নরসিংদীতে ১১ মাসে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েকশ কোটি টাকা
নজরুল ইসলাম
চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট মানুষ। ক্ষোভের অনলে জ্বলছে নরসিংদী। কিন্তু মুখ ফুটে বলার সাহস পাচ্ছে না কেউ। নিজেদের প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে অনেকে আবার ইচ্ছা করে মাসোহারা দিচ্ছেন নিয়মিত। তবে এ মাসোহারা আগের চেয়েও অনেক বেশী। মাসোহারা নিচ্ছে একেবারে টপ টু বটম পর্যন্ত। নরসিংদী যেমন তেমন পলাশে এপিএস একাই একশত। এপিএস এরও আবার পিএস রয়েছে।
এই পিএস এর নাম মাসুদ। পালাশের পরই রয়েছে নরসিংদী জেলা শহরের অবস্থান। এসব অপকর্ম নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। হয়ত আর কিছুদিন পর নিজেরাই নিজেদের অপকর্মের কথা প্রকাশ করবে। তবে পলাশে তা শুরু হয়ে গেছে।
সম্প্রতি চাঁদাবাজি ও মারামারি কারণে ছাত্রদল ও যুবদল নেতা গ্রেফতারও হয়েছেন। তারপরও থেমে নেই এসব অপকর্ম। অথচ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শীর্ষ নেতাদের বলতে শোনা যায়,সুনাম নষ্টকারী বা অপরাধে জড়িতদের রেহাই নেই । সারাদেশে গত ১১ মাসে ৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মী বহিষ্কার এবং এক হাজারকে শোকজ করেছে দলটি। কিন্তু অপরাধ কমেনি বরং আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বেড়েছে অপরাধ। বড় বড় অনেক নেতারা অপরাধীদের সাথে নিয়েই দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন। এতে করে অপরাধীদের আরো ভয় পাচ্ছে মানুষ।
অনেকে অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের ছদ্মবেশী কর্মীরা বিএনপিতে ঢুকে ইমেজ নষ্ট করছে। এই পুশ-ইন চক্রের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। কিন্তু এ তদন্ত কত দুর। বিভিন্ন ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বহিষ্কার করা হয়। আবার দলে ফিরিয়েও আনা হচ্ছে। নরসিংদী, লালমনিরহাট, কুমিল্লা, ঢাকার বনানি ও চিলমারীতে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে জেলার পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন একটি সিমেন্ট কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ডাংগা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির উজ্জামানকে শনিবার (৫ জুলাই) দিবাগত রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অথচ ৫ আগস্টের পর থেকেই তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ডাঙ্গাবাসী। সে মানুষের জমি থেকে মাটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছে। কিন্তু লম্বা সময় পরে তাকে পাকড়াও করার ফলে ইতোমধ্যে দলের সুনাম নষ্টের পাশাপাশি বেড়েছে ভুক্তভোগীদের সংখ্যাও।
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন বলেন, “ডাংগা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির উজ্জামান চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড কারখানার ড্রেজারে ডাংগা ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মনির উজ্জামান ও তার লোকজন হামলা চালায়। নদীপথে ২টি ট্রলারে করে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল কারখানায় প্রবেশ করে শ্রমিকদের ৬টি কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং মোবাইল, ল্যাপটপ ও মালামাল লুট করে নেয়। হামলায় প্রায় ৭ জন শ্রমিক আহত হন। গত ৩ জুলাই হামলার ঘটনায় পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, হামলার নেতৃত্ব প্রদানকারী বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা যুবদল নেতা মনিরের অনুসারী। কিছুদিন আগে যুবদলের সভাপতি মনির উজ্জামান, স্থানীয় যুবদল নেতা বাদল মিয়া ও নজরুল মাস্টার এই কোম্পানির ড্রেজারের কাজ তাদেরকে দেওয়ার দাবি করেন। কিন্তু মালিক পক্ষ নিজেরাই কাজ করার কারণে, তাদেরকে মানা করে দেন। তারই প্রেক্ষিতে এই হামলাট ঘটনা।