ভারতের ওডিশার সম্বলপুর জেলায় ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হোমগার্ড পদে সরকারি চাকরির পরীক্ষা এক অদ্ভুত পরিপ্রেক্ষিতে সম্পন্ন হয়। মাত্র ১৮৭টি শূন্য পদের জন্য সাড়ে ৮ হাজার প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে পর্যাপ্ত বসার ও টেবিল ব্যবস্থা করা যায়নি। এজন্য ছোট রানওয়েতে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ প্রশাসন।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পরীক্ষার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিরোধী দলগুলো উল্লেখ করেছে, দেশজুড়ে উচ্চ বেকারত্বের কারণে প্রার্থীদের মধ্যে এমন ভিড় দেখা গেছে।

হোমগার্ড পদে চাকরির ন্যূনতম যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি হলেও উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীরাও এতে অংশ নেন। পদটির দৈনিক বেতন মাত্র ৬৫০ রুপিরও কম। শহরের আইনশৃঙ্খলার হটস্পট এলাকায় দীর্ঘমেয়াদি নজরদারির দায়িত্বই এই পদে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের।

পরীক্ষা সাধারণ জ্ঞান এবং একটি রচনামূলক প্রশ্নসহ ৫০ নম্বরের ছিল। প্রার্থীদের সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ১৫০ জনের বেশি পুলিশ তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে মোতায়েন করা হয়। এছাড়া ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়।

সম্বলপুরের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (হোম-গার্ড) বিলকিস নিশা জানান, “প্রাথমিকভাবে আমরা ১৮৩টি হোমগার্ড পদের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক প্রার্থী অংশ নেবে তা আমাদের আন্দাজের বাইরে ছিল। ১০ হাজারেরও বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিল, এবং ৮,৫০০ প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়।”

বিলকিস নিশা আরও বলেন, “হোমগার্ডের চাকরি সহজ মনে হলেও প্রার্থীদের লিখিত ও দক্ষতা পরীক্ষায় পাশ করতে হতো। যদি পরীক্ষা স্কুল, কলেজ বা থানায় হতো, পক্ষপাতের সুযোগ থাকত। বিমানবন্দরটি সব প্রার্থীর জন্য একত্রিত স্থান হিসেবে সেরা সমাধান ছিল।”