শাহীন রাজা

শাহিন রাজা: একদম ছেলে বয়স থেকেই পরিবারের বাঁধন আমাকে বাঁধতে পারিনি! আমি আমার মতো চলেছি। মধ্যবিত্ত শিক্ষিত পরিবারে কিছু ট্যাবু থাকে। এ-ই বাড়ি, ঐ বাড়ির ছেলেপুলেদের সাথে মেশা যাবে না। আমি এর কিছুই মানতাম না। যাকে ভালো লেগেছে তাঁর সাথেই মিশেছি। সে নিম্নবর্গের সন্তানই হোক। কিংবা উঠতি বাবুসমাজের ছেলেই হোক।
বন্ধু মনে হলেই, বন্ধু হয়ে গেছি। সে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান দেখার সময় আমার নেই। তবে এর জন্য আমার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। এবং এ কারণে আমার পিঠে বেত এবং গাছের ডাল ভাঙা হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের জগতে অবিচল।
আমার সময়ের সমাজে, পিতৃহীন বালকের সব কাজেই দোষ ! এরকম এক পরিস্থিতিতে আমি আমার মতো চলেছি। বয়স এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের না-না অসংগতি আমার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছে।
অশালীন কর্মকাণ্ড ব্যাতি সব ধরনের স্বাধীনতা মানুষের থাকতে হবে। যে রাষ্ট্রে চিন্তা বা মানুষের মননের স্বাধীনতা থাকে না, সেই রাষ্ট্র সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়ে !
আমাদের রাজনীতিক'রা কি জানেন, রাষ্ট্র বা জাতির উন্নয়নের একটি পরিমাপক হচ্ছে সফট্ পাওয়ার। পুঁজি বা সামরিক শক্তি রাষ্ট্রের উন্নয়নের মূল কথা নয়। সফট্ পাওয়ার হচ্ছে উন্নত সমাজ এবং রাষ্ট্রের পরিচয়ক মাপকাঠি।
দেশের খেলাধুলা, নান্দনিক কর্মকাণ্ড এবং শিল্প কর্ম হচ্ছে, সফট্ পাওয়ার। সম্প্রতি দেশের চালচিত্র দেখে মনে হয়, এ দেশ থেকে শিল্প এবং নান্দনিক কর্মকাণ্ড বিদায়ে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে এগুলো দেশ থেকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ কাজটা সম্পন্ন হলে, আজ যারা আপনারা নিঃশব্দ দর্শক, তারা বিদেশে যাওয়ার পর দেখবেন। দেখবেন, বিদেশিদের কাছে আপনার মর্যাদা কতটুকুন!
বাইরের অনেক বৃহৎ শক্তি আপনার দেশের সাথে সম্পর্ক রাখবে। তবে তা সম্মানের ভিত্তিতে নয়। বাণিজ্যিক এবং ভৌগোলিক স্বার্থের কারণে। পাশাপাশি একটা মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে সবসময় ব্ল্যাকমেইল করবে। কথা না শুনলেন, বলবে, সমর্থন প্রত্যাহার করা হবে। সন্ত্রাসী বা জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে তকমা দেয়া হবে। যারা ক্ষমতায় থাকবে তারা হয়তো, বিধর্মী রাষ্ট্রে টাকাপয়সা সঞ্চয়ী হিসাব খুলে নিরাপদ জীবন রথে ভাসবে ! এদেশের আমজনতা এবং আমাদেরকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে। দেশের ভেতরে এক কারাগারে বসবাস করতে হবে।
দেশের মানুষ দেখতে পাচ্ছে, নান্দনিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটা গোষ্ঠী সোচ্চার। এর বাইরেও একটা বিশাল গোষ্ঠী আছে। এরা কিন্তু সবাই কিন্তু আধুনিক মননে বিশ্বাসী। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের বড় অংশ। হয়-তো এই মুহূর্তে তারা নিশ্চুপ, নিঃশব্দ। কিন্তু একসময় এরা ঠিকই ফুঁসে উঠবে। যেমনটা পাগলদের ধরে, ধরে চুলদাড়ি কাটা নিয়ে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছে। এই প্রতিবাদের মুখে উগ্রবাদী গোষ্ঠী থমকে গিয়েছে। এই গোষ্ঠী যদি বাঁধার মুখে না পড়তো, তাহলে কয়দিন পরেই জনগণের কাপর-চোপড় নিয়ে তারা শুরু করতো বিধিনিষেধ প্রয়োগ। এ নিয়ে দেশে দেখা যেতো নৈরাজ্য।
উগ্র চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে, এরা, কিন্তু একটা পরাশক্তির মদতে কাজ করছে। পরাশক্তি দেশটির পরিকল্পনা অনেকটা ইরাক কিংবা সিরিয়াস গৃহীত পরিকল্পনার অনুরূপ। দেশটাকে জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমা এটে জেকে বসার পরিকল্পনা। বা অভিলাষ!
