মোঃ মাজহারুল পারভেজ

হাসিনা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সুপারিশে দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দ্বিতীয় সচিব (প্রটোকল) হিসেবে, তিন বছরের জন্য ২০২৩ সালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান সাজ্জাদ জহির। অদৃশ্য কারণে বর্তমান সরকার সেই নিয়োগ বাতিল করেনি। তবে তার এ মেয়াদ শেষ হবে আগামী (২০২৬ সাল) ৩১শে জানুয়ারি। কিন্তু মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য এখনই নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন সরকারবিরোধী এই কূটনীতিক। শেষ পর্যন্ত যদি মেয়াদ বৃদ্ধি না করা যায় তাহলে পাড়ি জমাবে সুদূর আমেরিকায়। এমন প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন হাসিনার আমলে সুবিধাভোগী এই কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশের কোনো বিদেশি মিশনসমূহে একজন স্থানীয় ভিত্তিক কর্মচারিকে পূর্ণ কূটনৈতিক মর্যাদা প্রদানের কোন নজির নেই। তারপরও তাকে কনসুলেটে কোন পদ খালি না থাকা সত্ত্বেও অনেকটা অপ্রয়োজনীয়ভাবে তাকে পূর্ণ কূটনৈতিক মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধাসহ এ পদে নিয়োগ প্রদান করা হয় তখন। এ ধরনের নিয়োগ কেবল রাজনৈতিক বিবেচনায়ই প্রদান করা হয়ে থাকে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এ ধরনের নিয়োগের কোন উদাহরণ নেই।
তবে এ পদে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা অথবা সরকারের অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ সাধারণত নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এছাড়াও দলীয় বিবেচনায় অনেক সময় সরকার উচ্চতর পদে আসীন কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে থাকেন। অত্যন্ত সংবেদনশীল ও বিদেশি সরকারের নিকট এটি অত্যন্ত মর্যাদাশীল পদ। সে কারণে স্থানীয় ভিত্তিক একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কোনভাবেই এ পদে নিয়োগ পেতে পারেন না। অথচ নজিরবিহীনভাবে কূটনীতিক হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়ে দেশের ভাবমূর্তিই বিনষ্ট করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। বর্তমান সরকারও এ ধারা অব্যাহত রেখেছে। বিদেশের আর কোন দূতাবাস কিংবা কনসুলেটে এমন নজির নাই। দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনসুলেটে কেন এমনটি করা হলো এ বিষয় গভীর তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছেন সেখানে বসবাসরত সাড়ে ১২ লাখ বাংলাদেশি।
সাজ্জাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির কোন শেষ বলতে নেই। কূটনীতিক হিসেবে তার নামে ইস্যুকৃত এয়ারপোর্ট প্রটোকল পাসের অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর থেকে সাজ্জাদ বাংলাদেশ থেকে পলাতক আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মীদের ও বিভিন্ন বিতর্কিত ব্যক্তিদেরকে কনসুলেটের অগোচরে দুবাই এয়ারপোর্টে প্রটোকল সেবা প্রদান করেছেন ও এখনো করছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। মিশন প্রধানকে না জানিয়েই তিনি এয়ারপোর্টে উপস্থিত থেকে তার এয়ারপোর্ট প্রটোকল পাশ ব্যবহার করে এসব ব্যক্তিদেরকে গোপনে ও নিরাপদে বিমানে তুলে দেন। নিয়মানুযায়ী, যে-কোনো প্রটোকল প্রদানের পূর্বে মিশন প্রধানকে অবহিত করার নির্দেশনা থাকলেও তিনি এসবের কোন তোয়াক্কা করেন না।
প্রটোকল পাস ব্যবহার করে এয়ারপোর্টের ভেতরে বোর্ডিং ব্রিজ পর্যন্ত প্রবেশাধিকার থাকার কারণে তিনি অনেকের নিকট থেকে অর্থ গ্রহণের বিনিময়ে প্রটোকল সেবা প্রদান করে থাকেন। এতে কন্স্যুলেটের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি এ সরকারের গোচরীভূত হলে তা দু-দেশের সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলবে। পূর্বে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং এর শাস্তিস্বরূপ তৎকালীন কনসাল জেনারেল আব্দুল হাই তাকে প্রটোকল দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। পরবর্তীতে ক্ষমা চেয়ে ও অনেক কাকুতি মিনতি করে তিনি পুনরায় প্রটোকলের দায়িত্ব নেন।
