এইচ এম প্রফুল্ল

নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অরক্ষিত হয়েছে পড়েছে পাহাড়। সশস্ত্র পাহাড়ি সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারের লড়াই,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে পাহাড় জুড়ে । সব চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় কেরা হচ্ছে বনজ সম্পদ ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে। এ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বছরে অন্তত তিন শত কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসীদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ। কারণে অকারণে লিপ্ত হচ্ছে বন্দুক যুদ্ধে। এতে পাহাড়ে-বসবাসকারী পাহাড়ী-বাঙালী উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সন্ত্রাসীদের চাঁদার প্রধান উৎস হচ্ছে বনজ সম্পদ,উন্নয়ন প্রকল্প,পরিবহণ ও পর্যটন সেক্টর। তাদের চাঁদাবাজি থেকে নিরীহ পাহাড়িরা রেহাই পাচ্ছে না। একজন পাহাড়ি জমি চাষ করতে হলেও আগাম চাঁদা দিতে হয়। পাহাড়ে কিংবা সমতলে যে সব পাহাড়ি চাকুরি করেন তাদেরও বার্ষিক চাঁদা দিতে হচ্ছে। টোকেন কিংবা রসিদ দিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে হচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ী কেউই সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। স্থানীয়দের মতে, চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির ঘটনা নজিরবিহীন।

এমন কোনো সেক্টর নেই যেখান থেকে সন্ত্রাসীরা চাঁদা আদায় করছে না। চুক্তির আগে একটি গ্রুপকে চাঁদা দিয়ে নিরাপদে ব্যবসা করা যেতে। চুক্তির পর অঞ্চল বেধে ৬টি সশস্ত্র সংগঠনকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ। বিশেষ করে পার্বত্য চুক্তির পর প্রায় ২৪১ টি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়া পাহাড় অনেকটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। আর সে সুযোগে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সব চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় বনজ সম্পদ ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে। এছাড়াও যানবাহন, বিভিন্ন টোল কেন্দ্র, বাজার ডাক, ফসলের জমি, জুম চাষ, গবাদিপশু এমনকি বিপুলসংখ্যক পাহাড়ি চাকরিজীবীদেরও বার্ষিক চাঁদা দিয়ে সেখানে অবস্থান করতে হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে চলাচলকারী প্রতিটি যানবাহনের মালিক, ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরবর্তী বছরের বাৎসরিক চাঁদা বা টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন বিদেশি দাতাগোষ্ঠী ও সংস্থা এবং এনজিওদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করে থাকে। চাঁদা না দিলে অপহরণের শিকার হতে হয়।
ট্রাক, বাস বা কোস্টার বাৎসরিক চাঁদা হিসেবে প্রতিটি সংগঠনকে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা,জিপ(চাঁদের গাড়ি) ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার, বেবিট্যাক্সি ১৫শ’ থেকে ২ হাজার, রিকশা ৩ ও ৪শ, বড় সাইজের বাঁশ প্রতি হাজার ৫শ’ থেকে ৭শ’, উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ, রাস্তা, সেতু কালভার্ট ও বিল্ডিং ৩০ ও ৩৫ শতাংশ, কড়ই কাঠ, গর্জন, চাপালিশ ও সেগুন প্রতিঘন ফুট ৬০ টাকা ও ৭০ টাকা এবং প্রতিটি শ্রেণির গোলকাঠ ফুট প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কলা, আদা হলুদ, সবজি, ধান ও চাল ভর্তি প্রতি ট্রাক ৬শ’ থেকে ৭শ টাকা, প্রতিটি বাছুর একশ টাকা থেকে দেড়শ টাকা, ষাঁড় ১৫০ টাকা ও ২শ’ টাকা, ছাগল ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে,সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(পিসিজেএসএস) ও প্রসীতের ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টসহ (ইউপিডিএফ) অন্তত ৬টি