অনলাইন ডেস্ক
প্রফেসর কালাম মাহমুদ
কবি শামসুর রাহমান (১৯২৯ - ২০০৬) সাম্প্রতিক বাঙলাকাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি। কেবল বাংলাদেশ নয়, তিনি দুই বাংলার সর্বাধিক জনপ্রিয় কবি আর সাম্প্রতিক কাব্যধারায় সুপ্রতিষ্ঠিত কবি। কাব্যগুণে তিনি এতোটাই শক্তিমান যে, কবি জীবনানন্দ দাশের পর সামগ্রিতকায় তাঁর সঙ্গে অন্য কারো তুলনা চলে না।
কবির পৈতৃক ঠিকানা মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র বিধৌত নরসিংদী জেলাধীন রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলী গাঁ। এই গাঁয়েই তিনি বড় হয়েছেন; গাঁয়ের আবহ, মাটি ও মানুষ তাঁর জীবন গঠনে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে। তাঁর কবিকীর্তির বহু কবিতা ও কাব্য এই গাঁয়ে বসে রচনা করেন কবি।
জাতীয় ইতিহাসে, সাহিত্যবলয়ে, শিল্প-বাণিজ্যে নরসিংদী বরাবরই অগ্রগামী। রত্নগর্ভা এই জেলা জাতির অগণনসংখ্যক কৃতী পুরুষকে জন্ম দিয়েছে। বোদ্ধাকবি, নাগরিক চেতনার কবি, মধ্যবিত্ত জীবনের উচ্চকণ্ঠ ও প্রতিবাদী কবি শামসুর রাহমান বাঙলাসাহিত্যের আধুনিক ধারায় অতি প্রিয় নাম। কবির বিচিত্র সৃষ্টি বাঙলাকাব্য ও সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছে।
শামসুর রাহমান বস্তুনিষ্ঠ জীবনবোধ, জাতীয় চেতনা, নাগরিক প্রতিবেশ, উচ্চারণের ঘনিষ্ঠতায় এক ব্যতিক্রমী কাব্যকার। শব্দবিন্যাসে, দার্ঢ্য উচ্চারণে, নিরাপস প্রত্যয়ে, অলংকার ও ছন্দের মহত্তম নিষ্ঠায় তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি যেকোনো প্রথাগত বিশ্বাস ও রক্ষণশীল চিন্তার বিরোধী ছিলেন।
প্রতিভার বিচ্ছুরণে, আত্মনিষ্ঠ আবেগ ও বিষয়ের বিচিত্র বুননের নৈপুণ্যে তিনি অসাধারণ। বাংলা কবিতার আলোকিত এই পুরুষ কয়েক যুগ বাঙলাকাব্যকে বিচিত্রতায় মণ্ডিত করে, সময়কে কাঁপিয়ে, যুগ ও জীবনকে ধারণ করে আজকের এই দিনে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাঁর প্রস্থান বাঙলাকাব্যের ধারাকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পর বলতে গেলে, একযুগ ধরে বাঙলাকাব্য প্রায় ফলহীন, পরিণামহীন। এমন আত্মনিষ্ঠ আর জীবননিষ্ঠ পঙ্ক্তিমালা এখন আর কাউকে রচনা করতে দেখিনা; নগর, মধ্যবিত্ত, সংঘাত আর সংগ্রামে নিয়ত ঝাঁঝালো, এমন জাতি ও জীবনগন্ধী শব্দমালা এখন কেউ উচ্চারণ করেন না। কবিতায় এখন খরা, সাহিত্য এখন নিষ্ফলা।
আজকে এই দিনে কবি পিজি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকক্ষে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কোটি পাঠকের মতো আমিও তাঁর কবিতার ভক্ত ছিলাম। তাঁকে শেষবারের মতো দেখি পিজি হাসপাতালের আইসিইউ কক্ষে, ২০০৬ সালে। বেশ কিছুদিন রোগশয্যায় অচেতন থেকে তিনি নিঃশব্দে সরে পড়েন পৃথিবী থেকে, দেশ ও তাঁর কালিক বৃত্ত থেকে। তিনি যখন চেতনাহীন, নৈঃশব্দ্যের অনুষঙ্গী তখন তাঁকে নিয়ে একটি কবিতা লিখি ‘জেগে ওঠো কবি’। কবিতাটি পরবর্তীতে ২৯.৮. ২০০৬ তারিখে ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় প্রকাশ পায়।