এছাড়াও বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা কিংবা উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তা দুবাইতে আগমন করলে তাদের ফ্লাইট ডিটেইলসহ আগমনের সময় ও অবস্থান (হোটেল) তিনি গোপনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের জানিয়ে দেন। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার দুবাই সফরকালে অল্পের জন্য অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে বেঁচে যান। সাজ্জাদ আগে থেকেই তার ফ্লাইট ডিটেইল স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের জানিয়ে রাখেন। আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে ভিডিও ধারণ ও পেছন থেকে অশালীন শব্দ ব্যবহার করে স্লোগান দেন। স্থানীয় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের তৎপরতার কারণে তিনি সে যাত্রায় অল্পের জন্য রক্ষা পান।
অতি সম্প্রতি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক দুবাইতে গেলে সাজ্জাদ এয়ারপোর্টে তাকে রিসিভ করেন ও প্রটোকল প্রদান করেন। এরকম নিয়মিতভাবে তিনি পলাতক আওয়ামীলীগের নেতাদের দুবাই এয়ারপোর্টে প্রটোকল সেবা প্রদান করে চলেছেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, তার ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেসময় আপত্তি জানালেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের উচ্চমহল থেকে তদবির করিয়ে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রদানে বাধ্য করেন। বর্তমানে তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টসহ মিশনে সকল কূটনৈতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
কূটনৈতিক পরিচয় দিয়ে সাজ্জাদ কন্স্যুলেট থেকে নোট ভার্বাল নিয়ে আমেরিকার ভিসাও করিয়েছেন। যে-কোনো পরিস্থিতিতে তিনি সপরিবারে আমেরিকায় পালিয়ে যেতে পারেন।
এদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও সাজ্জাদের নিয়োগ বাতিল না হওয়ায় কনসুলেটে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করেছে।
সাজ্জাদকে প্রটোকল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অনেক সময় পাসপোর্ট ও অন্যান্য কনস্যুলারের কাজেও নিয়োজিত করা হয়। এমনই এক সুযোগে কয়েক বছর আগে পাসপোর্ট উইং এ দায়িত্ব পালনকালে ভাউচারে ভুয়া ফি উল্লেখ করে সেবা প্রার্থীদের নিকট থেকে তিনি এক মাসেই বিশাল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। তৎকালীন কমার্সিয়াল কাউন্সেলরের তদন্তে এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়। অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে সেসময় কনসাল জেনারেল বা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে তিনি মুচলেকা প্রদান করে ও ক্ষমা প্রার্থনা করে তার এ অপকর্মের কথা স্বীকার করেন।
দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে কাউন্সেলর সমমানের স্বদেশভিত্তিক অফিসার রয়েছে তিনজন, প্রথম সচিব রয়েছেন তিনজন, দ্বিতীয় সচিব রয়েছেন দুইজন ও তৃতীয় সচিব রয়েছেন একজন। এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিনজন কর্মকর্তাসহ (কনসাল জেনারেল বাদে) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের রয়েছেন ছয়জন ক্যাডার কর্মকর্তা। নয় থেকে দশজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা থাকার পরেও পূর্ণ কূটনৈতিক মর্যাদার একজন দ্বিতীয় সচিব (প্রটোকল) এর অতিরিক্ত পদ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। একজন প্রটোকল সহকারীর পাশাপাশি এসকল কর্মকর্তাই কনসাল জেনারেলের অনুপস্থিতিতে প্রোটোকল প্রদানে যথেষ্ট। তারপরও অদৃশ্য কারণে তাকে এপদে বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে। এর ফলে তার পেছনে প্রতি মাসে ফরেন অ্যালায়েন্স, বাসা ভাড়া, সন্তানদের শিক্ষা ভাতা, চিকিৎসা ভাতা বাবদ সরকারের বিশাল অঙ্কের একটি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও সরকারের আর্থিক অপচয় হচ্ছে মাত্র।