সশস্ত্র সংগঠন। তবে সবচেয়ে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে সন্তুর পিসিজেএসএস ও প্রসীতের ইউপিডিএফ’র কাছে। এই দুটি সংগঠন প্রায়ই লিপ্ত হচ্ছে বন্দুক যুদ্ধে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর গত প্রায় ২৮ বছরে পিসিজেএসএস ও ইউপিডিএফ’র আধিপত্য লড়াইয়ে উভয়ের ৭ শতাধিক নেতাকর্মী নিহত ও প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া জেএসএস’র(এমএন) ৪৭ জন ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকে অন্তত ১০ নেতাকর্মী প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হওয়ার তথ্য রয়েছে। সন্ত্রাসীদের রক্তের হোলিখেলা থেকে বাদ যাচ্ছে না নিরাপত্তা বাহিনী ও বাঙালিরাও।

অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসীদের চাঁদা আদায় করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজেলা ছাড়াও ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে কালেক্টর রয়েছে। চাঁদা আদায়ের ক্ষেত্রে কালেক্টররা একটা পার্সেন্ট পেয়ে থাকে। কালেক্টররা চাঁদা আদায় করার পর তাদের অংশটা রেখে বাকিটা কেন্দ্রী তহবিলে জমা দেয়। ইদানীং সন্ত্রাসীদের কালেক্টর হিসেবে কিছু কিছু এলাকায় বাঙালিরাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মোশাররফ হোসেন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহারকৃত সকল নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প পুনঃ:স্থাপন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়ে বলেন, একটি স্বাধীন দেশ এভাবে চলতে পারে না। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি করেছিল সন্তু লামরা। অস্ত্র সমর্পণের নাটকও হয়েছিল। তাহলে এখন পাহাড়ে এতো আধুনিক অস্ত্র কেন।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ মুখে আছে কিন্তু কেউ অভিযোগ করে না। ফলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা নিরাপত্তা বাহিনীকে না জানিয়ে সন্ত্রাসীদের কাছে গোপনে চাঁদা পৌঁছে দিয়ে থাকে। ফলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধ আইনের আশ্রয় নিলে পরবর্তীতে অপহরণসহ বড় ধরনের বিপদে পড়ার শঙ্কা থাকে। ফলে অনেকে নীরবে চাঁদা দিয়ে থাকে।
ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা শাখার প্রধান নিরণ চাকমা বলেন, ইউপিডিএফ পাহাড়ির অস্তিত্বের সংগঠন। আমরা কখনো চাঁদাবাজি করি না। জনগণই স্বেচ্ছায় সংগঠনকে সহযোগিতা করছে। কেউ স্বেচ্ছায় সংগঠনকে সহযোগিতা করলে তাকে চাঁদাবাজি বলা যাবে না। তবে এ বিষয়ে জেএসএস প্রধান সন্তু লারমার সংগঠনের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অরক্ষিত হয়েছে পড়েছে পাহাড়। সশস্ত্র পাহাড়ি সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারের লড়াই,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে পাহাড় জুড়ে । সব চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় কেরা হচ্ছে বনজ সম্পদ ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে। এ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বছরে অন্তত তিন শত কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসীদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ। কারণে অকারণে লিপ্ত হচ্ছে বন্দুক যুদ্ধে। এতে পাহাড়ে-বসবাসকারী পাহাড়ী-বাঙালী উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সন্ত্রাসীদের চাঁদার প্রধান উৎস হচ্ছে বনজ সম্পদ,উন্নয়ন প্রকল্প,পরিবহণ ও পর্যটন সেক্টর। তাদের চাঁদাবাজি থেকে নিরীহ পাহাড়িরা রেহাই পাচ্ছে না। একজন পাহাড়ি জমি চাষ করতে হলেও আগাম চাঁদা দিতে হয়। পাহাড়ে কিংবা সমতলে যে সব পাহাড়ি চাকুরি করেন তাদেরও বার্ষিক চাঁদা দিতে হচ্ছে। টোকেন কিংবা রসিদ দিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে হচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ী কেউই সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। স্থানীয়দের মতে, চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির ঘটনা নজিরবিহীন।