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন, মনির হোসেন খুবই প্রভাবশালী। সে বিএনপির সাবেক এক মন্ত্রীর এপিএসএর এর লোক। সারা পলাশজুড়ে এই এপিএস এক চাঁদাবাজ নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। চাঁদাবাজিসহ তার নানা অপকর্ম নিয়ে ইতঃপূর্বে পত্রপত্রিকায় নিউজ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক চাঁদাবাজির কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু দল বা সাবেক ওই মন্ত্রীর টনক নড়েনি। শিল্পাঞ্চল পলাশ উপজেলার এমন কোনো কারখানা নেই যে কারখানা থেকে চাঁদা উঠনো হয়নি। কারখানাগুলোর টেন্ডার সে একাই নিয়ন্ত্রণ করছে। রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও বিএনপির কোন নেতাকর্মী ভয়ে মুখ খুলছেন না। বিএনপির একাধিক ত্যাগী নেতা কর্মী বলেন, বেটে ফজলুর চেয়েও বেশি সুনাম নষ্ট করেছে এই এপিএস। আগামী নির্বাচনে শুধু তার জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলে বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিতি পলাশে ধানে শীষে চিটার পরিমাণ বেড়ে যেতে বাড়ে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি,নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগে নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরি সুমনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। পরে আবার এ আদেশ পরিবর্তনও করে।
গত ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি সরকার ব্যবসায়ী আমির হোসেন এর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে আমির হোসেনের ডান কানের পেছনে কোপ দেন মেহেদী। পরে আমির হোসেনকে উদ্ধার করে স্বজনেরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেহেদী সরকারসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থ্নায় লিখিত অভিযোগও দেন। প্রতিকার না পেয়ে পরে নরসিংদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
এছাড়া পাড়া মহল্লায় চাঁদাবাজি এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট। জমি কেনা-বেচা থেকে শুরু করে বাজারে বন্দরে সব জায়গায় চাঁদাবাজি হচ্ছে। চাঁদাবাজির কারণে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মেঘণা ও শীতলক্ষা থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কানেও এ ঘটনা গেছে। কিন্তু কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। সামাজিকভাবে হেনস্থার ভয়ে স্থানীয়ভাবে এসব রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
এদিকে বিএনপি বলছে, 'হাইব্রিড' ও 'নব্য বিএনপি' নামধারীরা বেশি এসব অপকর্মে জড়িত, যা তৃণমূলেও বিভাজন তৈরি করেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
হাইকমান্ড এখন এসব অপরাধে জড়িতদের তালিকা করে ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যন্ত কমিটিগুলো যাচাই-বাছাই করছে।
যাদের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, তাদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে তাদের 'জিরো টলারেন্স' নীতি রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির উচিত এখনই পরিষ্কার অবস্থান নিয়ে সৎ ও ত্যাগী নেতাদের সামনে আনা, না হলে এসব অপকর্মই দলকে বড় বিপদে ফেলতে পারে।পাঁচদোনার জাহানারা কটন থেকে শুরু করে প্রতিটি কারখানায় ইটা বালু ও নির্মাণ সামুগ্রী দিচ্ছে এপিএস এর লোকজনরা। এছাড়া প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার জুট বের করছে তারা। এ অবস্থার পরিত্রাণ চায় জেলাবাসী।
চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট মানুষ। ক্ষোভের অনলে জ্বলছে নরসিংদী। কিন্তু মুখ ফুটে বলার সাহস পাচ্ছে না কেউ। নিজেদের প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে অনেকে আবার ইচ্ছা করে মাসোহারা দিচ্ছেন নিয়মিত। তবে এ মাসোহারা আগের চেয়েও অনেক বেশী। মাসোহারা নিচ্ছে একেবারে টপ টু বটম পর্যন্ত। নরসিংদী যেমন তেমন পলাশে এপিএস একাই একশত। এপিএস এরও আবার পিএস রয়েছে।
এই পিএস এর নাম মাসুদ। পালাশের পরই রয়েছে নরসিংদী জেলা শহরের অবস্থান। এসব অপকর্ম নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। হয়ত আর কিছুদিন পর নিজেরাই নিজেদের অপকর্মের কথা প্রকাশ করবে। তবে পলাশে তা শুরু হয়ে গেছে।
সম্প্রতি চাঁদাবাজি ও মারামারি কারণে ছাত্রদল ও যুবদল নেতা গ্রেফতারও হয়েছেন। তারপরও থেমে নেই এসব অপকর্ম। অথচ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শীর্ষ নেতাদের বলতে শোনা যায়,সুনাম নষ্টকারী বা অপরাধে জড়িতদের রেহাই নেই । সারাদেশে গত ১১ মাসে ৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মী বহিষ্কার এবং এক হাজারকে শোকজ করেছে দলটি। কিন্তু অপরাধ কমেনি বরং আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বেড়েছে অপরাধ। বড় বড় অনেক নেতারা অপরাধীদের সাথে নিয়েই দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন। এতে করে অপরাধীদের আরো ভয় পাচ্ছে মানুষ।
