মাগুরার ঘুল্লিয়ার ঐতিহাসিক বটগাছ: প্রকৃতি ও সংস্কৃতির মিলনস্থল

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭: ২২
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

মাগুরা জেলার অন্যতম বিস্ময়কর প্রাকৃতিক নিদর্শন ঘুল্লিয়া গ্রামের বিশালাকায় বটগাছটি। প্রায় এক একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বটগাছটি কেবলমাত্র প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি নয়, বরং এটি স্থানীয় জনগণের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ঘুল্লিয়া গ্রামে অবস্থিত এই শতবর্ষী বটগাছের বয়স নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। অনেকের বিশ্বাস, এটি কয়েক শতক পুরনো। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন গাছের বিস্তৃতি সাধারণত শত বছরের বেশি সময় ধরে তৈরি হয়। বিস্তীর্ণ মূল আর শাখা-প্রশাখা দিয়ে গঠিত এই বৃক্ষ যেন এক জীবন্ত ছাতা, যা গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে স্বস্তি দেয় এবং বর্ষাকালে এক রহস্যময় সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে।

3

বটগাছের নিচে রয়েছে একটি পুরাতন কালী মন্দির, যা স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। বহু বছর ধরে এই মন্দিরে নিয়মিত পূজা-অর্চনা হয়ে আসছে। বিশেষত, প্রতি বছর মাঘ মাসের ৭ তারিখে এখানে এক বিশাল মেলা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যা আশপাশের গ্রামগুলো থেকে হাজারো মানুষকে আকৃষ্ট করে।

এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় আয়োজনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। এটি শুধুমাত্র একটি ক্রীড়া উৎসব নয়, বরং এটি স্থানীয় কৃষক ও ঘোড়ার মালিকদের জন্য এক ঐতিহ্যবাহী মিলনমেলা। মেলার সময় এই এলাকায় বহু রকমের পণ্যসামগ্রী, হস্তশিল্প, খাবার এবং বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে, যা শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সীদের আকর্ষণ করে।

মাগুরা শহর থেকে মহম্মদপুর রোড ধরে বিনোদপুর বাজারে পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরত্বে ঘুল্লিয়া বাজার অবস্থিত, যেখান থেকে সহজেই এই ঐতিহাসিক বটগাছটি দেখতে যাওয়া যায়। মাগুরা থেকে লোকাল বাস, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলযোগে সহজেই সেখানে পৌঁছানো সম্ভব।

2

এমন একটি বিশাল ঐতিহ্যবাহী বৃক্ষ ও মন্দির সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ যদি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাহলে এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক মূল্যবান নিদর্শন হয়ে থাকবে।

মাগুরার ঘুল্লিয়া গ্রামের এই বটগাছ শুধু প্রকৃতির এক বিস্ময় নয়, বরং এটি সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক প্রতীক। প্রতি বছর এখানে যে উৎসব আয়োজন করা হয়, তা স্থানীয় জনগণের মিলনস্থল হয়ে উঠেছে। প্রকৃতিপ্রেমী ও ঐতিহ্য অনুসন্ধানীদের জন্য এটি একটি অবশ্যই দর্শনীয় স্থান।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

ভ্রমণ নিয়ে আরও পড়ুন

জাম্বুরা একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল, যা দেশের প্রায় সব স্থানেই পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভালো উৎস। সাধারণত এটি বিভিন্ন মসলা দিয়ে চাটনি করে অথবা এমনিতেই খাওয়া হয়। তবে যেকোনো খাবারের মতোই জাম্বুরার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা সবার জন্য উপয

১৫ দিন আগে

ভালো ফল পেতে প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিনই ব্যবহার করুন। দ্বিতীয় সপ্তাহে ৩-৪ বার। তৃতীয় সপ্তাহে ২-৩ বার। এভাবে পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে ২ দিন করে ব্যবহার করুন। ১ ঘণ্টা তেল লাগিয়ে এরপর ধুয়ে ফেলুন। এই এক ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব হলে দুবার মালিশ করুন

১৬ দিন আগে

তখন তো ফেসবুক ছিলো না। লেখা ভাইরাল কিনা সেটা বোঝারও উপায় ছিলো না। কিন্তু মিরপুর থেকে যখন কারওয়ানবাজারগামী বাসে উঠতাম, তখন দেখতাম, বাসের লোকজন প্রথম আলো পত্রিকা খুলে ঠিক আমার লেখাটাই পড়ছে। তাদের চোখেমুখে আনন্দের আভা।

১৭ দিন আগে

সবজি হোক বা বাটা মসলা সব কিছু সংরক্ষণের কিছু নিয়ম আছে। নিয়ম না মেনে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে তা রাখলে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে

২২ দিন আগে