আশার দক্ষিণা বাতাস হচ্ছে, আমাদের নতুন প্রজন্ম। তারা এ-ই সকল চিন্তাভাবনা পছন্দ করে না। তাদের সাথে আমাদের মতো স্বাধীনতা মনস্ক মানুষ-ও থাকবে। থাকবে নারীদের বিশাল অংশ।
তাই উগ্র চিন্তাভাবনা যাঁরাই করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। তা না হলে এ দেশের নতুন প্রজন্ম যে কোনো সময়, নব্বই কিংবা ২০২৪ জুলাই অভ্যুত্থানের মতোই দক্ষিণ পন্থী উগ্রবাদীদের তছনছ করে দেবে !

শাহিন রাজা: একদম ছেলে বয়স থেকেই পরিবারের বাঁধন আমাকে বাঁধতে পারিনি! আমি আমার মতো চলেছি। মধ্যবিত্ত শিক্ষিত পরিবারে কিছু ট্যাবু থাকে। এ-ই বাড়ি, ঐ বাড়ির ছেলেপুলেদের সাথে মেশা যাবে না। আমি এর কিছুই মানতাম না। যাকে ভালো লেগেছে তাঁর সাথেই মিশেছি। সে নিম্নবর্গের সন্তানই হোক। কিংবা উঠতি বাবুসমাজের ছেলেই হোক।
বন্ধু মনে হলেই, বন্ধু হয়ে গেছি। সে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান দেখার সময় আমার নেই। তবে এর জন্য আমার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। এবং এ কারণে আমার পিঠে বেত এবং গাছের ডাল ভাঙা হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের জগতে অবিচল।
আমার সময়ের সমাজে, পিতৃহীন বালকের সব কাজেই দোষ ! এরকম এক পরিস্থিতিতে আমি আমার মতো চলেছি। বয়স এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের না-না অসংগতি আমার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছে।
অশালীন কর্মকাণ্ড ব্যাতি সব ধরনের স্বাধীনতা মানুষের থাকতে হবে। যে রাষ্ট্রে চিন্তা বা মানুষের মননের স্বাধীনতা থাকে না, সেই রাষ্ট্র সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়ে !
আমাদের রাজনীতিক'রা কি জানেন, রাষ্ট্র বা জাতির উন্নয়নের একটি পরিমাপক হচ্ছে সফট্ পাওয়ার। পুঁজি বা সামরিক শক্তি রাষ্ট্রের উন্নয়নের মূল কথা নয়। সফট্ পাওয়ার হচ্ছে উন্নত সমাজ এবং রাষ্ট্রের পরিচয়ক মাপকাঠি।
দেশের খেলাধুলা, নান্দনিক কর্মকাণ্ড এবং শিল্প কর্ম হচ্ছে, সফট্ পাওয়ার। সম্প্রতি দেশের চালচিত্র দেখে মনে হয়, এ দেশ থেকে শিল্প এবং নান্দনিক কর্মকাণ্ড বিদায়ে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে এগুলো দেশ থেকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ কাজটা সম্পন্ন হলে, আজ যারা আপনারা নিঃশব্দ দর্শক, তারা বিদেশে যাওয়ার পর দেখবেন। দেখবেন, বিদেশিদের কাছে আপনার মর্যাদা কতটুকুন!