কবি শামসুর রাহমান জন্ম গ্রহণ করেন পুরোনো ঢাকার মাহুতটুলির নানাবাড়িতে। বাবার নাম মুখলেসুর রহমান চৌধুরী, মা আমেনা বেগম। বাবাবাড়ি নরসিংদী জেলার পাড়াতলী গাঁয়ে। ১৯৫৫ সালে কবি জোহরা বেগমকে বিয়ে করেন। তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে-সুমায়রা আমিন, ফাইয়াজ রাহমান, ফাওজিয়া সাবেরিন, ওয়াহিদুর রাহমান মতিন ও শেবা রাহমান।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি এখানে বসে রচনা করেন তাঁর কয়েকটি অমর কাব্য ও কয়েকটি আগুনঝরানো, বিষাদ জড়ানো কবিতা। এসময় রচিত তাঁর দুটো সেরা কাব্য ‘রৌদ্র করোটিতে’ ও ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা। নির্বাচিত কবিতার মধ্যে ‘একধরনের অহংকার’, 'স্বাধীনতা তুমি', 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা' ‘বারবার ফিরে আসে’, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা’ সাম্প্রতিক কাব্যধারায় অমর যোজনা।
কবি শামসুর রাহমান ঢাকা পোগোজ স্কুল, ঢাকা ইন্টারমেডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশায় তিনি ছিলেন সাংবাদিক। কবি দীর্ঘকাল ব্যয় করেন তৎকালীন ‘মর্নিংনিউজ’, ‘দৈনিকবাংলা’ ও ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’ পত্রিকায়। ১৯৮৭ সালে প্রেসিডেন্ট এরশাদের শাসনামলে পত্রিকার দায়িত্ব থেকে সরে আসেন।
বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের কবিবলয়ে তিনি নিজযোগ্যতায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন অধিকার করেন। ভারতের শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়; বাংলাদেশের সিকান্দার আবু জাফর, সৈয়দ শামসুল হক, ফজল শাহাবুদ্দীন, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরি, আবুল হাসান, হাসান হাফিজু রহমান প্রমুখ কবিরা নিজ সৃষ্টিবৈচিত্র্যে অনন্যতা প্রাপ্ত। তারপরেও শামসুর রাহমান বিষয়নিষ্ঠতা, প্রকরণগত উৎকর্ষতা এবং জীবন ও সময়নিষ্ঠ উচ্চারণে ভিন্নভাবে সমাদৃত হয়েছেন। এই ভিন্নতাই তাঁকে অনন্যতা দান করে।
কবি শামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর্তমান ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। কবিকে বনানী কবরস্থানে তাঁর মায়ের কবরের পাশে সমাধিস্থ করা হয়।
কবির প্রথম কাব্য ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশকাল-১৯৬০। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘রৌদ্র করোটিতে’ (১৯৬৩) । অন্যান্য নির্বাচিত কাব্য- ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’, ‘নিরালোকে দিব্যরথ’, ‘নিজ বাসভূমে’, ‘বন্দি শিবির থেকে’ , ‘বিধ্বস্ত নীলিমা’, ‘ইকারুসের আকাশ’, ‘একফোঁটা কেমন অনল’ ইত্যাদি। মোট কাব্যসংখ্যা- ৬৬। তিনি গদ্যরচনায়ও সমভাবে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তাঁর উপন্যাস ‘অক্টোপাশ’, ’অদ্ভুত আঁধার এক’, ‘নিয়ত মন্তাজ’, ‘এলো সে অবেলায়’। প্রবন্ধপুস্তক-‘আমৃত্যু তাঁর জীবনানন্দ’, ‘কবিতা এক ধরনের আশ্রয়’। তিনি তাঁর কাব্যকলার স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেন- আদমজি পুরস্কার, বাংলা একডেমি পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকসহ অনেক পুরস্কার। তিনি ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি লাভ করেন।