অনেকে অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের ছদ্মবেশী কর্মীরা বিএনপিতে ঢুকে ইমেজ নষ্ট করছে। এই পুশ-ইন চক্রের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। কিন্তু এ তদন্ত কত দুর। বিভিন্ন ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বহিষ্কার করা হয়। আবার দলে ফিরিয়েও আনা হচ্ছে। নরসিংদী, লালমনিরহাট, কুমিল্লা, ঢাকার বনানি ও চিলমারীতে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে জেলার পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন একটি সিমেন্ট কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ডাংগা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির উজ্জামানকে শনিবার (৫ জুলাই) দিবাগত রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অথচ ৫ আগস্টের পর থেকেই তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ডাঙ্গাবাসী। সে মানুষের জমি থেকে মাটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছে। কিন্তু লম্বা সময় পরে তাকে পাকড়াও করার ফলে ইতোমধ্যে দলের সুনাম নষ্টের পাশাপাশি বেড়েছে ভুক্তভোগীদের সংখ্যাও।
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন বলেন, “ডাংগা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির উজ্জামান চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড কারখানার ড্রেজারে ডাংগা ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মনির উজ্জামান ও তার লোকজন হামলা চালায়। নদীপথে ২টি ট্রলারে করে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল কারখানায় প্রবেশ করে শ্রমিকদের ৬টি কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং মোবাইল, ল্যাপটপ ও মালামাল লুট করে নেয়। হামলায় প্রায় ৭ জন শ্রমিক আহত হন। গত ৩ জুলাই হামলার ঘটনায় পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, হামলার নেতৃত্ব প্রদানকারী বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা যুবদল নেতা মনিরের অনুসারী। কিছুদিন আগে যুবদলের সভাপতি মনির উজ্জামান, স্থানীয় যুবদল নেতা বাদল মিয়া ও নজরুল মাস্টার এই কোম্পানির ড্রেজারের কাজ তাদেরকে দেওয়ার দাবি করেন। কিন্তু মালিক পক্ষ নিজেরাই কাজ করার কারণে, তাদেরকে মানা করে দেন। তারই প্রেক্ষিতে এই হামলাট ঘটনা।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন, মনির হোসেন খুবই প্রভাবশালী। সে বিএনপির সাবেক এক মন্ত্রীর এপিএসএর এর লোক। সারা পলাশজুড়ে এই এপিএস এক চাঁদাবাজ নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। চাঁদাবাজিসহ তার নানা অপকর্ম নিয়ে ইতঃপূর্বে পত্রপত্রিকায় নিউজ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক চাঁদাবাজির কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু দল বা সাবেক ওই মন্ত্রীর টনক নড়েনি। শিল্পাঞ্চল পলাশ উপজেলার এমন কোনো কারখানা নেই যে কারখানা থেকে চাঁদা উঠনো হয়নি। কারখানাগুলোর টেন্ডার সে একাই নিয়ন্ত্রণ করছে। রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও বিএনপির কোন নেতাকর্মী ভয়ে মুখ খুলছেন না। বিএনপির একাধিক ত্যাগী নেতা কর্মী বলেন, বেটে ফজলুর চেয়েও বেশি সুনাম নষ্ট করেছে এই এপিএস। আগামী নির্বাচনে শুধু তার জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলে বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিতি পলাশে ধানে শীষে চিটার পরিমাণ বেড়ে যেতে বাড়ে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি,নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগে নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরি সুমনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। পরে আবার এ আদেশ পরিবর্তনও করে।
