শ্রীমঙ্গলে তীব্র শীতের প্রভাব

১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চা বাগানে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার
Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুই দিন ধরে তীব্র শীতের প্রভাব দেখা দিয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শনিবারের সঙ্গে একই রকম। পাহাড়, হাওর ও চা-বাগান এলাকায় ঠান্ডার তীব্রতা সবচেয়ে বেশি, যার ফলে জনজীবনে অসুবিধা তৈরি হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আনিসুর রহমান জানান, “সকাল থেকে রোদ থাকলেও শীতের তীব্রতা কমছে না।” শহরে সন্ধ্যার পর শীত কিছুটা কম অনুভূত হলেও হাওর, পাহাড় ও চা-বাগান অঞ্চলে তাপমাত্রা অনেকটা নিচে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দরিদ্র, শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। চা-বাগানের শ্রমিকরা যথেষ্ট গরম কাপড় না থাকার কারণে কাজে যেতে ও দৈনন্দিন জীবনযাপন করতে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। লাখাইছড়া চা-বাগানের বাসিন্দা তপন বৈদ্য বলেন, “নারী-পুরুষ শ্রমিকরা শীত নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত গরম কাপড় না পেয়ে ভুগছেন।” ভাড়াউড়া চা-বাগানের শ্রমিক দুলাল হাজরা যোগ করেন, “বিকেলের পর চা-বাগানে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে। অনেকেই রাত কাটাতে পারছেন না।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম উদ্দিন জানান, বেসরকারি উদ্যোগে চা-বাগান এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পর্যায়ক্রমে কম্বল বিতরণ করা হবে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

আবহাওয়া নিয়ে আরও পড়ুন

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে মুক্তিপণের দাবিতে ৭ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যুরা। রোববার সকালে সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ এলাকার হাঁসখালী, চেলাকাটা, হেতালবুনি খাল থেকে তাদের অপহরণ করে। আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যু ডন বাহিনীর পরিচয়ে ১০ জনের একদল সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে।

১০ ঘণ্টা আগে

নীলফামারীর ডোমারে কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শালকী ব্রিকসের মালিক জাফর ইকবাল পলাশকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

১২ ঘণ্টা আগে

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুই দিন ধরে তীব্র শীতের প্রভাব দেখা দিয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শনিবারের সঙ্গে একই রকম। পাহাড়, হাওর ও চা-বাগান এলাকায় ঠান্ডার তীব্রতা সবচেয়ে বেশি, যার ফলে জনজীবনে অসুবিধা তৈরি হয়েছে।

১৩ ঘণ্টা আগে

‎খুলনার কয়রা উপজেলার নদী ভাঙন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বাঁধের দুর্বলতার কারণে জলমগ্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত উপকূলীয় এই এলাকায় নদী ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে। জলবায়ু পরিবর্তন, জোয়ার–ভাটার প্রকৃতি এবং নদীর গতিশীলতার কারণে ঝুঁকি বেড়েছে।

১৩ ঘণ্টা আগে