সাজ্জাদ বর্তমানে আরেক আওয়ামী দোসর কনসাল জেনারেল রাশেদুজ্জামানের সেকেন্ড হ্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তারা দুজনেই দুবাইয়ে আওয়ামীলীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। এতে কনসাল জেনারেল পরোক্ষভাবে তাকে সহায়তা করছেন। সাজ্জাদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কনসাল জেনারেল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্যক্তিগতভাবে তদবির ও দৌড়ঝাঁপ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এক মহিলা কর্মচারিকে জেনারেলল বিনা কারণে চাকুরিচ্যুত করেছেন সাজ্জাদের পরামর্শে। সে হিজাব পরতো ও পর্দা করতো। এসকল বিষয়ে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এবিষয়ে, সাজ্জাদ জহিরের নম্বরে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। হোয়াটসআ্যাপে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন উত্তর দেননি। তবে দুবাই কনসুলেটে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান, সাজ্জাদের যন্ত্রণায় এখানের কর্মকর্তা কর্মচরিরা অতিষ্ঠ। ইতোমধ্যে নানা সুযোগ সুবিধার সন্ধান দিয়ে তিনি জেনারেল রাশেদুজ্জামানকেও হাত করে নিয়েছেন। সে এখন আর কাউকে কোন তোয়াক্কা করেনা। বরং প্রকাশ্যেই বলে যদি তার চাকুরীর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি না করা যায় তাহলে স্ব পরিবারে আমেরিকা চলে যাবে।

হাসিনা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সুপারিশে দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দ্বিতীয় সচিব (প্রটোকল) হিসেবে, তিন বছরের জন্য ২০২৩ সালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান সাজ্জাদ জহির। অদৃশ্য কারণে বর্তমান সরকার সেই নিয়োগ বাতিল করেনি। তবে তার এ মেয়াদ শেষ হবে আগামী (২০২৬ সাল) ৩১শে জানুয়ারি। কিন্তু মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য এখনই নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন সরকারবিরোধী এই কূটনীতিক। শেষ পর্যন্ত যদি মেয়াদ বৃদ্ধি না করা যায় তাহলে পাড়ি জমাবে সুদূর আমেরিকায়। এমন প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন হাসিনার আমলে সুবিধাভোগী এই কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশের কোনো বিদেশি মিশনসমূহে একজন স্থানীয় ভিত্তিক কর্মচারিকে পূর্ণ কূটনৈতিক মর্যাদা প্রদানের কোন নজির নেই। তারপরও তাকে কনসুলেটে কোন পদ খালি না থাকা সত্ত্বেও অনেকটা অপ্রয়োজনীয়ভাবে তাকে পূর্ণ কূটনৈতিক মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধাসহ এ পদে নিয়োগ প্রদান করা হয় তখন। এ ধরনের নিয়োগ কেবল রাজনৈতিক বিবেচনায়ই প্রদান করা হয়ে থাকে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এ ধরনের নিয়োগের কোন উদাহরণ নেই।
তবে এ পদে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা অথবা সরকারের অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ সাধারণত নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এছাড়াও দলীয় বিবেচনায় অনেক সময় সরকার উচ্চতর পদে আসীন কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে থাকেন। অত্যন্ত সংবেদনশীল ও বিদেশি সরকারের নিকট এটি অত্যন্ত মর্যাদাশীল পদ। সে কারণে স্থানীয় ভিত্তিক একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কোনভাবেই এ পদে নিয়োগ পেতে পারেন না। অথচ নজিরবিহীনভাবে কূটনীতিক হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়ে দেশের ভাবমূর্তিই বিনষ্ট করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। বর্তমান সরকারও এ ধারা অব্যাহত রেখেছে। বিদেশের আর কোন দূতাবাস কিংবা কনসুলেটে এমন নজির নাই। দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনসুলেটে কেন এমনটি করা হলো এ বিষয় গভীর তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছেন সেখানে বসবাসরত সাড়ে ১২ লাখ বাংলাদেশি।
সাজ্জাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির কোন শেষ বলতে নেই। কূটনীতিক হিসেবে তার নামে ইস্যুকৃত এয়ারপোর্ট প্রটোকল পাসের অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর থেকে সাজ্জাদ বাংলাদেশ থেকে পলাতক আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মীদের ও বিভিন্ন বিতর্কিত ব্যক্তিদেরকে কনসুলেটের অগোচরে দুবাই এয়ারপোর্টে প্রটোকল সেবা প্রদান করেছেন ও এখনো করছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। মিশন প্রধানকে না জানিয়েই তিনি এয়ারপোর্টে উপস্থিত থেকে তার এয়ারপোর্ট প্রটোকল পাশ ব্যবহার করে এসব ব্যক্তিদেরকে গোপনে ও নিরাপদে বিমানে তুলে দেন। নিয়মানুযায়ী, যে-কোনো প্রটোকল প্রদানের পূর্বে মিশন প্রধানকে অবহিত করার নির্দেশনা থাকলেও তিনি এসবের কোন তোয়াক্কা করেন না।
