শেরপুর সদর উপজেলার ধানুরপাড়ায় দীর্ঘ দিনের বিরোধের জেরে একই পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় এক নারীর গলার স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে এবং পরদিন তার স্বামী থেকে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এ ঘটনায় মোছাঃ ভানু বেগম বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বাদী মোছাঃ ভানু বেগম অভিযোগ করেন, একই এলাকার মোঃ আ. সামাদ, মোঃ সুলতান হোসেন শুকতার, মোঃ শিমুল মিয়া, মোঃ পারভেজ মিয়া, মোঃ হাবুলশি উদ্দিন, মোঃ রমজান আলী, মোঃ ময়নুল মিয়া, মোছাঃ পারভীন বেগম, মোছাঃ আউলিয়া বেগমসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরোধ চলছিল।

বলি অনুযায়ী, গত ২৫ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে আসামিরা দা, লাঠি, লোহার রডসহ অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ির পেছনে জড়ো হয়ে গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করলে বাদীর মাথায় লোহার রড আঘাত করতে গেলে তা হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে তার বাম হাত ভেঙে যায়। বাদীর ছেলে মোঃ সুজন মিয়া, স্বামী মোঃ আমির উদ্দিন, আত্মীয় মোঃ আরিফ উদ্দিন ও কন্যা মোছাঃ আলিয়া খাতুন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। হামলাকারীরা আলিয়ার গলার স্বর্ণের চেইনও ছিঁড়ে নিয়ে যায়, যার মূল্য প্রায় ৯০ হাজার টাকা।

ভুক্তভোগীরা আহতদের দ্রুত শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষ বাধা দেয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২৬ নভেম্বর সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন হামলাকারীরা বাদীর স্বামীকে একা পেয়ে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

বাদীর ছেলে মোঃ বাবলু জানান, পূর্ব শত্রুতার কারণে বহুবার তাদের মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তাই নিরাপত্তার জন্য তারা ৭ ধারা অনুযায়ী মামলা করেছেন। মামলার হাজিরার সময় হামলা হওয়ায় তারা বাড়িতে যেতে পারছেন না। তারা দাবি করেছেন, পুলিশ দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনুক।

অভিযোগিত আ: সামাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি ওইদিন কোর্টে ছিলেন, বাড়িতে মহিলাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবায়দুল আলম জানিয়েছেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।