বাঙলাকবিতা থেকে শামসুর রাহমানের প্রস্থান এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে যা কোনো দিন পূরণ হবার নয়।
কবির মৃত্যুদিনে পরম শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরণ করি। তাঁর কবিতা চিরকাল আমাদের জীবনের , জাতীয় চেতনার অমর পদাবলী হয়ে থাকবে।
প্রফেসর কালাম মাহমুদ
কবি শামসুর রাহমান (১৯২৯ - ২০০৬) সাম্প্রতিক বাঙলাকাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি। কেবল বাংলাদেশ নয়, তিনি দুই বাংলার সর্বাধিক জনপ্রিয় কবি আর সাম্প্রতিক কাব্যধারায় সুপ্রতিষ্ঠিত কবি। কাব্যগুণে তিনি এতোটাই শক্তিমান যে, কবি জীবনানন্দ দাশের পর সামগ্রিতকায় তাঁর সঙ্গে অন্য কারো তুলনা চলে না।
কবির পৈতৃক ঠিকানা মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র বিধৌত নরসিংদী জেলাধীন রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলী গাঁ। এই গাঁয়েই তিনি বড় হয়েছেন; গাঁয়ের আবহ, মাটি ও মানুষ তাঁর জীবন গঠনে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে। তাঁর কবিকীর্তির বহু কবিতা ও কাব্য এই গাঁয়ে বসে রচনা করেন কবি।
জাতীয় ইতিহাসে, সাহিত্যবলয়ে, শিল্প-বাণিজ্যে নরসিংদী বরাবরই অগ্রগামী। রত্নগর্ভা এই জেলা জাতির অগণনসংখ্যক কৃতী পুরুষকে জন্ম দিয়েছে। বোদ্ধাকবি, নাগরিক চেতনার কবি, মধ্যবিত্ত জীবনের উচ্চকণ্ঠ ও প্রতিবাদী কবি শামসুর রাহমান বাঙলাসাহিত্যের আধুনিক ধারায় অতি প্রিয় নাম। কবির বিচিত্র সৃষ্টি বাঙলাকাব্য ও সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছে।
শামসুর রাহমান বস্তুনিষ্ঠ জীবনবোধ, জাতীয় চেতনা, নাগরিক প্রতিবেশ, উচ্চারণের ঘনিষ্ঠতায় এক ব্যতিক্রমী কাব্যকার। শব্দবিন্যাসে, দার্ঢ্য উচ্চারণে, নিরাপস প্রত্যয়ে, অলংকার ও ছন্দের মহত্তম নিষ্ঠায় তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি যেকোনো প্রথাগত বিশ্বাস ও রক্ষণশীল চিন্তার বিরোধী ছিলেন।
প্রতিভার বিচ্ছুরণে, আত্মনিষ্ঠ আবেগ ও বিষয়ের বিচিত্র বুননের নৈপুণ্যে তিনি অসাধারণ। বাংলা কবিতার আলোকিত এই পুরুষ কয়েক যুগ বাঙলাকাব্যকে বিচিত্রতায় মণ্ডিত করে, সময়কে কাঁপিয়ে, যুগ ও জীবনকে ধারণ করে আজকের এই দিনে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাঁর প্রস্থান বাঙলাকাব্যের ধারাকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পর বলতে গেলে, একযুগ ধরে বাঙলাকাব্য প্রায় ফলহীন, পরিণামহীন। এমন আত্মনিষ্ঠ আর জীবননিষ্ঠ পঙ্ক্তিমালা এখন আর কাউকে রচনা করতে দেখিনা; নগর, মধ্যবিত্ত, সংঘাত আর সংগ্রামে নিয়ত ঝাঁঝালো, এমন জাতি ও জীবনগন্ধী শব্দমালা এখন কেউ উচ্চারণ করেন না। কবিতায় এখন খরা, সাহিত্য এখন নিষ্ফলা।