প্রটোকল পাস ব্যবহার করে এয়ারপোর্টের ভেতরে বোর্ডিং ব্রিজ পর্যন্ত প্রবেশাধিকার থাকার কারণে তিনি অনেকের নিকট থেকে অর্থ গ্রহণের বিনিময়ে প্রটোকল সেবা প্রদান করে থাকেন। এতে কন্স্যুলেটের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি এ সরকারের গোচরীভূত হলে তা দু-দেশের সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলবে। পূর্বে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং এর শাস্তিস্বরূপ তৎকালীন কনসাল জেনারেল আব্দুল হাই তাকে প্রটোকল দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। পরবর্তীতে ক্ষমা চেয়ে ও অনেক কাকুতি মিনতি করে তিনি পুনরায় প্রটোকলের দায়িত্ব নেন।
এছাড়াও বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা কিংবা উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তা দুবাইতে আগমন করলে তাদের ফ্লাইট ডিটেইলসহ আগমনের সময় ও অবস্থান (হোটেল) তিনি গোপনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের জানিয়ে দেন। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার দুবাই সফরকালে অল্পের জন্য অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে বেঁচে যান। সাজ্জাদ আগে থেকেই তার ফ্লাইট ডিটেইল স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের জানিয়ে রাখেন। আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে ভিডিও ধারণ ও পেছন থেকে অশালীন শব্দ ব্যবহার করে স্লোগান দেন। স্থানীয় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের তৎপরতার কারণে তিনি সে যাত্রায় অল্পের জন্য রক্ষা পান।
অতি সম্প্রতি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক দুবাইতে গেলে সাজ্জাদ এয়ারপোর্টে তাকে রিসিভ করেন ও প্রটোকল প্রদান করেন। এরকম নিয়মিতভাবে তিনি পলাতক আওয়ামীলীগের নেতাদের দুবাই এয়ারপোর্টে প্রটোকল সেবা প্রদান করে চলেছেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, তার ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেসময় আপত্তি জানালেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের উচ্চমহল থেকে তদবির করিয়ে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রদানে বাধ্য করেন। বর্তমানে তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টসহ মিশনে সকল কূটনৈতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
কূটনৈতিক পরিচয় দিয়ে সাজ্জাদ কন্স্যুলেট থেকে নোট ভার্বাল নিয়ে আমেরিকার ভিসাও করিয়েছেন। যে-কোনো পরিস্থিতিতে তিনি সপরিবারে আমেরিকায় পালিয়ে যেতে পারেন।
এদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও সাজ্জাদের নিয়োগ বাতিল না হওয়ায় কনসুলেটে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করেছে।
সাজ্জাদকে প্রটোকল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অনেক সময় পাসপোর্ট ও অন্যান্য কনস্যুলারের কাজেও নিয়োজিত করা হয়। এমনই এক সুযোগে কয়েক বছর আগে পাসপোর্ট উইং এ দায়িত্ব পালনকালে ভাউচারে ভুয়া ফি উল্লেখ করে সেবা প্রার্থীদের নিকট থেকে তিনি এক মাসেই বিশাল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। তৎকালীন কমার্সিয়াল কাউন্সেলরের তদন্তে এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়। অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে সেসময় কনসাল জেনারেল বা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে তিনি মুচলেকা প্রদান করে ও ক্ষমা প্রার্থনা করে তার এ অপকর্মের কথা স্বীকার করেন।
দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে কাউন্সেলর সমমানের স্বদেশভিত্তিক অফিসার রয়েছে তিনজন, প্রথম সচিব রয়েছেন তিনজন, দ্বিতীয় সচিব রয়েছেন দুইজন ও তৃতীয় সচিব রয়েছেন একজন। এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিনজন কর্মকর্তাসহ (কনসাল জেনারেল বাদে) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের রয়েছেন ছয়জন ক্যাডার কর্মকর্তা। নয় থেকে দশজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা থাকার পরেও পূর্ণ কূটনৈতিক মর্যাদার একজন দ্বিতীয় সচিব (প্রটোকল) এর অতিরিক্ত পদ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। একজন প্রটোকল সহকারীর পাশাপাশি এসকল কর্মকর্তাই কনসাল জেনারেলের অনুপস্থিতিতে প্রোটোকল প্রদানে যথেষ্ট। তারপরও অদৃশ্য কারণে তাকে এপদে বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে। এর ফলে তার পেছনে প্রতি মাসে ফরেন অ্যালায়েন্স, বাসা ভাড়া, সন্তানদের শিক্ষা ভাতা, চিকিৎসা ভাতা বাবদ সরকারের বিশাল অঙ্কের একটি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও সরকারের আর্থিক অপচয় হচ্ছে মাত্র।
