গ্যাস ও ব্যাংকিং খাতে সংকট
মোঃ মাজহারুল পারভেজ
শিল্প খাতে বরাদ্দকৃত গ্যাস বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনে সরিয়ে নেওয়ায় ফলে এ সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। রফতানি আদেশ বাতিল এবং শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এমন অবস্থায় ভবিষ্যতে শ্রমিকদের বেতন, ব্যাংকের সুদ ইত্যাদি পরিশোধ করে কারখানা চালু রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান কারখানা মালিকেরা। তাঁরা বলছেন, একদিকে মার্কিন শুল্ক আরোপ, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশের আন্তর্জাতিক বাজার দখলের চেষ্টা এবং দেশীয় পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের জ্বালানিনীতি এই শিল্পকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) জানিয়েছে,
গ্যাস সংকটের কারণে প্রায় প্রায় ৫শত গ্যাসনির্ভর কারখানা পূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না। বিশেষ করে গাজীপুর, নরসিংদী,কোনাবাড়ি, শফিপুর, নারায়ণগঞ্জ, ধামরাই ও মানিকগঞ্জ শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের চাপ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
বিটিএমএ’র তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ১৮৫৪ টি টেক্সটাইল কারখানা রয়েছে, যেখানে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০০ টি কারখানা গ্যাসনির্ভর, বিশেষ করে স্পিনিং মিলগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মূলধনের পরিমাণ ১০০ কোটি থেকে এক হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা এসব প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় রফতানি আদেশ বাতিল হতে যাচ্ছে। এতে করে বিদেশি ক্রেতা হারানোর ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) পরিচালক জানান,
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে উৎপাদনমুখী শিল্প চরম বিপর্যয়ে পড়েছে। গ্যাসের চাপ এতটাই কম যে শিল্পাঞ্চলগুলোতে মেশিনারিজ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্যোক্তারা এবং প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদন ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। রফতানি আদেশ বাতিল এবং শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
ব্যাংকিং খাত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আরেক শিল্পপতি বলেন,
ব্যাংকগুলো ব্যাক টু ব্যাক এলসিতে বিলম্ব করছে, ওভার ডিও হলেই এলসি বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে পণ্য সময়মতো পাঠানো যাচ্ছে না, অনেক সময় এয়ার শিপমেন্ট বা ডিসকাউন্ট দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এতে প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখে পড়ছে রফতানিকারকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের মোট গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলেও সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ২ হাজার ৬৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে দেশীয় উৎপাদন ১৮৪২ মিলিয়ন এবং আমদানিকৃত এলএনজি ৮৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট। চাহিদা ও সরবরাহের এ বিশাল ব্যবধানের কারণে শুধু শিল্প নয়, সিএনজি স্টেশন ও আবাসিক খাতও সংকটে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ভুল নীতি এবং দুর্নীতির ফলে এমন সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিগগিরই এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় নেই। বর্তমান সরকার দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত বকেয়া পরিশোধ করে গ্যাস উৎপাদন ও এলএনজি আমদানিতে কিছুটা গতি আনলেও সার্বিক চাহিদা বিবেচনায় তা যথেষ্ট নয়।
শিল্প খাতে বরাদ্দকৃত গ্যাস বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনে সরিয়ে নেওয়ায় ফলে এ সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। রফতানি আদেশ বাতিল এবং শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এমন অবস্থায় ভবিষ্যতে শ্রমিকদের বেতন, ব্যাংকের সুদ ইত্যাদি পরিশোধ করে কারখানা চালু রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান কারখানা মালিকেরা। তাঁরা বলছেন, একদিকে মার্কিন শুল্ক আরোপ, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশের আন্তর্জাতিক বাজার দখলের চেষ্টা এবং দেশীয় পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের জ্বালানিনীতি এই শিল্পকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) জানিয়েছে,
