্বক ও চুলের নানা সমস্যাও তৈরি করে। আর্দ্রতা, ধুলাবালু আর ঘাম আমাদের চুল ও ত্বককে করে দুর্বল ও নিষ্প্রাণ। তবে একটু সচেতন হলে সহজেই এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব। ছেলে–মেয়ে উভয়েরই উচিত এই মৌসুমে নিজেদের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া।
ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ
বর্ষাকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। বৃষ্টিতে ভিজে থাকা কাপড় বা ঘামে ভেজা শরীরে সহজেই ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হয়। ত্বক, নখ বা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ফাঙ্গাস ইনফেকশন বা ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হতে পারে। ফাঙ্গাস বা ছত্রাক সংক্রমণ খুবই ছোঁয়াচে। তাই ব্যক্তিগত জিনিসপত্র কখনোই অন্য কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করা উচিত নয়।
সমাধানের উপায়
১. আক্রান্ত স্থানটি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
২. নিমপাতা সেদ্ধ পানিতে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করা যায়। ডেটল বা স্যাভলন মেশানো পানিও উপকারী।
৩. সমপরিমাণ অ্যালোভেরা জেল ও মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। আক্রান্ত স্থান খুব দ্রুত সেরে উঠবে।
সংক্রমণ গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুখে অতিরিক্ত তেল ও ব্রণ
বর্ষাকালে আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তেল বা সিবাম নিঃসরণ করে। এ সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা। ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম ধুলাবালু ও মৃত কোষের সঙ্গে মিশে রোমকূপ বন্ধ করে দেয়, যে কারণে ব্রণ হয়।
সমাধানের উপায়
১. দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার মুখ ধুতে হবে। এর মধ্যে দুবার তেলবিহীন ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
২. দিনে একবার মুখে ঠান্ডা পানি বা বরফ ব্যবহার করুন।
৩. হালকা জেল–বেজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত ব্রণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিহিস্টামিন–জাতীয় ওষুধ খেতে হবে।
খুশকি ও স্ক্যাল্পে চুলকানি
মাথার ত্বকে একধরনের ছত্রাক বা ইস্ট জীবাণুর সংক্রমণ হলে তেলগ্রন্থি থেকে ত্বকের তৈলাক্ত উপাদান বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়, এ থেকেই হয় খুশকি। খুশকির কারণে মাথায় চুলকানি হয়।
সমাধানের উপায়
১. সাধারণ শ্যাম্পুর পরিবর্তে সপ্তাহে দুই দিন অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
২. বৃষ্টিতে ভিজলে সঙ্গে সঙ্গে চুল ধুয়ে ফেলুন। সঙ্গে সঙ্গে ধোয়া সম্ভব না হলে চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
৩. খুশকি হলে এক কাপ টক দইয়ের সঙ্গে আধা কাপ পানি মিশিয়ে নিন। তুলার সাহায্যে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৪. নারকেল তেলে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মালিশ করে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে খুশকি অনেকটাই কমে যাবে।
অতিরিক্ত খুশকি বা চুলকানি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চুল পড়া বেড়ে যাওয়া
বর্ষাকালে আর্দ্রতা ও খুশকির কারণে রোমকূপের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়া বেড়ে যায়।
সমাধানের উপায়
১. ভেজা অবস্থায় কখনো চুল আঁচড়াবেন না।
২. পেঁয়াজের রস ও নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন
৩. ডিম, মাছ, বাদাম ও সবুজ শাকসবজি খান, যা চুলের গঠনে সহায়ক
৪. সপ্তাহে এক দিন প্রোটিন ট্রিটমেন্ট বা হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন
পায়ের ত্বকে সংক্রমণ ও দুর্গন্ধ
বর্ষাকালে রাস্তায় হাঁটার সময় জমে থাকা নোংরা বা বৃষ্টির পানিতে পা ভিজে যায়। এই পানিতে থাকে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক, যা সহজেই পায়ের ফাটা অংশ দিয়ে শরীরে ঢুকে সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। ভেজা জুতা ও মোজা পরে দীর্ঘক্ষণ থাকলে ত্বক স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। ফলে পায়ে হয় দুর্গন্ধ।
সমাধানের উপায়
১. ঘরে ফিরে সাবান দিয়ে পা ধুয়ে ভালো করে মুছে ফেলুন।
২. সপ্তাহে এক দিন পেডিকিউর করুন। চাইলে বাড়িতেই পেডিকিউর করতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে সামান্য ডেটল, আধা কাপ লেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে তাতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ঝামা অথবা ব্রাশ দিয়ে পা ঘষে নিন। তারপর পছন্দমতো কোনো একটি প্যাক ব্যবহার করুন।
৩. পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে ফিটকিরি মেশানো পানিতে পা ধুতে পারেন।
৪. ভেজা জুতা-মোজা পরা থেকে বিরত থাকুন।
সুন্দর ত্বক শুধু বাহ্যিক যত্নে নয়, খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমেও সম্ভব
১ দিন আগেবিভিন্ন ধরনের ফল, সবুজ শাক-সবজি, আদা, রসুন, হলুদ খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
৪ দিন আগেপবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাগেরহাটে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। ক্রেতা একেবারেই কম। জেলার ৯টি উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩৩টি পশুর হাটে চলছে গরু-ছাগলের বেচাকেনা।
০৬ জুন ২০২৫বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন নিজাম উদ্দিন নামের একজন। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিএনপির মিডিয়া সেলের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
৩০ এপ্রিল ২০২৫সুন্দর ত্বক শুধু বাহ্যিক যত্নে নয়, খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমেও সম্ভব
বিভিন্ন ধরনের ফল, সবুজ শাক-সবজি, আদা, রসুন, হলুদ খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাগেরহাটে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। ক্রেতা একেবারেই কম। জেলার ৯টি উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩৩টি পশুর হাটে চলছে গরু-ছাগলের বেচাকেনা।