এমন কোনো সেক্টর নেই যেখান থেকে সন্ত্রাসীরা চাঁদা আদায় করছে না। চুক্তির আগে একটি গ্রুপকে চাঁদা দিয়ে নিরাপদে ব্যবসা করা যেতে। চুক্তির পর অঞ্চল বেধে ৬টি সশস্ত্র সংগঠনকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ। বিশেষ করে পার্বত্য চুক্তির পর প্রায় ২৪১ টি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়া পাহাড় অনেকটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। আর সে সুযোগে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সব চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় বনজ সম্পদ ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে। এছাড়াও যানবাহন, বিভিন্ন টোল কেন্দ্র, বাজার ডাক, ফসলের জমি, জুম চাষ, গবাদিপশু এমনকি বিপুলসংখ্যক পাহাড়ি চাকরিজীবীদেরও বার্ষিক চাঁদা দিয়ে সেখানে অবস্থান করতে হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে চলাচলকারী প্রতিটি যানবাহনের মালিক, ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরবর্তী বছরের বাৎসরিক চাঁদা বা টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন বিদেশি দাতাগোষ্ঠী ও সংস্থা এবং এনজিওদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করে থাকে। চাঁদা না দিলে অপহরণের শিকার হতে হয়।
ট্রাক, বাস বা কোস্টার বাৎসরিক চাঁদা হিসেবে প্রতিটি সংগঠনকে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা,জিপ(চাঁদের গাড়ি) ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার, বেবিট্যাক্সি ১৫শ’ থেকে ২ হাজার, রিকশা ৩ ও ৪শ, বড় সাইজের বাঁশ প্রতি হাজার ৫শ’ থেকে ৭শ’, উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ, রাস্তা, সেতু কালভার্ট ও বিল্ডিং ৩০ ও ৩৫ শতাংশ, কড়ই কাঠ, গর্জন, চাপালিশ ও সেগুন প্রতিঘন ফুট ৬০ টাকা ও ৭০ টাকা এবং প্রতিটি শ্রেণির গোলকাঠ ফুট প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কলা, আদা হলুদ, সবজি, ধান ও চাল ভর্তি প্রতি ট্রাক ৬শ’ থেকে ৭শ টাকা, প্রতিটি বাছুর একশ টাকা থেকে দেড়শ টাকা, ষাঁড় ১৫০ টাকা ও ২শ’ টাকা, ছাগল ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে,সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(পিসিজেএসএস) ও প্রসীতের ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টসহ (ইউপিডিএফ) অন্তত ৬টি সশস্ত্র সংগঠন। তবে সবচেয়ে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে সন্তুর পিসিজেএসএস ও প্রসীতের ইউপিডিএফ’র কাছে। এই দুটি সংগঠন প্রায়ই লিপ্ত হচ্ছে বন্দুক যুদ্ধে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর গত প্রায় ২৮ বছরে পিসিজেএসএস ও ইউপিডিএফ’র আধিপত্য লড়াইয়ে উভয়ের ৭ শতাধিক নেতাকর্মী নিহত ও প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া জেএসএস’র(এমএন) ৪৭ জন ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকে অন্তত ১০ নেতাকর্মী প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হওয়ার তথ্য রয়েছে। সন্ত্রাসীদের রক্তের হোলিখেলা থেকে বাদ যাচ্ছে না নিরাপত্তা বাহিনী ও বাঙালিরাও।

অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসীদের চাঁদা আদায় করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজেলা ছাড়াও ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে কালেক্টর রয়েছে। চাঁদা আদায়ের ক্ষেত্রে কালেক্টররা একটা পার্সেন্ট পেয়ে থাকে। কালেক্টররা চাঁদা আদায় করার পর তাদের অংশটা রেখে বাকিটা কেন্দ্রী তহবিলে জমা দেয়। ইদানীং সন্ত্রাসীদের কালেক্টর হিসেবে কিছু কিছু এলাকায় বাঙালিরাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মোশাররফ হোসেন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহারকৃত সকল নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প পুনঃ:স্থাপন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়ে বলেন, একটি স্বাধীন দেশ এভাবে চলতে পারে না। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি করেছিল সন্তু লামরা। অস্ত্র সমর্পণের নাটকও হয়েছিল। তাহলে এখন পাহাড়ে এতো আধুনিক অস্ত্র কেন।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ মুখে আছে কিন্তু কেউ অভিযোগ করে না। ফলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা নিরাপত্তা বাহিনীকে না জানিয়ে সন্ত্রাসীদের কাছে গোপনে চাঁদা পৌঁছে দিয়ে থাকে। ফলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধ আইনের আশ্রয় নিলে পরবর্তীতে অপহরণসহ বড় ধরনের বিপদে পড়ার শঙ্কা থাকে। ফলে অনেকে নীরবে চাঁদা দিয়ে থাকে।
ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা শাখার প্রধান নিরণ চাকমা বলেন, ইউপিডিএফ পাহাড়ির অস্তিত্বের সংগঠন। আমরা কখনো চাঁদাবাজি করি না। জনগণই স্বেচ্ছায় সংগঠনকে সহযোগিতা করছে। কেউ স্বেচ্ছায় সংগঠনকে সহযোগিতা করলে তাকে চাঁদাবাজি বলা যাবে না। তবে এ বিষয়ে জেএসএস প্রধান সন্তু লারমার সংগঠনের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গবেষণায় ১৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯৩টি (৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ) নমুনায় সিসার পরিমাণ নিরাপদ মাত্রা ৯০ পিপিএমের নিচে ছিল। বাকি ৬৮টি নমুনা (৪২ দশমিক ২ শতাংশ) বিএসটিআই নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে, ২৬ দশমিক ২ শতাংশ নমুনায় সিসার পরিমাণ ১ হাজার পিপিএমের বেশি এবং ৩ দশমিক ১ শতাংশে ৫০ হাজার পি
৫ ঘণ্টা আগে
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুখরিত হয়ে ওঠে সদ্যপুষ্করনী । ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার উদ্দেশ্যে আগমন করেন
৩ দিন আগে
দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৫টি। শেখ হাসিনা সরকার গত পনেরো বছরে দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদাও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি
৫ দিন আগে
বন্ধু মনে হলেই, বন্ধু হয়ে গেছি। সে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান দেখার সময় আমার নেই। তবে এর জন্য আমার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। এবং এ কারণে আমার পিঠে বেত এবং গাছের ডাল ভাঙা হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের জগতে অবিচল
৫ দিন আগেগবেষণায় ১৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯৩টি (৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ) নমুনায় সিসার পরিমাণ নিরাপদ মাত্রা ৯০ পিপিএমের নিচে ছিল। বাকি ৬৮টি নমুনা (৪২ দশমিক ২ শতাংশ) বিএসটিআই নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে, ২৬ দশমিক ২ শতাংশ নমুনায় সিসার পরিমাণ ১ হাজার পিপিএমের বেশি এবং ৩ দশমিক ১ শতাংশে ৫০ হাজার পি
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুখরিত হয়ে ওঠে সদ্যপুষ্করনী । ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার উদ্দেশ্যে আগমন করেন
দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৫টি। শেখ হাসিনা সরকার গত পনেরো বছরে দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদাও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি
বন্ধু মনে হলেই, বন্ধু হয়ে গেছি। সে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান দেখার সময় আমার নেই। তবে এর জন্য আমার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। এবং এ কারণে আমার পিঠে বেত এবং গাছের ডাল ভাঙা হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের জগতে অবিচল