গত ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি সরকার ব্যবসায়ী আমির হোসেন এর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে আমির হোসেনের ডান কানের পেছনে কোপ দেন মেহেদী। পরে আমির হোসেনকে উদ্ধার করে স্বজনেরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেহেদী সরকারসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থ্নায় লিখিত অভিযোগও দেন। প্রতিকার না পেয়ে পরে নরসিংদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
এছাড়া পাড়া মহল্লায় চাঁদাবাজি এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট। জমি কেনা-বেচা থেকে শুরু করে বাজারে বন্দরে সব জায়গায় চাঁদাবাজি হচ্ছে। চাঁদাবাজির কারণে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মেঘণা ও শীতলক্ষা থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কানেও এ ঘটনা গেছে। কিন্তু কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। সামাজিকভাবে হেনস্থার ভয়ে স্থানীয়ভাবে এসব রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
এদিকে বিএনপি বলছে, 'হাইব্রিড' ও 'নব্য বিএনপি' নামধারীরা বেশি এসব অপকর্মে জড়িত, যা তৃণমূলেও বিভাজন তৈরি করেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
হাইকমান্ড এখন এসব অপরাধে জড়িতদের তালিকা করে ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যন্ত কমিটিগুলো যাচাই-বাছাই করছে।
যাদের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, তাদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে তাদের 'জিরো টলারেন্স' নীতি রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির উচিত এখনই পরিষ্কার অবস্থান নিয়ে সৎ ও ত্যাগী নেতাদের সামনে আনা, না হলে এসব অপকর্মই দলকে বড় বিপদে ফেলতে পারে।পাঁচদোনার জাহানারা কটন থেকে শুরু করে প্রতিটি কারখানায় ইটা বালু ও নির্মাণ সামুগ্রী দিচ্ছে এপিএস এর লোকজনরা। এছাড়া প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার জুট বের করছে তারা। এ অবস্থার পরিত্রাণ চায় জেলাবাসী।
রাজনৈতিক ঐকমত্য বহুদূর। রাজনৈতিক দল গুলো এখনো এক অপরকে আগের মত অবিশ্বাস করে। করে দোষারুপও। রাজনৈতিক দলগুলোকে হতে হবে আদর্শিক। সমাজনীতি ‘ধান্দাবাজির’ অন্ধকার জগত থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
১৩ দিন আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য তিনটি। একটি হলো জুলাই গণহত্যার বিচার, দ্বিতীয়টি হলো সংস্কার এবং তৃতীয়টি হলো নির্বাচন। কিন্তু ১০ মাসে বিচারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি আমরা লক্ষ করিনি।
১৭ দিন আগেমুতা বিয়ার নামে কুমারীদের ইজ্জত নষ্ট করছে ধনাঢ্য এক শিল্পপতি। টানা ২০ বছর ধরে খোদ রাজধানীতে এ অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন তিনি। সব কিছু হারিয়ে তথ্য প্রমাণ থাকার পরও লোক লজ্জার ভয়ে বিচার চাইতে পারেনি ভুক্তভোগী নারীরা।
০৩ জুন ২০২৫নিবন্ধন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিআর) খান মো. আব্দুল মান্নান এর পাশে এখন আর কেউ নেই। আদালত খান মো. আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী সাকিলা বেগমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দেয়ার পর একদিনেই পরিস্থিতি একেবারে পাল্টে গেছে।
২৮ মে ২০২৫চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট মানুষ। ক্ষোভের অনলে জ্বলছে নরসিংদী। কিন্তু মুখ ফুটে বলার সাহস পাচ্ছে না কেউ। নিজেদের প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে অনেকে আবার ইচ্ছা করে মাসোহারা দিচ্ছেন নিয়মিত। তবে এ মাসোহারা আগের চেয়েও অনেক বেশী। মাসোহারা নিচ্ছে একেবারে টপ টু বটম পর্যন্ত।
রাজনৈতিক ঐকমত্য বহুদূর। রাজনৈতিক দল গুলো এখনো এক অপরকে আগের মত অবিশ্বাস করে। করে দোষারুপও। রাজনৈতিক দলগুলোকে হতে হবে আদর্শিক। সমাজনীতি ‘ধান্দাবাজির’ অন্ধকার জগত থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য তিনটি। একটি হলো জুলাই গণহত্যার বিচার, দ্বিতীয়টি হলো সংস্কার এবং তৃতীয়টি হলো নির্বাচন। কিন্তু ১০ মাসে বিচারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি আমরা লক্ষ করিনি।
মুতা বিয়ার নামে কুমারীদের ইজ্জত নষ্ট করছে ধনাঢ্য এক শিল্পপতি। টানা ২০ বছর ধরে খোদ রাজধানীতে এ অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন তিনি। সব কিছু হারিয়ে তথ্য প্রমাণ থাকার পরও লোক লজ্জার ভয়ে বিচার চাইতে পারেনি ভুক্তভোগী নারীরা।