

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে

সোমবার থেকে ভারতের পশ্চিম রাজ্য ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকার সমুদ্র উত্তাল অবস্থা বিরাজ করার আশংকা করা যাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া সকল জেলাকে আজকেই উপকূলে ফেরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার ও বুধবার বাংলাদেশের সকল উপকূলীয় এলাকার সমুদ্রে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করতে পারে

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে

রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকার আকাশ আজ মেঘলা থাকতে পারে। সেইসঙ্গে হতে পারে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি হলেও বৃদ্ধি পেতে পারে দিনের তাপমাত্রা

সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে জারি করা সব সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়েছে

গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ ভারতের গোপালপুর এবং পারাদ্বীপের মধ্যে ওড়িশা এবং তৎসংলগ্ন অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। অর্থাৎ, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি. (২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারি (১৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ফেনীতে। একই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

লঘুচাপের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝরি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে

খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পার

সাগরে লঘুচাপ
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে

রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পকে তুলনামূলকভাবে হালকা ধরনের বলা হয়। এতে সাধারণত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি থাকে না, তবে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বা দুর্বল কাঠামোয় সামান্য ক্ষতি হতে পারে

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে

পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে