খুলনা

বাংলাদেশের ইসলামি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেকে দাবি করা জামায়াত বর্তমানে একটি চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। কিছুদিন আগেই যেখানে তাদের নেতাকর্মীরা মূর্তি পূজা ও মন্দিরে যাওয়াকে ‘হারাম’ এবং ধর্মবিরোধী ঘোষণা করত, আজ তারা শারদীয় দূর্গাপূজার সময় মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এবং সাধারণ কর্মীরা শারদীয় দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠানস্থলগুলোতে উপস্থিত থেকে দেবী দুর্গার সামনে করমর্দন, কোলাকুলি ও ভোট প্রার্থনা করছেন।
বদলে যাওয়া মনোভাব : হারাম থেকে করমর্দন
জামায়াতের ঐতিহ্যগত ধর্মীয় অবস্থান ছিল মূর্তি পূজাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও অবৈধ ঘোষণা করা। দলটির কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে জনগণের মধ্যে প্রচার করে আসছিলেন যে, মূর্তি পূজা ও মন্দিরে যাওয়া ইসলাম ধর্মের শত্রু এবং সেইসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ধর্মবিরোধী কাজ। কিন্তু এবারের শারদীয় দূর্গাপূজার সময় একই দলের নেতাকর্মীরা মন্দির মন্দিরে অবস্থান নিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং ভক্তবৃন্দদের সঙ্গে করমর্দন করছেন।
ভোটের প্রেক্ষিত : রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মীয় অবস্থান পরিবর্তন?
বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতের এই আচরণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য তাদের ধর্মীয় আদর্শ থেকে সরে আসার নিদর্শন। ভোটের সময় বৃহত্তর ভোটার ভিত্তি গড়তে তারা ধর্মীয় সীমাবদ্ধতা ভুলে গিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি ভোটের আহ্বান জানাচ্ছেন। এ ধরনের কৌশল দলটির জন্য দীর্ঘমেয়াদে সুফল বয়ে আনবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে, তবে সাময়িকভাবে ভোট সংগ্রহে এই পদক্ষেপকে হিসেব করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটা একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হতে পারে যা ধর্মীয় সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। আবার অনেকে মনে করছেন, এটা একপ্রকার ভোটের সুযোগসন্ধানী কৌশল মাত্র, যা ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
জামায়াতের প্রতিক্রিয়া
জামায়াতের একজন ঊর্ধ্বতন নেতা সাংবাদিকদের জানান, “আমরা সব ধর্মের মানুষদের সম্মান করি। ভোটের সময় আমরা চাই সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পৌঁছাতে। আমরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে চাই না, বরং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে আছি।”
সামগ্রিক বিশ্লেষণ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল ও আচরণ সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে। জামায়াতের এই মন্দিরে ভোট প্রার্থনার ঘটনা রাজনৈতিক বাস্তবতার পাশাপাশি ধর্মীয় আদর্শের মাঝে দ্বন্দ্বের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। দলের ঐতিহ্যগত বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হওয়া এই ঘটনাকে দেশের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বসহকারে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের ইসলামি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেকে দাবি করা জামায়াত বর্তমানে একটি চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। কিছুদিন আগেই যেখানে তাদের নেতাকর্মীরা মূর্তি পূজা ও মন্দিরে যাওয়াকে ‘হারাম’ এবং ধর্মবিরোধী ঘোষণা করত, আজ তারা শারদীয় দূর্গাপূজার সময় মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এবং সাধারণ কর্মীরা শারদীয় দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠানস্থলগুলোতে উপস্থিত থেকে দেবী দুর্গার সামনে করমর্দন, কোলাকুলি ও ভোট প্রার্থনা করছেন।
বদলে যাওয়া মনোভাব : হারাম থেকে করমর্দন
জামায়াতের ঐতিহ্যগত ধর্মীয় অবস্থান ছিল মূর্তি পূজাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও অবৈধ ঘোষণা করা। দলটির কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে জনগণের মধ্যে প্রচার করে আসছিলেন যে, মূর্তি পূজা ও মন্দিরে যাওয়া ইসলাম ধর্মের শত্রু এবং সেইসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ধর্মবিরোধী কাজ। কিন্তু এবারের শারদীয় দূর্গাপূজার সময় একই দলের নেতাকর্মীরা মন্দির মন্দিরে অবস্থান নিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং ভক্তবৃন্দদের সঙ্গে করমর্দন করছেন।
ভোটের প্রেক্ষিত : রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মীয় অবস্থান পরিবর্তন?
বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতের এই আচরণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য তাদের ধর্মীয় আদর্শ থেকে সরে আসার নিদর্শন। ভোটের সময় বৃহত্তর ভোটার ভিত্তি গড়তে তারা ধর্মীয় সীমাবদ্ধতা ভুলে গিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি ভোটের আহ্বান জানাচ্ছেন। এ ধরনের কৌশল দলটির জন্য দীর্ঘমেয়াদে সুফল বয়ে আনবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে, তবে সাময়িকভাবে ভোট সংগ্রহে এই পদক্ষেপকে হিসেব করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটা একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হতে পারে যা ধর্মীয় সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। আবার অনেকে মনে করছেন, এটা একপ্রকার ভোটের সুযোগসন্ধানী কৌশল মাত্র, যা ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
জামায়াতের প্রতিক্রিয়া
জামায়াতের একজন ঊর্ধ্বতন নেতা সাংবাদিকদের জানান, “আমরা সব ধর্মের মানুষদের সম্মান করি। ভোটের সময় আমরা চাই সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পৌঁছাতে। আমরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে চাই না, বরং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে আছি।”
সামগ্রিক বিশ্লেষণ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল ও আচরণ সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে। জামায়াতের এই মন্দিরে ভোট প্রার্থনার ঘটনা রাজনৈতিক বাস্তবতার পাশাপাশি ধর্মীয় আদর্শের মাঝে দ্বন্দ্বের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। দলের ঐতিহ্যগত বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হওয়া এই ঘটনাকে দেশের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বসহকারে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির উদ্যোগে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ দিন আগে
শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পালন করছেন হজরত আলী। তিনি এর আগে শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু প্রমোশন না হয়ে সেখানে তার বিশাল ডিমোশন হয়েছে। এতে সহজেই বুঝা যায় একজন রাজনৈতিক নেতা কতটা দেউলিয়া হলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক থেকে তিনি এ
২ দিন আগে
রাজশাহী সদর (রাজশাহী-২) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মিনুর পক্ষে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন মহানগর বিএনপির নেতারা।
২ দিন আগে
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গাজীপুরের টঙ্গীস্থ আহসান উল্লাহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, গাজীপুর-২ আসনের বর্তমান মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা হোক।
২ দিন আগেসুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির উদ্যোগে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পালন করছেন হজরত আলী। তিনি এর আগে শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু প্রমোশন না হয়ে সেখানে তার বিশাল ডিমোশন হয়েছে। এতে সহজেই বুঝা যায় একজন রাজনৈতিক নেতা কতটা দেউলিয়া হলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক থেকে তিনি এ
রাজশাহী সদর (রাজশাহী-২) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মিনুর পক্ষে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন মহানগর বিএনপির নেতারা।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গাজীপুরের টঙ্গীস্থ আহসান উল্লাহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, গাজীপুর-২ আসনের বর্তমান মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা হোক।