বাইরের অনেক বৃহৎ শক্তি আপনার দেশের সাথে সম্পর্ক রাখবে। তবে তা সম্মানের ভিত্তিতে নয়। বাণিজ্যিক এবং ভৌগোলিক স্বার্থের কারণে। পাশাপাশি একটা মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে সবসময় ব্ল্যাকমেইল করবে। কথা না শুনলেন, বলবে, সমর্থন প্রত্যাহার করা হবে। সন্ত্রাসী বা জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে তকমা দেয়া হবে। যারা ক্ষমতায় থাকবে তারা হয়তো, বিধর্মী রাষ্ট্রে টাকাপয়সা সঞ্চয়ী হিসাব খুলে নিরাপদ জীবন রথে ভাসবে ! এদেশের আমজনতা এবং আমাদেরকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে। দেশের ভেতরে এক কারাগারে বসবাস করতে হবে।
দেশের মানুষ দেখতে পাচ্ছে, নান্দনিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটা গোষ্ঠী সোচ্চার। এর বাইরেও একটা বিশাল গোষ্ঠী আছে। এরা কিন্তু সবাই কিন্তু আধুনিক মননে বিশ্বাসী। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের বড় অংশ। হয়-তো এই মুহূর্তে তারা নিশ্চুপ, নিঃশব্দ। কিন্তু একসময় এরা ঠিকই ফুঁসে উঠবে। যেমনটা পাগলদের ধরে, ধরে চুলদাড়ি কাটা নিয়ে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছে। এই প্রতিবাদের মুখে উগ্রবাদী গোষ্ঠী থমকে গিয়েছে। এই গোষ্ঠী যদি বাঁধার মুখে না পড়তো, তাহলে কয়দিন পরেই জনগণের কাপর-চোপড় নিয়ে তারা শুরু করতো বিধিনিষেধ প্রয়োগ। এ নিয়ে দেশে দেখা যেতো নৈরাজ্য।
উগ্র চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে, এরা, কিন্তু একটা পরাশক্তির মদতে কাজ করছে। পরাশক্তি দেশটির পরিকল্পনা অনেকটা ইরাক কিংবা সিরিয়াস গৃহীত পরিকল্পনার অনুরূপ। দেশটাকে জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমা এটে জেকে বসার পরিকল্পনা। বা অভিলাষ!
আশার দক্ষিণা বাতাস হচ্ছে, আমাদের নতুন প্রজন্ম। তারা এ-ই সকল চিন্তাভাবনা পছন্দ করে না। তাদের সাথে আমাদের মতো স্বাধীনতা মনস্ক মানুষ-ও থাকবে। থাকবে নারীদের বিশাল অংশ।
তাই উগ্র চিন্তাভাবনা যাঁরাই করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। তা না হলে এ দেশের নতুন প্রজন্ম যে কোনো সময়, নব্বই কিংবা ২০২৪ জুলাই অভ্যুত্থানের মতোই দক্ষিণ পন্থী উগ্রবাদীদের তছনছ করে দেবে !

রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত নলকূপের গর্তে পড়ে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা দুই বছরের শিশু সাজিদ আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৪ দিন আগে
রাজশাহীর তানোরে ৩২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর জীবিত উদ্ধার হয়েছে দুই বছরের শিশু সাজিদ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে একটি গভীর নলকূপের গর্ত থেকে তুলে আনেন। পরে তাকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
৪ দিন আগে
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, লবণাক্ততার বিস্তার ও স্বাস্থ্যঝুঁকি এখন মানুষের নিত্যসঙ্গী। সুন্দরবনের কোলঘেঁষা সাতক্ষীরার শ্যামনগর, খুলনা ও বাগেরহাটজুড়ে নারীদের মধ্যে জরায়ুজনিত জটিলতা, উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণ ও অকাল জরায়ু অপসারণ ভয়াবহ হারে বাড়ছে।
৫ দিন আগে
দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তাবাদ, ভোট ও নারীর অধিকার, সাম্য ও ন্যায্যতার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন অকাতরে। মিথ্যে মামলার জালে চার দেয়ালের মাঝে কাটিয়েছেন বছরের পর বছর।
১২ দিন আগেরাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত নলকূপের গর্তে পড়ে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা দুই বছরের শিশু সাজিদ আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজশাহীর তানোরে ৩২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর জীবিত উদ্ধার হয়েছে দুই বছরের শিশু সাজিদ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে একটি গভীর নলকূপের গর্ত থেকে তুলে আনেন। পরে তাকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, লবণাক্ততার বিস্তার ও স্বাস্থ্যঝুঁকি এখন মানুষের নিত্যসঙ্গী। সুন্দরবনের কোলঘেঁষা সাতক্ষীরার শ্যামনগর, খুলনা ও বাগেরহাটজুড়ে নারীদের মধ্যে জরায়ুজনিত জটিলতা, উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণ ও অকাল জরায়ু অপসারণ ভয়াবহ হারে বাড়ছে।
দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তাবাদ, ভোট ও নারীর অধিকার, সাম্য ও ন্যায্যতার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন অকাতরে। মিথ্যে মামলার জালে চার দেয়ালের মাঝে কাটিয়েছেন বছরের পর বছর।