সাজ্জাদ বর্তমানে আরেক আওয়ামী দোসর কনসাল জেনারেল রাশেদুজ্জামানের সেকেন্ড হ্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তারা দুজনেই দুবাইয়ে আওয়ামীলীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। এতে কনসাল জেনারেল পরোক্ষভাবে তাকে সহায়তা করছেন। সাজ্জাদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কনসাল জেনারেল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্যক্তিগতভাবে তদবির ও দৌড়ঝাঁপ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এক মহিলা কর্মচারিকে জেনারেলল বিনা কারণে চাকুরিচ্যুত করেছেন সাজ্জাদের পরামর্শে। সে হিজাব পরতো ও পর্দা করতো। এসকল বিষয়ে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এবিষয়ে, সাজ্জাদ জহিরের নম্বরে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। হোয়াটসআ্যাপে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন উত্তর দেননি। তবে দুবাই কনসুলেটে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান, সাজ্জাদের যন্ত্রণায় এখানের কর্মকর্তা কর্মচরিরা অতিষ্ঠ। ইতোমধ্যে নানা সুযোগ সুবিধার সন্ধান দিয়ে তিনি জেনারেল রাশেদুজ্জামানকেও হাত করে নিয়েছেন। সে এখন আর কাউকে কোন তোয়াক্কা করেনা। বরং প্রকাশ্যেই বলে যদি তার চাকুরীর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি না করা যায় তাহলে স্ব পরিবারে আমেরিকা চলে যাবে।

গবেষণায় ১৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯৩টি (৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ) নমুনায় সিসার পরিমাণ নিরাপদ মাত্রা ৯০ পিপিএমের নিচে ছিল। বাকি ৬৮টি নমুনা (৪২ দশমিক ২ শতাংশ) বিএসটিআই নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে, ২৬ দশমিক ২ শতাংশ নমুনায় সিসার পরিমাণ ১ হাজার পিপিএমের বেশি এবং ৩ দশমিক ১ শতাংশে ৫০ হাজার পি
২ ঘণ্টা আগে
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুখরিত হয়ে ওঠে সদ্যপুষ্করনী । ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার উদ্দেশ্যে আগমন করেন
৩ দিন আগে
দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৫টি। শেখ হাসিনা সরকার গত পনেরো বছরে দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদাও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি
৫ দিন আগে
বন্ধু মনে হলেই, বন্ধু হয়ে গেছি। সে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান দেখার সময় আমার নেই। তবে এর জন্য আমার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। এবং এ কারণে আমার পিঠে বেত এবং গাছের ডাল ভাঙা হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের জগতে অবিচল
৫ দিন আগেগবেষণায় ১৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯৩টি (৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ) নমুনায় সিসার পরিমাণ নিরাপদ মাত্রা ৯০ পিপিএমের নিচে ছিল। বাকি ৬৮টি নমুনা (৪২ দশমিক ২ শতাংশ) বিএসটিআই নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে, ২৬ দশমিক ২ শতাংশ নমুনায় সিসার পরিমাণ ১ হাজার পিপিএমের বেশি এবং ৩ দশমিক ১ শতাংশে ৫০ হাজার পি
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুখরিত হয়ে ওঠে সদ্যপুষ্করনী । ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার উদ্দেশ্যে আগমন করেন
দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৫টি। শেখ হাসিনা সরকার গত পনেরো বছরে দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদাও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি
বন্ধু মনে হলেই, বন্ধু হয়ে গেছি। সে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান দেখার সময় আমার নেই। তবে এর জন্য আমার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। এবং এ কারণে আমার পিঠে বেত এবং গাছের ডাল ভাঙা হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের জগতে অবিচল