আজকে এই দিনে কবি পিজি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকক্ষে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কোটি পাঠকের মতো আমিও তাঁর কবিতার ভক্ত ছিলাম। তাঁকে শেষবারের মতো দেখি পিজি হাসপাতালের আইসিইউ কক্ষে, ২০০৬ সালে। বেশ কিছুদিন রোগশয্যায় অচেতন থেকে তিনি নিঃশব্দে সরে পড়েন পৃথিবী থেকে, দেশ ও তাঁর কালিক বৃত্ত থেকে। তিনি যখন চেতনাহীন, নৈঃশব্দ্যের অনুষঙ্গী তখন তাঁকে নিয়ে একটি কবিতা লিখি ‘জেগে ওঠো কবি’। কবিতাটি পরবর্তীতে ২৯.৮. ২০০৬ তারিখে ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় প্রকাশ পায়।
কবি শামসুর রাহমান জন্ম গ্রহণ করেন পুরোনো ঢাকার মাহুতটুলির নানাবাড়িতে। বাবার নাম মুখলেসুর রহমান চৌধুরী, মা আমেনা বেগম। বাবাবাড়ি নরসিংদী জেলার পাড়াতলী গাঁয়ে। ১৯৫৫ সালে কবি জোহরা বেগমকে বিয়ে করেন। তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে-সুমায়রা আমিন, ফাইয়াজ রাহমান, ফাওজিয়া সাবেরিন, ওয়াহিদুর রাহমান মতিন ও শেবা রাহমান।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি এখানে বসে রচনা করেন তাঁর কয়েকটি অমর কাব্য ও কয়েকটি আগুনঝরানো, বিষাদ জড়ানো কবিতা। এসময় রচিত তাঁর দুটো সেরা কাব্য ‘রৌদ্র করোটিতে’ ও ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা। নির্বাচিত কবিতার মধ্যে ‘একধরনের অহংকার’, 'স্বাধীনতা তুমি', 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা' ‘বারবার ফিরে আসে’, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা’ সাম্প্রতিক কাব্যধারায় অমর যোজনা।
কবি শামসুর রাহমান ঢাকা পোগোজ স্কুল, ঢাকা ইন্টারমেডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশায় তিনি ছিলেন সাংবাদিক। কবি দীর্ঘকাল ব্যয় করেন তৎকালীন ‘মর্নিংনিউজ’, ‘দৈনিকবাংলা’ ও ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’ পত্রিকায়। ১৯৮৭ সালে প্রেসিডেন্ট এরশাদের শাসনামলে পত্রিকার দায়িত্ব থেকে সরে আসেন।
বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের কবিবলয়ে তিনি নিজযোগ্যতায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন অধিকার করেন। ভারতের শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়; বাংলাদেশের সিকান্দার আবু জাফর, সৈয়দ শামসুল হক, ফজল শাহাবুদ্দীন, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরি, আবুল হাসান, হাসান হাফিজু রহমান প্রমুখ কবিরা নিজ সৃষ্টিবৈচিত্র্যে অনন্যতা প্রাপ্ত। তারপরেও শামসুর রাহমান বিষয়নিষ্ঠতা, প্রকরণগত উৎকর্ষতা এবং জীবন ও সময়নিষ্ঠ উচ্চারণে ভিন্নভাবে সমাদৃত হয়েছেন। এই ভিন্নতাই তাঁকে অনন্যতা দান করে।
কবি শামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর্তমান ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। কবিকে বনানী কবরস্থানে তাঁর মায়ের কবরের পাশে সমাধিস্থ করা হয়।
কবির প্রথম কাব্য ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশকাল-১৯৬০। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘রৌদ্র করোটিতে’ (১৯৬৩) । অন্যান্য নির্বাচিত কাব্য- ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’, ‘নিরালোকে দিব্যরথ’, ‘নিজ বাসভূমে’, ‘বন্দি শিবির থেকে’ , ‘বিধ্বস্ত নীলিমা’, ‘ইকারুসের আকাশ’, ‘একফোঁটা কেমন অনল’ ইত্যাদি। মোট কাব্যসংখ্যা- ৬৬। তিনি গদ্যরচনায়ও সমভাবে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তাঁর উপন্যাস ‘অক্টোপাশ’, ’অদ্ভুত আঁধার এক’, ‘নিয়ত মন্তাজ’, ‘এলো সে অবেলায়’। প্রবন্ধপুস্তক-‘আমৃত্যু তাঁর জীবনানন্দ’, ‘কবিতা এক ধরনের আশ্রয়’। তিনি তাঁর কাব্যকলার স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেন- আদমজি পুরস্কার, বাংলা একডেমি পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকসহ অনেক পুরস্কার। তিনি ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি লাভ করেন।
বাঙলাকবিতা থেকে শামসুর রাহমানের প্রস্থান এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে যা কোনো দিন পূরণ হবার নয়।
কবির মৃত্যুদিনে পরম শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরণ করি। তাঁর কবিতা চিরকাল আমাদের জীবনের , জাতীয় চেতনার অমর পদাবলী হয়ে থাকবে।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট। ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবসান ঘটে। ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
১৪ দিন আগেআজ হুমায়ন আহমেদের ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। আজ তাকে গভীরভাবে স্মরণ করেছেন এ প্রজন্মের জনিপ্রিয় নাট্য শফিকুর রহমান শান্তনু। তাঁর ফেসবুক থেকে তুলে ধরা হলো, কেমন ছিলো হুমায়ন আহমেদের নাটকের চরিত্ররা
১৯ জুলাই ২০২৫সেদিনের সভায় বর্তমান বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমান দলের রাজনীতি এবং আদর্শ সমাবেশে উপস্থাপন করেন। রাজনৈতিক বৈরী এলাকায় চমৎকারভাবে তারেক রহমান তাঁর এবং দলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
১৭ জুলাই ২০২৫সারা দেশ আজ দুর্নীতির মহামারিতে আক্রান্ত,যা করোনা মহামারির চেয়েও ভয়াবহ। প্রতিটি সেক্টরে বিরামহীনভাবে দেশপ্রেম আর সততার লাশ দাফন হয়ে চলেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা খরচের সময়ে মানুষ নিজের পকেটে কয়টা জোড়া পড়েছে সেই হিসাব করে না।
২৯ মে ২০২৫বাঙলাকবিতা থেকে শামসুর রাহমানের প্রস্থান এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে যা কোনো দিন পূরণ হবার নয়।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট। ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবসান ঘটে। ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
আজ হুমায়ন আহমেদের ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। আজ তাকে গভীরভাবে স্মরণ করেছেন এ প্রজন্মের জনিপ্রিয় নাট্য শফিকুর রহমান শান্তনু। তাঁর ফেসবুক থেকে তুলে ধরা হলো, কেমন ছিলো হুমায়ন আহমেদের নাটকের চরিত্ররা
সেদিনের সভায় বর্তমান বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমান দলের রাজনীতি এবং আদর্শ সমাবেশে উপস্থাপন করেন। রাজনৈতিক বৈরী এলাকায় চমৎকারভাবে তারেক রহমান তাঁর এবং দলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।