গ্যাস সংকটের কারণে প্রায় প্রায় ৫শত গ্যাসনির্ভর কারখানা পূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না। বিশেষ করে গাজীপুর, নরসিংদী,কোনাবাড়ি, শফিপুর, নারায়ণগঞ্জ, ধামরাই ও মানিকগঞ্জ শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের চাপ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
বিটিএমএ’র তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ১৮৫৪ টি টেক্সটাইল কারখানা রয়েছে, যেখানে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০০ টি কারখানা গ্যাসনির্ভর, বিশেষ করে স্পিনিং মিলগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মূলধনের পরিমাণ ১০০ কোটি থেকে এক হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা এসব প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় রফতানি আদেশ বাতিল হতে যাচ্ছে। এতে করে বিদেশি ক্রেতা হারানোর ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) পরিচালক জানান,
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে উৎপাদনমুখী শিল্প চরম বিপর্যয়ে পড়েছে। গ্যাসের চাপ এতটাই কম যে শিল্পাঞ্চলগুলোতে মেশিনারিজ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্যোক্তারা এবং প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদন ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। রফতানি আদেশ বাতিল এবং শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
ব্যাংকিং খাত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আরেক শিল্পপতি বলেন,
ব্যাংকগুলো ব্যাক টু ব্যাক এলসিতে বিলম্ব করছে, ওভার ডিও হলেই এলসি বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে পণ্য সময়মতো পাঠানো যাচ্ছে না, অনেক সময় এয়ার শিপমেন্ট বা ডিসকাউন্ট দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এতে প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখে পড়ছে রফতানিকারকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের মোট গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলেও সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ২ হাজার ৬৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে দেশীয় উৎপাদন ১৮৪২ মিলিয়ন এবং আমদানিকৃত এলএনজি ৮৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট। চাহিদা ও সরবরাহের এ বিশাল ব্যবধানের কারণে শুধু শিল্প নয়, সিএনজি স্টেশন ও আবাসিক খাতও সংকটে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ভুল নীতি এবং দুর্নীতির ফলে এমন সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিগগিরই এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় নেই। বর্তমান সরকার দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত বকেয়া পরিশোধ করে গ্যাস উৎপাদন ও এলএনজি আমদানিতে কিছুটা গতি আনলেও সার্বিক চাহিদা বিবেচনায় তা যথেষ্ট নয়।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিসরির বরাতে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) একমত হয়েছেন— উভয়পক্ষই বিকাল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করবে।
৯ দিন আগেভারতের সামরিক হামলার বদলায় শনিবার পাকিস্তান বুনিয়ানুম মারসুস’ নামে যে অভিযান শুরু করেছে, তাতে ভারতের কলিজায় আঘাত লেগেছে বলে সহজেই ধারণা করা যায়
৯ দিন আগেভারতের বিরুদ্ধে আজ শনিবার ভোর থেকে নতুন মাত্রায় এক সামরিক অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’।
৯ দিন আগেকাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) গত বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের ভারী গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলিতে এক ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়।
১০ দিন আগেহাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গড়ে তোলা শিল্পকারখানা নিয়ে এখন চরমভাবে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। জ্বালানি সংকট, ঋণের উচ্চ সুদহার, ডলার সংকট, নিরাপত্তাহীনতা, মামলা-হামলাসহ নানান রকম সংকটে ব্যবসায়ীরা। চরম গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের কল-কারখানাগুলো।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিসরির বরাতে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) একমত হয়েছেন— উভয়পক্ষই বিকাল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করবে।
ভারতের সামরিক হামলার বদলায় শনিবার পাকিস্তান বুনিয়ানুম মারসুস’ নামে যে অভিযান শুরু করেছে, তাতে ভারতের কলিজায় আঘাত লেগেছে বলে সহজেই ধারণা করা যায়
ভারতের বিরুদ্ধে আজ শনিবার ভোর থেকে নতুন মাত্রায় এক সামরিক অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’।